somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ nnএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

ভালো হয়ে যাও মাসুদ....

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভালো হয়ে যাও মাসুদ.....

ভিন্নমত, দ্বিমত মানেই সরকার বিরোধীতা নয়, সমালোচনা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়- এই সহজ সত্যটা কখনওই শেখ হাসিনা বোঝেনি! অথচ শুধুমাত্র ভিন্নমত, দ্বিমত পোষণ করার কারণেই অজস্র নিরাপরাধী মানুষকে হামলা মামলা দিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন করেছে। গুম করেছে, হত্যা করছে অবলীলায়।

আওয়ামী দুঃশাসনের ১৫/১৬ বছর শেখ হাসিনা চমৎকার একটা ন‍্যারেটিভ প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে, সেই ন‍্যারেটিভটা হলো, "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি"। যদিও এই ন‍্যারেটিভ এর সুস্পষ্ট মন্ত্র ছিলো- তুমি আওয়ামী লীগ হলেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি, আওয়ামী লীগ না হলেই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি! যদিও এর শুরুটা আওয়ামী লীগই করেছিল স্বাধীনতার পর থেকেই। কিন্তু হাসিনা আমলে সেটা আরও বেগবান, আরও স্থায়িত্ব ও প্রতিষ্ঠা পায়। একটা দেশকে দুই ভাগ করার জন‍্যে এই একখান ন‍্যারেটিভই যথেষ্ট। এই একটা শব্দ (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ অথবা স্বাধীনতার পক্ষ-বিরোধী শক্তি) বুঝিয়ে দেয়, এই দেশে আওয়ামী লীগই দেশের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে এবং অন্যরা সবাই দেশের বিপক্ষে, স্বাধীনতার বিপক্ষে। মনে হয়, once upon a time "মুক্তিযুদ্ধ" নামে এই দেশে বিশেষ একটা সম্পত্তি ছিল এবং সেই সম্পত্তির মালিকানা এবং ভোগ-দখলের অধিকার একমাত্র আওয়ামী লীগের। এই মালিকানার বলেই তারা গত ১৫/১৬ বছর ইচ্ছামতো লুটপাট করেছে, নির্যাতন নিপীড়ন, খুনখারাপি করেছে। আজ যখন এই আওয়ামী নামের অপশক্তিকে ছাত্র-জনতা মিলে বিতাড়িত করেছে, এখন তারা পুরানো মদ নতুন বোতলে ভরে নতুন বয়ান দিচ্ছে, জুলাই গণঅভ‍্যুত্থানের মধ‍্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে শাসন ক্ষমতায় বসানো হয়েছে!

আফসোস, "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ" নামের শব্দ বন্ধটি একদিকে যেমন অতি ব‍্যবহারে জীর্ণ হয়ে গেছে, অন‍্যদিকে তেমনি বৃটিশ আমলের divide and rule policy ও অতি চর্চার কারণে আধুনিক জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। কাজেই পুরানো বয়ান নতুন বোতলে যতই ঢালা হোক না কেন, সেটাকে কিছুতেই নতুন বলে চালানো সম্ভব হবেনা। মুক্তিযুদ্ধ যে সকলের অংশগ্রহণের যুদ্ধ ছিল, এই দাবীকে আর মিথ্যা বলে প্রচার করা যাবেনা। কারোরই ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। দেয়াল লিখনের মতো বলতে হয়, "দেশটা কোন বিশেষ দলের না, দেশটা কারোর বাবার না, দেশটা কোনো পরিবারের না।"

পালিয়ে বাঁচা ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডক্টর ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে যতই আস্ফালন করুক, মোদি- ট্রাম্পের ভরসায় দিবাস্বপ্নে বিভোর হোন, তাদেরকে একটা কথা মনে করিয়ে দেই- আপনারা ভুলে যাচ্ছেন যে ভগ্নপ্রায় দেশের ত্রাণকর্তার দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। আপনাদের আচরণে স্পষ্ট যে, আপনারা কেউই তাকে চিনলেও জানেননা। জানলে পলাতক আপার দাঁড়োয়ান-বুয়া-আবদুলদের সাথে ফোনালাপ শুনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে সংঘবদ্ধ হয়ে পতিত পরাজিত পলাতকদের পক্ষে আওয়াজ তুলতেও কয়েক বার ভাবতেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস- স্মিত হাসির আড়ালে ধীর, স্থির, একজন কঠোর মানুষ। যথাসময়ে ক্ষিপ্র, নির্মম অপ্রতিরোধ্য প্রতিপক্ষ।

আপনাদের দুইনম্বর নেতা নসিহত করেছিল- "ভালো হয়ে যাও মাসুদ...."- না, মাসুদ ভালো হয়নি। ভালো হয়নি লীগের একজনও! আপনাদেরও পালাতে হবে- আপনাদের উৎসভূমিতে....
দেশের প্রশাসনে, বিভিন্ন বাহিনীতে, রাজনৈতিক দলে, সুশীল সমাজ নামের ছত্রছায়ায় স্বদেশ স্বজাতিদ্রোহী অপশক্তিবৃন্দ, রুদ্রাক্ষমালায় জপতে থাকুন, "মৃত্যু আসিছে মন্থর পায়ে নাহিরে পরিত্রাণ"।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭
১২টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি এবং আমার প্রেমিকারা...

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪

আমার আগের প্রেমিকার সাথে সম্পর্কের সময়কাল ছিল প্রায় পাঁচ বছর...
তার সাথে টাকার ঝামেলা হওয়ায় আমি নতুন একটি সম্পর্কের সন্ধানে বের হই এবং ভাগ্যক্রমে পেয়েও যাই। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মত প্রকাশঃ ইতিহাস কি বিজয়ীরাই লেখে?

লিখেছেন জাদিদ, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২

"বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার সমস্যা" -বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আলী রীয়াজ একবার বলেছিলেন, ‘ইতিহাসের সঙ্গে ক্ষমতার একটা সম্পর্ক আছে। সে ক্ষমতায় যারা বিজয়ী হয়, তারাই ইতিহাস রচনা করে। পরাজিতরা ইতিহাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধু নাম আর কেউ মুছতে পারবেনা।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০


২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনণের পরপরই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মহাকাশে আজ উড়ল বাংলাদেশের পতাকা। আজ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশবিরোধী আদানি চুক্তি ও ব্যাড পলিটিক্সের খপ্পরে বাংলাদেশ!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪


বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে ২০১৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য চুক্তি করেন।ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত গোড্ডা পাওয়ার প্লান্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

“বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি “এই কথা রিজভী কোন মুখে বলে ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১



অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনছিলাম উনি কি নিজেকে মহান প্রমান করার জন্য এই কথা বললেন নাকি উনি বলদ প্রকৃতির মানুষ সেটাই ভাবতেছি। উনি নিশ্চই জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×