পৃথিবী জুড়ে নয়, এইখানে সন্ধ্যা নামছে।
মাগরিবের আজানের বিষন্ন ধ্বনিতে ছেয়ে যাচ্ছে আকাশ
করুন পাখিরা দুরুদুরু বুকে ফিরছে পুরোনো খড়কুটোর আশ্রয়ে
নিমিষেই আবার থমকে যাচ্ছে বিকেলের ঝড়ে উৎপাটিত নীড়ের শূন্যস্থানে
বাস্তুহারা পাখিদের দীর্ঘশ্বাস এখানে নির্ভুল শোনা যায়/
তবু কই? পৃথিবীর সবটুকু কোণে নামছে না তো সন্ধ্যার কাজলগোলা আঁধার!
যেটুকু ধূসর নির্জনতা সবটুকুই কেবল দেখি এইখানে
হু হু বাতাসের চেয়েও দ্বিগুন হাহাকার এই সেই আয়তক্ষেত্রে
চাঁদটা এখনো ঝুলে পড়েনি চৌকোনা আকাশের খোপে
ঝলসানো রুটির মাপে পুড়ছে মহীশ্বরের আবহমান অগ্নিপাত্রে/
আহ্নিকচক্রটা চাকা ভেঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এইখানে
তাই পৃথিবী জুড়ে যখন ভোর আসে, এইখানে ভর করে ভূতকাল/
হে ত্রাতা, তুমি রয়েছ নীরবে।
আমায় দিয়েছ ধ্রুব এক কৃষ্ণপ্রহর
আমি দিন গুনেছি, কাল গুনেছি, ক্ষণ গুনেছি,
আসেনি ঊষা, কাটেনি নিশা
সন্ধির অন্ধকারে বন্ধ্যা সময় খুঁড়ে আমি আনতে পারিনি বন্ধনহীন মুক্তি
পেয়েছি নিছক ক্রান্তিকালের অমোঘ অনিশ্চয়তা/
অবশেষে নিশ্চিত জেনেছি-
ত্রাতা তুমি মৃত!