লবন দিয়ে কাচা হলুদ চিবিয়ে খেয়েছেন কখনো? অথবা শুকনা মরিচ গুড়ু দিয়ে দাতৈ গোটা ? দারুন লাগে না খেতে? কাচা হলুদ অথবা গুড়ু মরিচ দিয়ে দাতৈ গোটা খেতে যেমনই লাগুকনা কেন শারদীয় ফুরফুরা মেজাজে থেকে হঠাৎবাদী কোন এক বেদ্দপের সাথে আচমকা ঝগড়া বাধিয়ে তার নাক ফাটিয়ে নিজ হাতে ব্যাথা পেতে কিন্তু আমার একদমই দাতৈ গোটার মত টেস্টি লাগে না






এক মধ্যবয়েসী ভদ্রলোক, রাতে বউয়ের সাথে ঝগড়া করে সকাল সকাল নাস্তা না করেই অফিসের উদ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হলেন, দারোয়ান তখনো গেট খুলেনি, আধাঘন্টা দাড়িয়ে থেকে বের হলেন, পথে নাস্তা করতে বাইক থেকে নামলেন, এমন সময় এক দুস্কৃতিকারী কাক নাক বরাবর অব্যার্থ মিসাইল ছুড়লেন!
কি আর করা বেচারা! নাস্তা না করেই ছুটলেন অফিসের পথে! পথি মধ্যে অনেকটাই জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারী হাল্কা মারধর করে মোটরবাইক কেড়ে নিয়ে পালিয়ে গেল! বেচারা রাগে, শোকে দুঃখে কাদতে লাগলেন! এমন সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এক পুলিশ অফিসার!
তিনি পুলিশ অফিসারকে সবিত্তার খুলে বলে তার সাহায্য চাইলেন! পুলিশ অফিসার ঠান্ডা মাথায় সব শুনে মুচকি হাসতে হাসতে বললেন! আমি যাচ্ছিলাম আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে!
লুঙ্গি খোল! হালার পুত! তোর আসলেই আইজকা কপাল খারাপ!]
+=========================================+
["এসো গো শারদলক্ষী
তোমার শুভ্র মেঘের রথে,
এসো কাশবন নিলপথে
পুর্নিমা পুর্নতা ভরা চাদের পালকি রথে,
ধৌত শ্যামলঅ আলো ঝলমল বনগীরি পর্বতে
ভিজাই শুধাই সিক্ত করি হে মনেরও আকাশ "]
নজরুল রবি হুমায়ুন আহমেদের শারদীয় জোস্না-সাহিত্যের পৃস্ঠায় ল্যাপ্টানো এমনতরো প্রকৃতিতে, মধ্যরাতে লক্ষার জলে নাও ভাসিয়ে গলুইয়ে শুয়ে শুয়ে কখনো কি অপরুপ প্রকৃতিতে নিজেকে হারিয়েছেন?
এমন একটা রাত, এক আকাশস্ফটিক স্বচ্ছতা পানে তৃপ্ত হয়ে একটা নির্মল ঘুম শেষে আসা প্রভাত, কতটা স্মরনীয় হয়ে থাকতে পারে বলুন তো?
হ্যা, গতরাতেই এমন একটা তরমুজিয় তরতাজা স্মৃতির ওএস ইনস্টল দিয়েছি, তবু এমন একটা রাত শেষে ফিরে আসা আজকের (২৫ আশ্বিন ১৪১৮) সকালটাও স্মৃতির পাতায় খোদাই করে রাখা একপাটি দুঃস্মৃতির দাগ হয়েই রইবে এক ভদ্র মোটর সাইকেল আরোহীর কল্যানে,
ঘটনা :- আর্মি স্টেডিয়াম এর ঠিক সামনেই ইয়্যুনিভার্সাল জ্যাম এ হাফসাফ না করে বাস থেকে নেমে এটুকু পথ (বনানী) হেটে যাওয়াটাই ভাল মনে করে নেমে পড়লাম।
ফুটপাত দিয়ে আরো অনেকের মতো আমিও হেটে চলছি, পেছন থেকে একটু পর পর বেদ্দপ

এদিকে, পেছনে বারবার সাইরেন বাজিয়েও আমাকে ফুটপাথ থেকে বিতারিত করতে না পেরে এক ভদ্রলোক আমার পায়ের উপর মোটরসাইকেল তুলে দিল!
রাগান্বিত স্বরে কারন জিজ্ঞেস করায় উল্টা আমি কেন উনাকে (ওই ভিআইপি পার্সন) রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছিনা তার জন্য উল্টা ঝারি!
আমি কেন ফুটপাত ছাড়ব? তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে (ফুটপাত কি উনার জন্য বরাদ্ধকৃত পৈতৃক সম্পত্তি কিনা জিজ্ঞাসা করায়) উনি আমাকে চর মারতে উদ্ধত হলেন, (আত্মরক্ষার কৌশলটুকু কাজে লাগালাম)! উনার আঘাত বা হাত দিয়ে ফিরিয়ে মাসুদ রানা ইস্টাইলে পাল্টা দু'ঘা লাগিয়ে দিলাম, (ঘাড়ের নীচে, বাম কানের বা পাশে) বেচারী ভদ্রলোক (ভদ্রলোকের বয়েস ৪০ এর কাছাকাছি) প্রথমটাতেই কাবু, দ্বিতীয়টাতে সামান্য লক্ষভ্রস্ট হয়ে নাকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ব্লিডিং শুরু হল ! চারিদিকে লোকজন জড়ো হল!
সেইসাথে 'ঘটনা ঘটেটেড' অব্যবহিত পরেই এলেন মাননীয় পুলিশ সার্জেন্ট, সবিস্তার শুনে উনি মোটরসাইকেল আরোহীকে বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় উল্টো মামলা করে দিলেন!
গোবেচারা হুপু, মুচকি হাসতে হাসতে চলে এল তার আপন গন্তব্য!
ফুটপাত দিয়ে অচেনা ওই মোটর সাইকেল আরোহী ভাইয়া, দুঃখিত, আমি সত্যিই দুঃখিত, আপনাকে রক্তাক্ত করার আমার কোনই ইচ্ছে ছিল না ভাইয়া! কিন্তু কি করব বলুন ভাইয়া! আপনার কপাল যে আজ সত্য সত্যিই (অফিসের সিনিয়র কলিগের কাছে শোনা সেই বিখ্যাত কৌতুক! "হালার পুত, আজকে তোর কপাল আসলেই খারাপ!") খারাপ






সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৪