নানীর বাড়ি গেলে এখনো ভালো লাগে। কিন্তু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য তা নয়। কিছুদিন আগে আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। জ্বর এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শরীর পুড়ে যাচ্ছিলো। একা থাকা, নিজের যত্ন নেওয়া, রান্না করা, ঘর পরিষ্কার রাখা—সব মিলিয়ে কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তখন মনে হলো, যদি স্ত্রী পাশে থাকতো, তাহলে অন্তত একটু সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু এখন বিয়ের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। অভিভাবকরা নানা প্রস্তাব দেন, কিন্তু কিছুতেই আগ্রহ বোধ করি না। আমার এই উদাসীনতা আব্বু-আম্মু বুঝতে পারেন না।
সেই জ্বরের সময় এক গভীর রাতের কথা মনে পড়ে। প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেয়েছিল, কিন্তু বিছানা থেকে ওঠার শক্তি ছিল না। মনে হচ্ছিল, যদি আম্মু বাসায় থাকতেন, তাহলে পানি এনে দিতেন। যদি স্ত্রী থাকতো, তাহলে কি একটু পানি এগিয়ে দিতো? জানি না। অনেকেই স্বামীর সেবা করাকে কৃতদাস মনে করে। তবুও ভাবছিলাম, যদি এমন কেউ থাকতো, যে অন্তত খাবার রান্না করে দিতো, পানি এনে দিতো, তাহলে কতটা স্বস্তি পেতাম।আমি যদি বিয়ে না করি, তাহলে সন্তান হবে না। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃদ্ধ অবস্থায় কি হবে? তখন আমাকে সেবা করবে কে?
এই ভাবনার সূত্র ধরেই একটা কল্পনা মাথায় এলো—যদি কোনো রোবট থাকতো, যে অসুস্থ সময়ে যত্ন নিতো, তাহলে কেমন হতো? ইলন মাস্কের মতো কেউ হয়তো একদিন এমন রোবট বানিয়েও ফেলবে, যেটা সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যাবে। তখন একাকীত্ব বা অসুস্থতার সময় এই রোবটই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
জীবন কত অদ্ভুত! কখনো কখনো প্রযুক্তির উন্নতির স্বপ্নই হয়তো আমাদের বাস্তবের কষ্ট কমানোর সমাধান হয়ে উঠবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০২