সে ঝুঁকে এলো ।
আমি গন্ধ পেলাম –তীব্র কোন পরিচিত ঘ্রাণ ।
মাথা ধরিয়ে দেয় !
সে হেসে উঠলোঃ
‘ভেরসাচে এরোস’
আমি চমকে পিছিয়ে গেলাম ।
তার শাদা শাদা ছোট দাঁতে হাসির দমকে
আমার কান ঝাঁ-ঝাঁ করতে শুরু করেছে ...
সে আরো ঝুঁকে এলো ।
‘তুমি দুঃস্বপ্ন দেখো, প্রতি রাতে, প্রতি রাতে দেখো ?’
‘হ্যাঁ ? ...হ্যাঁ ।’
‘তোমার হ্যালুসিশন হয়,...’, সে বলতে লাগলোঃ
‘তুমি আমাকে দেখতে পাও
রাতভর জেগে জেগে
আমার সাথে কথা বলো- ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন !
তুমি কি থমাস হ্যারিসের লেখার খুব বড় ভক্ত ?’
তার চোখ জ্বলে উঠলো
মেরুন রঙের অদ্ভুত কনিনীকা তার কথার সাথে সাথে নাচছে
খড়খড়ে ধাতব কন্ঠে আবারঃ
‘এখনো দেখতে পাচ্ছো আমাকে ?’
আমি চুপ করে রইলাম ।
সে কাচের গ্লাসে রক্তলাল ওয়াইন ঢালতে ঢালতে বলল,
‘তুমি লিখতে চাও । হ্যাঁ, লিখতে চাও ।
থমাস হ্যারিসের মত ?’
আমি আবারও চমকালাম ।
‘আমি চাই আপনার মত একটি চরিত্র
আমি তাকে পৃষ্ঠায় বাঁধবো,
আমি আপনাকে চিনতে চাই !’
সে মাথা ঝোঁকালো
গাঢ় খয়েরী রঙের টাই ঠিক করতে করতে বলল,
‘... নিজেকে কল্পনা করো
আমার মত করে...’
আমি কল্পনা করলাম ।
সে আমার চোখের থেকে চোখ সরিয়ে ডাইনিং এ তাকাল,
সেখানে ফল কাটা ব্লেড অপেক্ষা করছে
সে হাসল ।
‘আমি তোমায় গল্প শোনাবো,
আমাদের গল্প । তুমি ব্যথা অনুভব করতে পারবে না...’
আমি বা গালে ব্লেড বসিয়ে দিলাম
রক্ত ... কেবল রক্ত ... রঙিন ওয়াইনের মত !
‘আমার নাম কোথা থেকে এসেছে, জানো ?
মার্মারার সমুদ্রতটে আংটি থেকে যিনি বিষ চুষে খেয়েছিলেন
দ্য গ্রেট হ্যানিবল- মহান সৈনিক !’
লিথুনিয়ান সাইকোপ্যাথ বলে চললেন
‘...তার থেকে; রোমানদের
‘আতংক’ শব্দটির সাথে তিনিই প্রথম পরিচয় করিয়েছিলেন
তোমার কি মনে হয় ? থমাস হ্যারিস
আমার চরিত্রটি কার কাছ থেকে ধার করেছে ?’
‘জেসন রিকেটস ?’
‘ভিকটিমের দেহ পোস্টমর্টেম করি বলে ?’
‘উইলিয়াম কয়েন ?’
‘ক্যানিবালিজমের জন্য ?’
‘মায়াজাকি কি হতে পারে ?’
‘আমার বা হাতের ছ’টি আঙুল দেখে ?...
তুমি এখন পর্যন্ত নিজের চোখে ব্লেড ঢোকাতে
সাহস পাওনি । ভীরুরা লেখক হতে পারে না...’
আমি আমার চোখ ফুটো করলাম ।
সে হিসহিস করে বলল,
‘চিন্তা করো ! আরো ভাবো !
কে আমি ? আমি কে ?’
আমি চিৎকার করলামঃ ‘ডঃ সালাজার !’
সে হাসতে হাসতে বললঃ ‘A census taker once tried to test me.
I ate his liver with some fava beans
and a nice chianti’