আমি আমার পায়ের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। পায়ের জুতাজোড়া হাওয়া। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়তে খালি পায়ে খেলা করেছি, দৌড়ে ফিরে এসেছি মায়ের কাছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিনবঙ্গ যাব খালি পায়ে, জুতাবিহীন! ভাবতেই ঘামতে শুরু করলাম। কিন্তু আমার কালো রংরের জুতা কিংবা জুতাচোর নিয়ে আর মাথা ঘামালাম না। ব্যাগ থেকে একটি ম্যাগাজিন বের করে খুব আরাম করে পা তুলে বসে পড়তে শুরু করলাম। কারন খুব সকালের দিকে ট্রেনটি ছিল খুব ফাকা। এ কারনে ভাবতেই পারিনি আমার জুতা হারিয়ে যাবে । কী আর করা, হারিয়েই যখন গেছে, তখন এভাবেই খুলনা পর্যন্ত যেতে হবে। যশোরে এসে ঘটল আরেক বিপত্তি। ঠিক আমার সামনের সিটে বসল একজন মেয়ে। যদিও সে আমার পায়ের দিকে তাকাল না; কিন্তু আমি সত্য ঘটনাটা বলার জন্য অস্তির হয়ে গেলাম। চোরের অপর্কমের কারনে একজন তরুনি আমাকে ভুল বুঝবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই জুতা হারানোর ঘটনাটি নিজ দায়িত্বে তার কাছে বর্ণনা করলাম । শুনে সে শুধু হাসে। এরপর থেকে এ হাসি উপভোগ করার জন্য অনেক কথা হয় ট্রেনে,খুলনা পর্যন্ত। এখন নিয়মিত ফোনে কথা হ্য়, সম্ববত সেদিন জুতার সঙ্গে আরো কিছু হারিয়ে ফেলেছি।