ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনকালে সময়ের চলমান প্রক্রিয়ায়, নাগরিক দ্বায়িত্ব পালনে দেশের প্রয়োজনে রাজপথে আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। কীবোর্ডকে অস্র বানিয়ে স্বৈরশাসকের হৃদয় ফালাফালা করে দিয়েছি। ফলে আমাদের অজস্র সহযোদ্ধাদের জীবন দিতে হয়েছে। গুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। কতো দিন মাস বছর একটুখানি স্বস্তিতে ঘরে থাকতে পারিনি। ঠিকানা ছিল কখনো কারাগারে, কখনো যাযাবর, কখনো চোখ রাঙানো আতঙ্কে কিংবা শারীরিক-মানসিক হেনস্তার শিকার সহ আরও কত কি! শুধু জুলাই আন্দোলনেই দেড় হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে, ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে! ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে কৌশলগত কারণে বারবার থমকে গিয়েছি, তবুও আমরা থেমে থাকিনি।
আমরা লড়াই করেছি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে,
আমরা লড়াই করেছি জনগণের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য। আমরা লড়াই করেছি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা লড়াই করেছি ফ্যাসিবাদের অত্যাচার থেকে এদেশের মানুষকে মুক্তি দিতে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে আমরা যারা যৎকিঞ্চিত রেখেছিলাম তারা মোটেই ব্যক্তিগত ক্রেডিট চাইনা। আমরা সকল নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার চাই, মৌলিক অধিকার চাই।
হ্যা, আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি, তবে কোথায় যেনো একটু ঘাটতি রয়ে গেছে.....
অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুইএকজন ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার চেষ্টা করছেন, জুলাইয়ের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান হচ্ছে তাদের ম্যান্ডেড এবং তারা নির্বাচিত। এটা একটা ভুল ধারনা, ভুল কথা। অভ্যুত্থান হয়েছিল হাসিনাকে হটানোর জন্য। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য সবাই ঐক্যমত হয়েছিল। আপনারা নির্বাচিত নন, আপনারা আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার করুনারপাত্র!
আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা বিবেকবান ও গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন উপদেষ্টাগণ নিজেদেরকে নির্লজ্জ হিসেবে জাতির সামনে হাজির করবেন না।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪