জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হলো জিহ্বা, মানে বাকযন্ত্র আর এই বাকযন্ত্র ব্যবহার কারে দুই ধরনের মানুষ মনোহর ভঙ্গিতে কথা বলে থাকেন একজন হল প্রতারক অন্যজন হল প্রচারক। আর এই দুটি পদ্বতি ব্যবহার করে সম্ভাবনাময় আউটসোর্সিং নিয়ে বাংলাদেশে প্রতারণা করছে কিছু প্রতারক নামধারী আউটসোর্সিং কোম্পানি যার মধ্যে "ডুল্যান্সার" অন্যতম।
"ডুল্যান্সার" কোন PTC সাইট না মূলত একটা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি এদের মূল উদ্দেশ্য হল মার্কেটিং। যার বর্তমান ব্যবহারকারী এক বছরে ৩,২০,০০০।
ডুল্যান্সার কিভাবে ক্লিক টু আর্ন থেকে আয় করে তা ক্লিয়ার হয়ে নেই তাহলে আপনাদের ডুল্যান্সারের প্রতারনা সম্পরকে জানতে সহজ হবে। ডুল্যান্সারের আয় মূলত কোন PTC সাইটের মত না । ডুল্যান্সারের ক্লিক টু আর্নে যত গুলো ওয়েবসাইট দেয়া থাকে তা কোন Advertiser দেয়া না ডুল্যান্সারের নিজের দেয়া ।ডুল্যান্সারের ৩,২০,০০০ ব্যবহারকারী প্রতিদিন এই ওয়েবসাইট গুলোতে ক্লিক করে এর Page View বাড়াচ্ছে । ডুল্যান্সার ক্লিক টু আর্নের মাধ্যমে Low Ranking ওয়েবসাইট গুলোকে High Ranked ওয়েবসাইটে ক্রমাগত পরিবর্তন করছে বেশি বেশি বিজ্ঞাপন পাওয়ার আশায়। এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে মূলত তিন ভাবে আয় করছে ডুল্যান্সার...
১. Featured Article
২. Featured Ad
৩.Impression
আমি এই তিন ধরনের আয়ের ব্যাখ্যা করলাম না তাহলে পোস্টি অনেক বড় হয়ে যাবে শুধু সংক্ষেপ একটা কথা বলতে চাই ডুল্যান্সার এই পদ্বতি ব্যবহার
করে যা আয় করে তা ৩,২০,০০০ ব্যবহারকারীর পেমেন্টের তুলনায় অনেক কম।
এবার একটু ভেবে দেখেন, ৩,২০,০০০ গ্রাহকের এর ক্লিক টু আর্ন থেকে প্রতি মাসে আয় ৯৬,০০,০০০ ডলার... বা ৯.৬ মিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭৮,৭২,০০,০০০ টাকা। ডুল্যান্সার এর লিংকগুলতে যে পরিমান অ্যাড দেওয়া আছে, তা থেকে কি ডুল্যান্সার প্রতি মাসে ৯৬,০০,০০০ ডলার আয় করতে পারে...??? এটা খুব সহজেই অনুমেয়। কিভাবে ডুল্যান্সার প্রতি মাসে এত টাকা গ্রাহকদের দেবে...? ??
এখন আবার গ্রাহকরা যাতে ক্লিক থেকে বেশি আয় না করতে পারে, সে জন্য সার্ভার এর ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিয়ে দিল ক্লিক টু আর্ন এর বাঁশ। একদিন-ও ১০০ ক্লিক পুরন করার মত ধৈর্য থাকেনা। ইস্যু কি? অটোক্লিকার...!!! এই অটোক্লিকার যদি ডুল্যান্সার এর তৈরি না হয়ে থাকে, এবং ডুল্যান্সার যদি সত্যি চাইত গ্রাহকরা ক্লিক থেকে আয় করুক, তবে এতদিনেও কেন অটোক্লিকার বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ গ্রহন করলোনা...???
গ্রাহকদের পরিশ্রমের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত দিল অফিস পেমেন্ট বন্ধ করে। ইস্যু কি...? গেটওয়ে সিস্টেম...। গেটওয়ে সিস্টেম চালু করার জন্য অফিস পেমেন্ট বন্ধ করার কোনও যৌক্তিকতা নেই...। যদি ডুল্যান্সারের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য থাকতো, তাহলে অবশ্যই অফিস পেমেন্ট চালু রেখেই গেটওয়ের কাজ করত।কোম্পানি যদি স্বচ্ছ থাকতো, তাহলে পৃথিবীতে এত নামকরা e-wallet সার্ভিস থাকতে prowebpay কেন গ্রহন করল...??? আর prowebpay যদি এতই ভালো হতো, তাহলে ডলার ট্রান্সফার করতে এত জটিলতা হবে কেন...???
সর্বশেষ ১৯/৫/২০১২ প্রকাশিত ডোল্যান্সারের নতুন পরিকল্পনায় তারা উল্লেখ করেছে, প্রতি একাউন্ট এ ক্লিক টু আর্ণ রাখতে হলে প্রতি তিন মাসের মধ্যে নতুন একটা direct sale করতে হবে। না হলে ক্লিক টু আর্ন বন্ধ তার মানে এই ৩ মাসে আপনার ইনকাম হবে প্রতিদিন ১$ করে তিন মাসে ৯০$ আর আপনি যদি কোন direct sale না করতে পারি তাহলে আপনাকে আরো ১০$ কোম্পানি দিয়ে একটা direct sale করতে হবে।কোম্পানি কে আর কোন পেমেন্ট করতে হবে না।ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজতে চায় আরকি... এখন চিন্তা করে দেখেন কত বড় বেকুবের দেশে আমরা আছি!
এইসব ঘটনা থেকে কি এটা স্পষ্ট নয় যে, ডুল্যান্সার এখন ক্লিক টু আর্ন থেকে আয় করা টাকা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে পড়েছে...??? এভাবে আর কয়দিন...??? আর কিছুদিন পরেই হয়ত ডুল্যান্সারের মালিক রোকন ইউ আহামেদ ফ্যামিলি নিয়ে পাড়ি জমাবে বিদেশে... আর আমরা বাঙ্গালীরা তখন আঙ্গুল চুষব বসে দেশে । পরিশেষে বলতে পারি "ডুলেন্সার" না টাকা দিয়ে গু নেন স্যার।