[মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৮]
অনুবাদ: আ-আল মামুন
পূর্ব পাকিস্তানে গতকাল থেকে ব্যাপক সহিংসতা এবং গুরুতর রাজনৈতিক নাটকীয়তা শুরুহয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশের সর্বজনস্বীকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা শেখ মুজিবুর রহমান নায়কোচিতভাবে সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করার আহবান জানিয়ে প্রদেশটির স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাংবিধানিক আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে তার সিদ্ধান্তের কথা ব্যাখ্যা করে প্রদেশটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হয়ে আসছে’। যেনবা শেখ মুজিব ও তার জাতীয়তাবাদী সমর্থকরা যাই করুক না কেন, সামরিক কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি আগাম বলে দিতে পারছে, যদিও বিভক্ত বাংলার খবরাখবর থেকে স্পষ্টতই গৃহযুদ্ধেরই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অবস্থা বেশ গোলমেলে- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া দ্রুত সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যে ফলাফল আশা করছেন তার পরিবর্তে গৃহযুদ্ধ বা অনুরূপ কোনো পরিবেশই সৃষ্টি হবে।
আর গৃহযুদ্ধই যদি শুরু হয় তবে এর ফলাফল কী হবে বলা যায় না। গৃহযুদ্ধের সময় সামরিক সাফল্য খুব ঘনিষ্টভাবে উভয়পক্ষের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেকোনো সামরিক বিশ্লেষণই হবে অনুমাননির্ভর। এর সাথে রয়েছে সামরিক বাহিনীর কোন্ ইউনিট কোন পক্ষ অবলম্বন করবে সেই অনিশ্চয়তা এবং কোনো একজন কমান্ডার কোনো একপক্ষ অবলম্বন করলে তার ইউনিটের মধ্যে কোনো অসন্তোষ তৈরি হবে কিনা সেই অনিশ্চয়তা। অনুমান করা যায় পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত সামরিক বাহিনীর প্রাধান ইউনিটগুলো প্রেসিডেন্টের প্রতি বিশ্বস্থ থাকবে। এই ইউনিটগুলোর সৈন্যসংখ্যা এখন প্রায় ৭০,০০০ এবং নিশ্চিতভাবেই পূর্ব পাকিস্তানে এটাই এখন সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠিত শক্তি। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শেখ মুজিব সিভিল সার্ভিস ও পুলিশ বাহিনীর সক্রিয় সমর্থন পাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর বাঙালি রেজিমেন্টগুলোর সৈন্যরাও যে শেখ মুজিবের নির্দেশ পালন করবেন এ ব্যাপারে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব যে সংগ্রাম পরিষগুলো (Liberation commitees) আছে তারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্রামগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুতরাং একটি সংগঠিত বিচ্ছিন্নবাদী সংগ্রাম চালানোর ভিত্তি রয়েছে এবং এরা দেশের অভ্যন্তরভাগে ও গ্রামগুলোতে সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো রক্ষায় সুদক্ষ সেনা নিয়োগ করা সেনাবাহিনী জন্য একটি প্রধান সমস্যা হবে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে রসদ সরবরাহ ও সৈন্য প্রবাহ নিশ্চিত করার স্বার্থে দুটো সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরগুলো প্রধান কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব পাবে। ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারের অধিকার না-পাওয়া পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে, তবে তা সাফল্য ব্যর্থতায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কারণ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামই আসবে জলপথে। পাকিস্তানের মতো স্বল্পোন্নত দেশের রসদ ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের মতো পর্যাপ্ত কার্গো বিমানও নেই। ভারত এই যুদ্ধে খুব গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করবে। পূর্ব পাকিস্তানের সাথে ভারতের বিশাবল সীমান্ত রয়েছে; প্রকাশ্যে বা গোপনে ভারত ব্যাপক সামরিক সরবরাহ দিতে পারে। সরকারিভাবে ভারত সরকার অবশ্য কোনো সংশ্লিষ্টতা রাখবে না। কিন্তু তাৎক্ষিণকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে, সীমান্তেরর দু’পাশের বাঙালিদের মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম আদান-প্রদান সরকারের জ্ঞাতসারেই চলবে।
যুদ্ধ যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে পদাতিক সৈন্যদের জন্য যুদ্ধ করা অবিশ্বস্যরকম কঠি হয়ে উঠবে। পূর্ব পাকিস্তানে অনেক দুরতিক্রম্য নদী রয়েছে এবং এগুলোর মাধ্যমেই ট্যাংক ও আর্টিলারীর সাহায্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাকে বাধা দেয়া হবে। সরবরাহ নিশ্চিত থাকলে বিমান শক্তি একটি মনস্তাত্বিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এর প্রভাব হবে ক্ষণস্থায়ী। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে এবং সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব ধরে রাখার আশা করা যায়। জনগণের চরিত্র ও ঐতিহ্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ দীর্ঘ গেরিলা যুদ্ধের ওপরই প্রেসিডেন্ট বেশি ভরসা করতে পারে।
তবে, সাময়িকভাবে বাঙালিদের দাবি দমন করা গেলেও তাদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করা যাবে না। তাছাড়াও, ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিভেদ বিবেচনায় নিলে আধাখ্যাঁচরা স্বায়ত্বশাসন আদৌ সম্ভব কিনা সে ব্যাপারে গত তিন সপ্তাহের ঘটনাবলী প্রশ্ন তোলে। ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয় তখন দুই অঞ্চলের যে সাদৃশ্যের ভিত্তিতে ঐক্য স্থাপন করা হয় তা হলো দুই অঞ্চলই বৃটিশ ভারতের মুসলমান এলাকা। কিন্তু বর্তমানে পূর্ব বাংলা ধর্মীয় এই ভিত্তিকে অস্বীকার করতে চায় বা সংস্কার করতে চায়। গত কয়েক সপ্তাহে স্বায়ত্বশাসন প্রশ্নে যে বিতর্ক হচ্ছিল তাতেও এ-চিত্র ফুটে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তানীদের একটি অন্যতম অভিযোগ হলো যে তাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ তাদের দেয়া হয় না, এবং বৈদেশিক অনুদানেও তাদের ন্যায়সঙ্গত ভাগ দেয়া হয় না। তাদের বৈদেশিক বাণিজ্যের অধিকার যদি স্বীকার করে নেয়া হয় তাহলে এর সাথেসাথেই আসবে মূদ্রা, ব্যাংক, ট্যাক্স ও এরকম অন্যান্য বিষয় নির্ধারণের প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকার কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীনভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য করতে দেয়ার অর্থ ভারতের সাথে বাণিজ্য করতে দেয়া এবং এক সময় হয়তো দেখা যাবে পূর্ব পাকিস্তানের চাহিদা ও ইচ্ছা-অনিচ্ছা অনুযায়ী ভারতের সাথে প্রদেশটির সম্পর্ক গড়ে উঠছে। প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ধীরে ধীরে আলগা হবে - এবং তার চূড়ান্ত পরিণতি হবে একমাত্র স্বাধীনতা।
যদিওবা জোড়াতালি দেয়া একটা সমাধানের পথ খোলা ছিল এখন তার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আশা তিরোহিত। যে আদর্শ ও ঘটনাবলীর মাধ্যমে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল তার থেকে বেরিয়ে এসে ক্রমান্বয়ে একটি স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মনে হয়। ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা এটাকে একটা অশনি সংকেত হিসেবে দেখতে পারে। পূর্ব বাংলায় মওলানা ভাষানীর নেতৃত্বে বিপ্লবী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি - যদিও তার অতীত প্রতিপত্তি কমে এসেছে এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি অন্তত তিনটি উপদলে ভাগ হয়ে গেছে তবু এদের মধ্যে অনেকেই চীনকে অনুসরণ করে। পূর্ব পাকিস্তানে যদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তবে তা দীর্ঘদিন ধরেই চলবে এবং সময়ের সাথে সাথে শেখ মুজিবের নিয়ন্ত্রণও কমে আসতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে হয়ত কৃষক গোরিলা রণনীতির প্রবক্তারা প্রভাব বিস্তার করে ফেলবে। পূর্ব পাকিস্তানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এবং দেশটিকে বিপ্লবী লড়াই থেকে রক্ষা করতে হলে দেশের সমগ্র অঞ্চলে শেখ মুজিবের প্রভাব টিকে থাকতে থাকতেই স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে।
পরিস্থিতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছে। সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ চাপও হয়ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে, যার সাথে ব্যক্তিগতভাবে তিনি হয়তো একমত নন। পাকিস্তানের জন্মকালে এটাকে ঘিরে যে জাতীয় পরিচয়ের রাজনীতি জড়িত ছিল তা এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দেবে, এমনকি ভরতেও। ঢাকার রাস্তায় সমাবেশগুলোতে দেখা গেছে জিন্নাহর কুশপুত্তলিকা দাহ করতে। কেউই বলতে পারে না এই ভাবাবেগ দেশটিকে কোথায় নিয়ে যাবে।
দ্য টাইমস
২৭ মার্চ, ১৯৭১
লন্ডনে দিনটি ছিল পাকিস্তানের যুদ্ধবাদীদের
আমাদের বিদেশ সংবাদদাতা
বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকা গিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোচনায় ব্যাস্ত রাখতে। আর এই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আগ্রাসনের সমস্ত প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় পশ্চিম পাকিস্তান এবং অন্যান্য স্থানে যেসব বাঙালি গুরুত্বপর্ণ পদে ছিল তাদেরকেও অপসারণ করা হয়। সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের বহুল প্রচারিত সমঝোতার উদ্যোগ নেয়ার আগেই এই সামরিক সরকারের সম্প্রসারণবাদীরা কাজ শুরু করেছিল। ইয়াহিয়া খান যেদিন আলোচনার উদ্দেশ্যে ঢাকা গেলেন সেদিন লন্ডনে গুরুত্বপূর্ণ পদধিকারী একজন বাঙালিকে স্বল্প সময়ের নোটিশে অপসারণ করা হয়। তিনি লন্ডনে পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। করাচি থেকে টেলিফোন একেএম মহিউদ্দীনকে তার অধীনস্ত পাঞ্জাবী ডেপুটি ম্যানেজারের কাছে শাখার দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়। লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাই কমিশনে কর্মরত সিনিয়র বাঙালি অফিসারগণ জনাব মহিউদ্দীনকে এই নির্দেশ না মানতে বলেছিলেন। কিন্তু জনাব মহিউদ্দিন করাচির নির্দেশ পালন করে দু’ঘণ্টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করেন। তিনি পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করছেন। পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংকের লন্ডনস্থ শাখার মাধ্যমে সেদেশের সকল বৈদেশিক মূদ্রার লেনদেন হয়, যার পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড। অধিকাংশ বৈদেশিক সাহায্য এই শাখার মাধ্যমে পাকিস্তানে পৌঁছাত। ভয় ছিল যে জনাব মহিউদ্দীন তার পদাধিকার বলে এসব বৈদেশিক সাহায্য স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানে সরবরাহ করতে পারেন। কারণ যেকোনো লেনদেনের জন্যই জনাব মহিউদ্দিনের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এই ব্যাংক শাখায় পূর্ব পাকিস্তানী কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য তাকে সন্দেহ করা হতো।
পদোন্নতি
জনাব মহিউদ্দীনের অপসারণের খবর লন্ডনস্থ পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশনের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ে। ছাত্র ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট একরামুল হক বেশ কিছু সংবাদপত্রকে এই তথ্য জানিয়ে দেন। কিন্তু রিপোর্টাররা এই তথ্য পেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক অফিসে ফোন করলে তাদের জানানো হয় যে জনাব মহিউদ্দীনকে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এবং তিনি বদলির অপেক্ষায় আছেন।
লন্ডনস্থ পাকিস্তান হই কমিশনে দুটো বিবদমান গোষ্ঠী কাজ করছে। হাই কমিশনার জনাব সালমান আলী কারো সাথে একা একা কথা বলছেন না। একজন বাঙালি অফিসার এবং একজন সেনা কর্মকর্তা সবসময়ই তার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে। হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি জনাব রিয়াজুল করিম এবং অডিট ও একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের প্রধান বাঙালি।
গত কয়েকদিন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আমাদের লন্ডন অফিসে আসা খবর থেকে দেখা যাচ্ছে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী অসংখ্য বাঙালি অফিসারকে অপসারণ করা হয়েছে কিংবা ক্ষমতাশূন্য করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক এবং অন্যান্য আধাসরকারী ব্যাংক, যেমন পকিস্তান শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক যাদের ঢাকাতে কেন্দ্রীয় অফিস রয়েছে, বেশিরভাগ লিকুইড এ্যাসেট করাচিতে ইতোমধ্যে স্থানান্তর করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছ।
লন্ডনে অভিবাসিত পূর্ব পাকিস্তানীরা, যারা মনে করেন ইয়াহিয়া খানের সমঝোতার প্রচেষ্টা আন্তরিক ছিল না, গতকাল তারা এর প্রমাণ হিসেবে দেখান যে সমঝোতার প্রচেষ্টা ভেঙ্গে যাওয়ার সাথে সাথেই কয়েক জাহাজ ভর্তি সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে পৌঁচেছে।
দ্য গার্ডিয়ান
২৭ মার্চ ১৯৭১
মুক্তযুদ্ধের প্রতিবেদন ১
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ২
মুক্তিযুদ্ধের প্রতিবেদন ৬
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২