তুই কি এখনও—
আকাশের নৈঃশব্দ্যে ভেসে ভেসে ভোরকে পাহারা দিস?
গোপনে মনের নথিগুলো নেড়ে-চেড়ে দেখিস?
বৈচিত্রের উঠোন কোলে রোদ এসেছে
ভাঙিছে সুর বিহান বেলা।
তুই কি এখনও—
হন্যে হয়ে পুকুরে শৈশবের দাঁত ফেলার আওয়াজ খুঁজিস?
মনের কোনে গিট্রু মারিস, ফ্রগের ফিতা দিয়ে?
পৃথিবী লাজুক হয়েছে, বড় গুটিসুটি মেরে গেছে সে,
আনমনা নিথর একফোটা জলের মত।
তুই কি এখনও—
এলোমেলো দৌড়ে কাঁপুনি তুলিস খিলখিল হাসির ছায়াবীথিতে?
ঠোঁট বাঁকিয়ে অনেক কাঁদিস লুকোনো ক্লিপটির জন্য?
রসনার প্রসাদে তৃপ্ত ঘোষণা আসেনা এখন।
জিঘাংসার পর্বতকোলে চিনচিনে মেজাজ শুধু!
তুই কি এখনও—
মন খারাপ করিস,
ভর কাচারিতে মুন্সি বেটা আমায় সপাং সপাং কয় ঘা দিত বলে?
তুই কি এখনও—
পোকে খাওয়া দাঁত দিয়ে
আটানার চকলেট দু’ভাগ করে আমার আশায় বসে আছিস?
তুই কি এখনও—
আমায় ভয় দেখাতে আড়ালে দাঁড়িয়ে ‘ভাও’ করিস?
সুরের ছন্দে আসে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
রোদেলা সে দুপুর বড় ফ্যাকাশে।
কুয়োর পাড়ে দোল খাওয়া গাছটিও আজ নেই।
কেতাদুরস্ত সেই ভাবনা কেন যে এত ম্রিয়মান হল!
তোর গমনের মাঝেও বুঝি সর্পিল গতি নেমে এল।