সিলেটে সাধারণ মুসল্লিদের রোষানলে পড়ে মসজিদ ছাড়তে বাধ্য হলেন সাবেক মেয়র ও আসন্ন নির্বাচনে ১৪ দলের মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। গতকাল শনিবার নগরীর বন্দরবাজার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল যোহরের নামাজের সময় ফরয নামাজের পর সাবেক মেয়র কামরান নির্বাচনকে সামনে রেখে মুসল্লিদের দোয়া চেয়ে বক্তব্য শুরু করেন। এক পর্যায়ে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘দোয়া চাওয়ার কি দরকার, আপনি বসেন, আপনারা নিরীহ আলেমদের হত্যা করেছেন, আপনারা শাহবাগ গিয়ে দোয়া চান’-এরকম নানা কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে মুসল্লিরা বসা থেকে সবাই এক সাথে দাঁড়িয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের তোপের মুখে মসজিদ থেকে বের হয়ে দ্রুত গাড়িতে করে চলে যান সাবেক এই জনপ্রিয় মেয়র। মুসল্লিদের চিৎকারের শব্দে মসজিদের আশেপাশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ছুটে আসলে মুহূর্তের মধ্যে খবরটি নগরজুড়ে চাউর হয়ে যায়। শুরু হয় কানাঘুষা। এক পর্যায়ে টক অব দ্যা সিটিতে পরিণত হয় এই বিষয়টি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, মসজিদে কিছুটা উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল এটা ঠিক। তবে মেয়র প্রার্থী কামরানের সাথে মুসল্লিদের কোন ঝামেলা হয়নি। সেখানে মসজিদের মোতাওয়াল্লীর বক্তব্যের সময় মানুষ কিছু হৈ হুল্লোড় করেছেন।
বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কামরান বক্তব্যে বলেন, আমি ছড়ার পারের মানুষ হিসেবে এই মসজিদ আমার নিজের এলাকার মসজিদ হিসেবে নামাজ পড়তে এসেছি। তখন একজন মুসল্লি দাঁড়িয়ে বলেন, ‘গত ১০ বছর কোথায় ছিলেন, এখন নির্বাচন এসেছে তাই ভাব ধরছেন’। এভাবে হুলস্থুল পরিবেশ তৈরী হলে কামরান দ্রুত চলে যান।
মসজিদের মোতাওয়াল্লী আলহাজ্ব নজমূল হোসেন ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ঘটনা তেমন কিছু না। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি তৈরী হয়েছিল তা সমাধান হয়ে গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইল মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এর সাথে গত রাত ৮টার দিকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটু ব্যস্ত আছি। পরে যোগাযোগ করেন। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুনরায় ফোন করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
লিন্ক
লিন্ক
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩২