খুব ঘোলা চোখ
সেই চোখ সবচেয়ে ঘোলা আরও ঊর্বর!
বহুবার আগে কনকসূধার পাঁপড়ি ছিল ওমন।
বিধবা কাঁশফুল হয়ে গেছে বৃষ্টি সভ্যতায়।
সেই চোখ- বিলুপ্ত প্রায় জহুরিচাঁপার কুসুম।
আঙ্গুল ছুয়ে যায় করবী বাতাস
আলকুশী পাতায় কাঁন্নার ভোরে।
সেই চোখ ভেসে আসে চোখে, করবী বাতাসে।
সেই চোখ নক্ষত্রের বুনন
সবচেয়ে বষন্ত দিন, শুদ্ধ বিষাদ।
নিলমণিলতায় প্যাচানো সেই চোখে-
কবিতার পুনুরুত্থান আটকে থাকে
সেই চোখ ঢোলকলমীর জলজ উদ্যান
ভূঁইচাঁপা ঘ্রাণ, মৃত্যুবৃত্যান্ত।
কিছুই কি আছে, তার চেয়ে ভালো !
চঁন্দ্রমল্লিকা, হিমচাঁপা।
জাফরান বন, হলুদ অশোক পথ !
টায়ার ড্রাইভার
আমি তো টায়ার ড্রাইভার
রোদ পোড়া পথে টায়ার চালাই
রাখাল নই, বাশিও বাজাই না।
ষোড়শীর কাপড় চুরি করিনা।
আমি শুধু টায়ার চালাই
ছেড়া ফুলের শহরে।
আমার কোন যাত্রী নাই,
তবু মাঝে মাঝে দু-এক হাতা ধুলো
আমায় বলে চল
আমি চলি, ধূলো ওড়ে
ধূসর বাতাসের শহরে।
মাঝে মাঝে রাত নেমে আসে,
দ্বাদশী চাঁদ গাঙ্গে নামে স্নানে।
ঐপারে যাওয়া হয়নাই তাই-
মাঝে মাঝে থামি।
ধুলো সরে যায়, দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাষে।
মাঝে মাঝে বাতাস সুরসুরি কাটে,
খিলিখিলিয়ে হাসে
রক্তজবার বন
ওদের রক্তের ধরণ আমার সাথে মেলে।
প্রতি বৃষ্টিবার রক্ত দিতে যাই।
বিনিময়ে ওরা নাম ধরে ডাকতে দেয়।
আমার পরিচয় সবাই জানে
আমি তো টায়ার ড্রাইভার
রোদ পোড়া পথে টায়ার চালাই
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২