যারা নগদে খাইছেন অথবা বাকিতে খাইছেন অথবা যাদের খাওয়ার সম্ভাবনা আছে অথবা যাদের দেয়ার নিয়ত আছে তাদের জন্য এই বিষয় গুলির উপর বেশ কিছু মুভি আছে। যেই মুভি গুলি আপনাকে ভালো থাকতে ভেতর থেকে ফোর্স করবে, আপনাকে শেখাবে আপনি একটা শক্তি, যার ক্ষয় নেই শুধু রুপান্তর আছে। এভিরিথিংস গোনা বি অলরাইট। এই মুভি গুলির থেকে কিছু মুভির নাম এবং সার সংক্ষেপ নিন্মে বর্ণিত হলঃ
Forgetting Sarah Marshall (2008)
যারা দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থায় আছেন তারা জ্যাসন সিগ্যাল এর পিটার চরিত্রটার সাথে হাসবেন কাদবেন, ভাববেন এই াল ছাল কিছুই না সবই ফাইজলামি। আর সেই থিম, “ যে চলে যায় তার যাওয়াটাই ভাল, থাকাটা জীবনের জন্য ক্ষতিকর”
রচনা এবং পরিচালনা করেছেন যথাক্রমে জ্যাসন সিগেল এবং নিকোলাস স্টোলার, এই জুটি দুইটা খুব ভালো পাই।
(500) DAYS OF SUMMER
যদিও প্রথম প্রথম মনে হয় আমি শ্যাষ আনা মারিজুন খাতিমুন আসলে কিছুই না সবই আবেগ, যা ছিল তা মায়া এখন যা হচ্ছে সেই মায়ার চুল। যদি মনে করে থাকেন যে ছিল সে ছিল পারফেক্ট এবং ইউ ওয়্যার মিন্ট টু বি টুগেদার। তাইলে ভুল ভুল ভুল। পারফেক্ট এর সংগা শুধু একজনেই সীমাবদ্ধ না। আর, কোন কিছুই খোদাই করানা আপনার লাইফ এ। ভালো কিছু আছে, ভালো কিছু পেতেই পারেন। ভালো কিছুর জন্য আপনাকে তৈরি করতে পারেন।
জোসেফ গর্ডনের টম চরিত্রটি এটি বুঝতে সাহাজ্য করবে। যদিও জ্যোয়ি এর সামার চরিত্র আমি মেনে নিতে পারিনা, নিতি বিরুদ্ধ। যাইহোক এই চরিত্র গুলা আছে বলেই আমরা মনে করি তারা পারফেক্ট কিন্তু আসলে না। tongue ইমোটিকন
Queen (2013)
যারা দেখেছেন বলার প্রয়োজন নাই এইটা কি হেড মাষ্টার পিস! কত সহজ সুন্দর গল্প, কত সাবলীল অভিনয়, আহা কি সুখাদ্য!
অন্য একজনের কাছে নিজেকে মুল্যবান করে সাজাতে যেয়ে নিজের কাছেই মুল্য হারিয়ে ফেলি। এই মুভিটা আপনার উপলব্ধি তে ঢুকিয়ে দেবে, ইউ আর প্রাইস্লেস টু ইওরসেলফ। জাষ্ট বি ইওরসেলফ, দেখেন গেবন হয় সোন্দর
ETERNAL SUNSHINE OF THE SPOTLESS MIND (2004)
ওয়েল, এইটা বেশি সিরিয়াস, যখন দেখবেন কিছুতেই কাজ হয় না তখন আপনাকে প্র্যাকটিকাল হতে হবে। বুঝতে হবে আসলে কিছুই মুছে দেয়া/ফেলা সম্ভব না। মনের দাগের কোন সার্ফ এক্সেল নাই কোন ইরেজার নাই যা নগদে কাজ করবে। বরং আপনি স্বৃতি গুলোর সাথে চুক্তি করতে পারেন, তাদের শর্ত মেনে নিতে পারেন যে তারা হচ্ছে জীবনের অংশ আর জীবন হচ্ছে সময় থেকে সময়ের ব্যাবধান। সময় ই সব কিছু ঝাপসা করে দেবে।
গল্পকার চার্লি কফম্যান আমার সবসময় ই প্রিয় এ্যানোমালিসার পরে শ্রদ্ধেয়ভাজন হয়ে গেছে। জিম আর ক্যাটি, ভালোবাসি।
Pyaar Ka Punchnama 2 (2015)
একটা হাই জাম্প এর ইমো হপে। মুভি একটা! প্রেমের এ ফোড় ওফোড় করে ছেড়েছে। কিছু জিনিষ আছে গল্প বলে বোঝানো যায় না কিন্তু ভালোবাসা (লাভ) রঞ্জন খুব সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। প্রেমের সবকিছুর ই একটা স্পষ্ট রিফ্লেকশন উঠে এসেছে এখানে।
কিছু কিছু মানুষ খুবই অযৌক্তিক হতে পারে, একবার চেষ্টা করবেন দুবার, পরে পারবেন না, এর মানে আপনি অযগ্য না। ইউ আর জাষ্ট নট মিন্ট টু বি টুগেদার। সেখানে তো ব্রেক আপ আবশ্যক।
কিছুই না, ভাইয়ারা জাষ্ট একটু বিড়ি বুড়ি (বুড়ি তো বুঝছেন wink ইমোটিকন ) আপুরা কি করবেন জানিনা। এরপর সবাই মাকে একটা কল দেন।
আমি দিছিলাম, মা বলছিল হারামির বাচ্চা এত রাইতে ফোন দিছিস ক্যান, আমি বলছিলাম, তোমার বাপ হারামি।
আরো অনেক আছে, বেশি বড় হয়ে যাবে তাই এই পর্যন্তই থাক।
সবার সিচুয়েশন ই আলাদা, But, no ones’ heartache is greater than the other one.
এই যে এত ভালোবাসা, বহুগামিতা, জটিলতা নিয়ে এত মুভি এত গল্প। কোন কিছুতেই আসলে কেউ উপসংহার এ আসতে পারেনা। সব মিলিয়ে দেখলাম আমাদের আগের জেনারেশন টাই ভালো ছিল, এক জন আর একজনের গলায় ঝুলে পড়লেই হয়। এরপর কোন ছাড়াছাড়ি নাই। অত কিছু বুইঝা লাভ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১০