আমাদের দেশে চাকুরীতে যেদিন কোটা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে , সে দিন থেকে মেধার বিকাশ ধংস হয়েছে।
চাকুরীর নিশ্চয়তা যেহেতু নেই তাই পড়াশুনা করে কি লাভ, এমন এক পাগলা ঘোড়া দাবরীয়ে বেড়াচ্ছে মেধাবীদের মাঝে। মেধার যেহেতু মূল্যায়ন হবে না, কোটা নামক আসমানী গজব যেহেতু জাতীর ঘাড়ে চেপে বসেছে তাই প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপদার্থ আর অযোগ্যরা ঘাটি গেড়ে বসেছে।
অযোগ্যতার যাতাকলে নিষ্পেশিত জনগন পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কাউরো অপক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে মৃত্যু যবনিকার ওপারে পরপারের ডাক এসেছে কিন্তু সেই সোনার হরিনের দেখা মেলেনি, হয়তো মিলবেও না কখনো।
যারা জি, পি,এ ৫ কে ভর্তির যোগ্যতার মাপকাঠি মনে করেন তাদের বিষয়ে দুটি বৎসর অপেক্ষা করার অনুরোধ করছি,এস এস সির জি পি এ ৫ এইচ, এস সিতে কি রেজাল্ট করে সেটাই দেখার বিষয়, যদি এরা সকলেই জি পি এ ৫ পায় তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই , আর যদি উল্টো হয়ে বসে তাহলে হয়তো করার কিছু থাকবে না কিন্তু যাদের জীবন নস্ট হয়েছে তাদের জন্য আপষোস হবে।
ইতোমধ্যে জি পি এ ৫ কে সমান্তরাল মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে স্কুল মাদ্রাসার পার্থক্য নির্নয় করা হয়নি শুধু মার্কসীটে জি,পি,এ ৫ থাকলেই হল। মেধার ক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী মেধাবী এ বিষয় এখানে আলচ্য নয়। তবে একটা বিষয় অবশ্যই স্বীকার করতে হবে শিক্ষা রিলেটেড আনুষঙ্গীক ইনস্ট্রুমেন্ট বা সুযোগ সুবিধা মাদ্রাসার চাইতে স্কুল কলেজে অনেক বেশী তাই এ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশী এগিয়ে। (বিজ্ঞান বিষয় এখানে একজাম্পল হতে পারে কোন কোন মাদ্রাসায় বিজ্ঞাণ বিষয়ের শিকই নেই থাকতো ইনস্ট্রুমেন্ট বা প্রায়োগিক শিক্ষা্। )
কোন ছাত্রছাত্রী সারা বৎসর ভাল পড়াশুনা করেছে কিন্তু এস, এস, সি পরীক্ষার সময় হয়ত অসুস্থ বা প্রশ্নপত্র বুঝে উঠতে পারেন নি বা অন্য কোন কারনে জি,পি,এ ৫ এর কাছাকাছি মার্ক পেয়েছে এখন তাকে কি থার্ড কাসের মর্যাদা দেয়া হবে নয়তো তাকে কেন নামকরা শিা প্রতিষ্ঠান অবহেলার নামে অযোগ্য ঘোষনা করল।
ভবিষ্যতে কি জি, পি, এ ৫ বাইরের শিার্থীরা পড়শুনা করতে পারবে না ? নাকি শিার্থী মানে জি, পি,এ ৫ ঘোষনা করা হবে।
পড়াশুনায় মন বসা অনেকটা আগ্রহের উপর নির্ভশীল কিন্তু মাঝ পথে যখন নিজের ভবিষ্যৎ দ্বিধাদন্ধের অন্ধকার অনুমিত হবে তখন ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনার আগ্রহ নস্ট হয়ে যাবে , সে তখন এক পা এগোলেও দুপা পিছনে তাকাবে ।
আমি গভর্নিং বডির সহসভাপতি ছিলাম এমন একটি মাদ্রাসায় বিজ্ঞাণ বিষয়ের ভাল কোন শিক্ষকই নেই থাকতো প্রাকটিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, একজন ছাত্র গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে নামকরা একটি কলেজে বিজ্ঞাণ বিষয়ে সকলের আগেই চান্স পেয়েছে অথচ হাজারো ৪.৮৫/৪.৯০/৪.৯৫ উপেক্ষিত হয়েছে।
তার উপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নূন্যতম ভর্তির যোগ্যতা বিজ্ঞানের বিষয়ের ক্ষেত্রে ৪.৬৩ নির্ধারন করে দিয়েছে অথছ জি, পি, এ ৫ এর নিচে একজনকেও নেয় নি। দরখাস্ত আহ্বানের নামে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। ঐ সকল ছাত্রছাত্রী বুকভরা আশা নিয়ে অপো করে উপায় অন্তর না দেখে নাকখাওস্তের কলেজ গুলিতে ভর্তি হয়েছে। এবার আপনারাই বলুন এ সকল ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কি হবে বা তাদের অবিভাবকদের কি অবস্থা বিরাজ করছে?
মেধার মূল্যায়ন কি গ্রেডিং পদ্ধতিই শেষ ঠিকানা নাকি মেধা যাচাই করার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নাগরীক তৈরী করার প্রয়াস সে চিন্তার মাঝে একটি প্রশ্নবোধক রেখা একে দিলাম চিন্তা জগতের অধিবাসীদের ।
প্রশ্ন থাকলো একটি, মার্কসীটে জি,পি,এ ফাইভ , ভবিষ্যৎ উচ্চ শিক্ষা নাকি ডেস্ট্রয় লাইফ???
বি:দ্র: মাদ্রাসা শিক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ে উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্ট সরবরাহ করার মাধ্যমে সমযোগ্যতায় আনার যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতা নির্ধারন হবে কেবল দুটি বিপরিত ধর্মী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিনির্মান নয়তো কেউ মাঝ পথে হারিয়ে যাবে আবার কেউ অঙ্কুরে বিনস্ট হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৩