আমরা আপনি, তুমি ,তুই এগুলো ব্যবহার করি সম্পর্কের ভিত্তিতে। পরিচয় এর শুরুতে আমরা আপনি দিয়েই শুরু করি। আপনি থেকে তুমি তারপর একান্ত আপন হলে সে সম্পর্ক যেতে পারে তুই তে।
সাধারনত সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্কের শুরু আপনি দিয়েই। অফিসিয়াল ভাষাও হয় আপনিতে। বাপের বয়সি লোকটিও আপনাকে অফিসিয়াল নিয়মের কারণে আপনি করে বলতে বাধ্য।
আর তুমি কথাটি আপনদের মধ্যেই হয়ে থাকে। বন্ধুত্বটা শুরু হয় তুমি দিয়েই। প্রিয়জন বড় হলেও তাকে অনেকে তুমি করে বলে আন্তরিকতা দেখিয়ে। বাপ-মাকেও অনেকে তুমি করে বলে আদর করে।
আর একান্ত আপন ভাই বোনদের তুই করে বলি আমরা। তুই শব্দ মনে হয় একান্ত আপনদের জন্য।
ভুল করলাম না তো। আর হ্যা, আমরা তুই শব্দটি ব্যবহার করি তুচ্ছ করার জন্য। রাস্তার টোকাইটাকে আমরা কি বলি? তুই না তুমি। তুই , তুই ই তো বলে থাকি। তাকে তুচ্ছ করার জন্য বলি। তাকে তুমি কি করে বল্লে, অসুবিধাটা কোথায়?
আমার বন্ধুদের দেখেছি রিক্সা চালককে তুই করে বলছে। "এই খালি, তুই যাবি।" "এই
কার্জন হল যাবি।" "তুই এত বাড়া চাস কেন?" ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেকে বাপের বয়সি লোককেও তুই করে বলতে দ্বিধা বোধ করে না। সেদিন এক রিক্সা চালক দু:খ করে বলছিল, তাকে তার ছেলের বয়সি ছেলেরা তুই করে বলে। তিনি বললেন তার বয়স ৪৮ বছর। ইন্টার পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন। বিভিন্ন কারণে উনি আজ রিক্সাচালক। যাই হোক, উনি আক্ষেপ করলেন আজকের ছেলেদের নিয়ে। আমি তাকে আপনি করে বলার কারণে উনি খুব খুশি হলেন।
লোকজনদের একটু শ্রদ্ধা দিয়ে কথা বললে সমস্যা কোথায়?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:৫৯