প্রেমতা
ঠোটে, গলায়, গালে নয়, মাথার মধ্যিখানে,
আমার মগজে চুমিয়াছিলে তুমি।
আমার গুরু মস্তিস্কে তোমার গন্ধ, ঘাম, ঘ্রান
লঘু মস্তিস্কে তোমার চিৎকার, অন্ধকার; অন্ধকার।
আমি সব পূর্নতা ছাড়ি, সেই শুন্যতা ধরি।
সেই স্বপন, কাকন, কাপড় আমার ভেতর ঘোরে।
আমি ঘুরি তাহারাও ঘোরে,
এ্যামিগডালায়, হিপ্পোক্যাম্পাস এ আর প্রাচীর - সম্বন্ধীয় লতিকায়।
তোমার বারান্দায়, জারবারার পাশে ইজি চেয়ারে নয়,
তুমি বসিয়া আছ আমার অনুচক্রিকায় ।
অপারগতা
একটা নৌকার গল্প শোনাব তোমারে,
ঘুমাইনা তাই বহু রাত্রি, গভীর রাত্রি ধরে।
গল্প বুনে বুনে মাকড়সার জালে,
নিজেই আটকে গেলেম জালের অতলে।
আমি বহু ক্রোশ পথ পাড়ি দিয়ে যাই
সেই পথে স্বপ্ন নাই ক্লেশ নাই উপসংহার নাই।
গল্প টা এক নির্জন নৌকার,
কেউ নেই কিছু নেই শুধু বৃত্তের পারাপার।
ধুসরতা
কোন এক জীবনে ............
এক জানলা ভোর নিয়ে-
এক জোড়া কালো চোখ,
আর এক জোড়া ধূসর, অথবা বিষ্ময়।
কোন এক রাতে,
শুধুই এক জোড়া ঝাপসা চোখ,
আর অন্ধকার,
ঘন, গাড়, জমাট অন্ধকার।
শুন্যতা
বৃত্তের বাইরে যাব কখনও ভাবিনি
এই যে, এখানে বিশাল পৃথিবী, দুর্বধ্য মুক্তি!
অপিরিচিত ভীড়, মৃয়মান রোদ
আর আছড়ে পড়া সুমুদ্রের পাড়ে
ক্ষুদ্র আমি আমকেই খুজে পাইনা।
তোমার বৃত্ত পাথর প্রাচীরে ঘেরা,
তুমি বধূ হলে আমি কবি হলেম
এখন শুধু হাটাহাটি,
নিযুত বছর ধরে পথ হাটিতে থাকিব
তোমার অক্ষপথে।
আমারে কেউ শান্তি দিবেনা কোনদিন।
বন্ধুতা
কুয়াশায় মোড়ানো কোমল শুন্যতায়,
হাড়িয়ালি বিলের কি এক অদ্ভুত ল্যান্ডস্কেপ!
তোকে নিয়ে বেরোবো কোন এক শেষ রাতে,
বেড়াতে।
সঙ্গে তুলি নিস, রঙ নিস কচুড়ি পাতার,
ওমন হালকা ওমন কোমল।
তবেই, খুব শাদা বক আঁকতে পারবি।
তোর চোখে থাকবে,
শিশিরের অসঙ্গায়ীত রঙ, আকাশ গোলানো রঙ।
হাজার রঙের অভিবাসী পালক, আরো কত কি!
আর আমার চোখে তুই, বন্ধু।
কবিতা এবং ছবিতা একান্ত নিজস্ব সম্পত্তি
উৎসর্গঃ গভীর নদীর মতন চোখ যার ঘোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯