আমার ভীষন ইচ্ছে করে তোমার ছেলেবেলার খেলার সাথী হতে...
হাফ প্যান্ট পরা তুমি আর গোলাপী ফুল ফুল ডালিমহাতা ফ্রকে আমি
ডাব পাতার ঘড়ি আর চশমা পরে ভর দুপুরে টো টো করে বেড়াতে
অন্য পাড়ার অলিতে গলিতে।
হঠাৎ, ঐ মালাই আইসক্রীমওয়ালা!
এক ছুট্টে বাড়ির দোর
এই যা! মা তো হুড়কো তুলে ঘুম
পাঁচিল টপকে উঠোন
মাটির ব্যাঙ্কটা এনে চুপিচুপি তোমার হাতে দেয়া-
আমার তেলটানা আদুরে বেনীর ক্লিপ
খুঁচিয়ে নিমিষেই দুটো টাকা
আহ! নারকেলওয়ালা সেই মালাই আইসক্রীম!
দুজন কামড়ে সাবাড় করা...
সন্ধ্যাবেলা হাতপা ধুয়ে পড়তে বসা
চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তোলা
ধুপ করে চলে যায় কারেন্ট!
এ-এ-এ-এ-এ!!!!
খুশির হুল্লোড় শুনি ও বাড়ি থেকে তোমার
বইটা উল্টে, লাফিয়ে দক্ষিণের মাঠে
জোনাক ধরার খেলা...
চলতে চলতে ফাইভ পেরিয়ে হাইস্কুল-
দিনে দিনে কেমন ঢ্যাঙা হয়ে ওঠো তুমি
উসখুশে, উড়ু উড়ু...
সে তোমার বদলে যাওয়ার শুরু
কেমন ধারা তাকাও তুমি বুঝিনাতো কিচ্ছু
মনে মনে বকেছি "শয়তান, বিচ্ছু.."
চালিয়াত শব্দটা শিখিনি তখনো আমি
ভাল লাগেনা দামড়া ছেলে
অচেনা তুমি
বিশ্রী তুমি
ভাল লাগত শুধু সেই পিচ্চিকালটা ফিরে পেলে...
তাই ভীষন ইচ্ছে করে,
তোমার ছেলেবেলার বন্ধু হতে
চিবুড়ি, রঙ রঙ, আতা-পাতা,
মার্বেল আর ডাংগুলি খেলা
ডানপিটে সারাবেলা!
হোয়োনা বড়, প্লিজ
রাখবে কথা? নইলে-
আড়ি আড়ি আড়ি
কাল যাব বাড়ি
পরশু যাব ঘর
কী করবি কর!!!