ধ্যানমগ্ন কোনো সময়ের দিকে
~
কিছু উড়াল এলে মানুষে মানুষে ডালপালা হাঁপিয়ে ওঠে। ওই যে ছেলেটা— প্রচুর বাতাসে খালি গায়ে তাকাচ্ছে এদিক ওদিক, প্রচুর রেণু হচ্ছে ফুলের, প্রচুর ফুটছে লাল— সেই লাল থেকে জন্ম নিচ্ছে অদ্ভুত কিছু প্রজাপতি, বাতাসে ফিকে হয়ে এলো সূর্যের খুব ঘ্রাণ। আরেকটু পরেই সূর্য নেমে যাবে পাতালে। বালকের চোখে শান্ত ঘুম; শাদা ডানা ছাড়াই আকাশ থেকে সে তারা খসাতে পারে।
অনেক দূরে, হাত নেড়ে নেড়ে শিশুদের কি যেন বলছে মায়েরা। বহুদূর থেকে শব্দ ভেসে আসে পাখির পালকের মতো। বালক জড়িয়ে ধরে থাকে। ওই যে ছেলেটা দেখছিস, হ্যাঁ, কাছে যাস না, ডানা না থাকলেও ও কিন্তু, একটা দৈত্য ......
দ্বিতীয় অধ্যায়
~
পৃথিবীতে পাপ বেশি পুরনো, নাকি পাখা- এ প্রসঙ্গে কিছু লেখা নেই পুরাণে। লেখা না থাকলেও জানি এককালে মানুষের পাখা ছিলো। সেই পাখা একদিন পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। কিসের আগুনে ছাই হলো তা অবশ্য মানুষের অজানা। শুয়ে শুয়ে তাই এখন নক্ষত্র দেখি। অন্ধ একটি প্রজাপতির পাশে শুয়ে আছি আজ সাড়ে তিনশো বছর হলো।
জন্মবৃত্তান্ত
~
কেউই জানলো না একটি স্বপ্নের সূত্রপাত। তার আগেই ঢুকে পড়ি যে যার মতো। এমনও হতে পারে পলাতক আয়না ভ্রমণ। লাগোয়া জেব্রার চোখ। থিরথির বাতাসে মুখ ডুবিয়ে রাখি- পাঁচশো বছর ধরে ডুবিয়ে রাখি মুখ। বুক জুড়ে নেমে আসে- জমা হয় ছাইরঙা ভারী মেঘ। সেই মেঘে বৃষ্টির পানি; লুকোনো সমুদ্র। আমার চুল উড়তে থাকে; বোবা শব্দ নিয়ে চলে যায় কোনো অচিন ডাহুক। তখন চারপাশে কেবল ভিজে বকুলের ঘ্রাণ। এখনও হাত রাখি নি বুকে। বেদনা বলতে চিনেছি শুধু মায়ের মুখ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫