তার চোখ কুড়িয়ে পেয়েছি আমি বকফুল, ঘাসে
আশাতীত ভোরে ছড়িয়ে দেখেছি আমি একমুঠো নীল মার্বেল
বর্ণালি রোদন শিশির
কাল রাতে জ্যোৎস্নাপ্রলয় শেষে হাতেই ছুঁয়েছি আমি হেমলুব্ধক
পথের সিলিকায় ছড়িয়ে দিয়েছি আমি
পুমা’র চোখের মত ক্ষিপ্র জ্বলন
ডাকনাম তার কুড়িয়ে নিয়েছি আমি অশ্বখুরের আগে
এই বাতাবি’র মৌসুমে কার আর ভাল লাগে
রাত্রিমূঢ়তা আর দৃষ্টিবারণ?
এই শালফুল মহুয়ার দেশে
যখন করুণার মত কোমল সন্ধ্যা নেমে আসে
মেঘরথ পুষ্পকের মত ছুটে আসে বরষায়
তখন সন্ধ্যাভাষার কাছে ফিরে আসে ঢুলুঢুলু
বৃথা উড়ানের ম্যাগপাই
তখন একটা নির্জন সাইকেল আমার দেহকে বয়ে নেয়
লরেল সারির মাঝে পরাঙ্মুখ জোনাকপ্রভায়...
হায় ছায়া অনুসরণ !
দূরত্বের মত এত ব্যথা নাই
কারো ভ্রুতে জেগে ওঠা কনে দেখা আলোর মত
এমন করুণ আলো নাই আর
সংকেত কে বোঝে,
কার দিন চলে যায় রঙখেলা- স্নানে?
পড়ে রয় লং দারুচিনি’র শূন্য কৌটোর অন্দরে গন্ধের বিষ
তবু এই শ্যামাঙ্গনে মুছে রাখি বৈশাখি মেলার তিজেল
ধানশিষ সবুজ ছড়িয়ে দিয়ে বিকেল গড়িয়ে গেলে
আমিও নিরল খুঁজি হরিণরাখাল
তার চোখ কুড়িয়ে পেয়েছি আমি বকফুল, ঘাসে
তখন সকাল
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৮