গভীরতা (ক)
গভীর নারীর মত এই নদী;
সুমুদ্রকে ভালোবাসেনি কোনদিন।
মৃন্ময়া অন্ধকারে, বন্দরে আছড়ে পড়ে।
বন্দরে বসতি সবচেয়ে মদ্যপ জাহাজীর।
চোখে তার অদ্ভুত হাহাকার।
গভীর নদীর মত যে নারী, বয়ে চলে গেছে।
অস্থীর জাহাজীর মনে পড়ে তার কিছু কিছু।
বিভ্রান্তির বিভোর!কত গভীর! কত ঘোর!
ভালোবেসেছিল কি সে কোন কালে! কৃষ্ণ অথবা শুল্ক পক্ষে!
রুপকথা! তবু ভালো; মদ্যপ জাহাজী।
সেই নারী নদী হয়ে গেছে যেই নদী-
সুমুদ্রকে ভালোবাসেনি কোনদিন।
হারিয়ে যাওয়ার পর, দেখছিল শেষবার,
মধুচন্দ্রিমায়, মোহনায়।
সবশেষে সুমুদ্রে মিশে গেছে তা, সে।
জাহাজী জল হয়ে গেছে টল-মল।
সেই জলে আকাশের ছায়া।
আকাশ কখনও মিথ্যে বলেনা; দ্বিধান্বিত থাকে।
গভীরতা (খ)
তোমায় আমি একলা ভাবি, একলা আঁকি।
আমার একলা পরি, একলা পাখি।
তুমি কারো সঙ্গে নও, তোমার কোন সঙ্গী নেই।
আমি তোমার ভীড়ের মাঝে। আছি, রবো এইভাবেই।
ভাসছো একাই দ্বিকবিদিক, তোমার কোন মাত্রা নেই।
তুমি আমার ডাইনে বায়ে, উত্তর ভেতর সবপাশেই।
তোমায় দিয়ে আমায় ভরে, তোমায় রাখি শুন্য করে।
সবগুলো ভাগ আমিই রাখি, তোমায় অনেক টুকরা করে।
তোমার কোন স্বপ্ন নাই, ছোয়া নাই যুবকের,
কুমারি ফুল হয়ে থাকো, আমার ভেতর সব পথের।
হবেনা আর ছুয়ে দেখা, তাইতো গোলাই কল্পনায়,
আসলে আমি গভীর একা, কিন্তু তুমি সর্বময়।
রক্ততা
সমস্ত রঙ ঢেলে দিয়ে তোমারে,
নিজেরে বেধেছি সাদাতে কালোতে।
যেমন খুব সাদা বক এবং অথবা খুব কালো তক্ষক।
যেমন ধরো, সাদা কালো দুরদর্শনে কৃষ্ণচূড়া।
সাদা, সাদার মতন, ধূসর, কালো, অন্ধকার।
মেয়েগো, আরো রঙ দেব, আলতা কিনে দেব,
তবু ক্ষান্ত দাও রক্তক্ষরন।
পেইন্টিং গুলো নিজের করা
উৎসর্গঃ সে গভীর করেছে ক্ষত, দহনে রক্ত ক্ষরনে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২০