একটি থিসিস নিয়ে কিছু পেইজ ছবি তুলতে লাগলাম,এর মাঝে একজন ৩০-৩২ বয়সের লোক সেমিনার লাইব্রেরিতে ঢুকল।আমি আমার ছবি তুলার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কিছুক্ষন পর পিছনে ফিরে দেখি,লোকটি আমার দিকে কেমন বাকা চোখ করে তাকিয়ে আছে।বুঝলাম,আমার ক্যমেরার ফ্ল্যাশ এ মহাশয় বিরক্ত।তাই কিছুক্ষন ছবি তোলা বন্ধ রাখলাম।কিন্তু ততক্ষনে সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে গেছে!! কিছুক্ষনের মধ্যেই উনি যে বুয়েটের কত বড় জজ ব্যরিস্টার তা আমাকে কড়ায়গন্ডায় বুঝিয়ে দিলেন।
১০ মিনিট এর মাথায় লাইব্রেরি্য়ান আমাকে পিছন থেকে ডেকে বলল,ভাই ছবি তোলা যাবে না,ছবি তোলা নিষেধ। পিছনে ফিরে দেখি ,ঐ লোকটি আমার দিকে ভয়ংকর ভাবে তাকিয়ে আছে,আর আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে লাইব্রেরি্য়ানকে বলছে, কেউ যদি কোন রকম ক্যমেরা নিয়ে আসে ,তবে তা ভিতরে নিতে পারবে না,আপনার কাছে রেখে যাবে।উনি ছিলেন URP Department এর নবাগত শিক্ষক,এই কথা বলেই উনি লাইব্রেরি্ থেকে বেরিয়ে গেল।
আমি কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম,ভাবছি আমার অপরাধটা কি ? কারও চেহারা দেখে কি বুঝা যায়,কে শিক্ষক,কে পিয়ন! এই সাধারন ব্যপারটা যার মাথায় নাই,সে বুয়েট এর মত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হল কি করে? কি শিক্ষা দিবে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের!! আমার অপরাধ ছিল,তাকে দেখে সালাম দেইনি, কিংবা কাচুমাচু করে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়াই নি!
আমি কিছুক্ষন পর লাইব্রেরি্য়ানকে বললাম, আপনার অনুমুতি নিয়েই তো ছবি তোলা আরম্ভ করলাম? লাইব্রেরি্য়ান নিজেই কনফি্উজড ঐ শিক্ষকের আচরনে। আমাকে বলল,স্যার চেয়ারম্যান ম্যাডামের সাথে কথা বলে এই সিদ্ধান্তের কথা আমাকে এইমাত্র জানিয়েছেন।আমি আবার প্রশ্ন করলাম, ফটোকপি করা যাবে? হ্যা ,ফটোকপি করা যাবে। কিছুক্ষন পরে লাইব্রেরি্য়ান আমাকে প্রশ্ন করল,আচ্ছা ভাই, ফটোকপি করা আর ছবি তোলার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে? মনে মনে জবাব দিলাম,আমি তো ভাই এই ডিপার্টমেন্টের ছাত্র না, তাই উত্তরটা আমার জানা নাই!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৪০