সত্যি একটা ঘটনা, আমার এক প্রিয় কাজিনের। আমার অনেক অনেক প্রিয় একটা ভাইয়া। বেচারা বিয়ে করেছে বছর দুয়েক হলো। এখন খালি কান ধরে বলে "জীবনে আর বিয়েই করবোনা"।
সেদিন হঠাত দেখি ফোন, তোদের বাসায় খাবার আছে?
বলো কি এত রাতে ? তুমি বাসায় যাওনি? বাসায় গিয়ে খাওনা। ভাবী অপেক্ষা করছেতো।
আরে ধুর, গেছিলাম, বাসায় ঢুকায়নাই।
বলো কি ? কি হয়েছে আবার?
ছোট বাচ্চার মতন তাল করলে কি আর ভাল লাগে?
আরে হয়েছে কি বলতো।
তারে শাহবাগের ভুতে ধরছে।
শাহবাগের ভুত না, চেতনা বলো।
ওই হইছে, ওইটাই। আমাকে বলে একটা পতাকা এনে দিতে।
এটা খারাপ কিসের? দেশের পতাকা চেয়েছে, জামদানীতো আর চায়নি ।
আরে গাধী, তুই আছোস তোর তালে। পতাকাতো আনছিলাম।রিক্সায় করে আসার সময় রাস্তায় দেখি একটা পাগলী মহিলা কাপড় খুলে হাটছে। এতগুলো মানুষ সবাই চেয়ে চেয়ে হাসছে, একটা মানুষের বিবেকে দিলোনা একটা কাপড় জড়িয়ে দিতে মহিলাটির গায়ে, পাগল বলে ওই মহিলাটির যেন কোন দামই নেই, ইজ্জতই নেই।
হুম, তো কি করলা?
হাতের মুঠোই শক্ত করে গৌরবে ধরে রাখা লাল সবুজ পতাকাটি নিয়ে নেমে মহিলাটির গায়ে বেধেঁ দিলাম শক্ত করে কোমড়ে। যে লাল সবুজ পতাকাটির জন্য লক্ষ নারী তাদের ইজ্জত বিলিয়ে দিয়েছিল, আজ একজন নারীর ইজ্জত ঢাকতে একটা লাল সবুজের পতাকা বিসর্জন দিলাম।
ভালইতো
আরে ভাল না কচু, বাসায় গেছি, দরজা খুলেই বলে পতাকা কই?
পতাকা না দেখে, কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে, "আজকে ভাত নাই" বলেই দরজা বন্ধ করে দিল।
============
তার কয়েক দিন পরের কথা, শাহবাগ আন্দোলন তখন তুঙ্গে, সবাই যাচ্ছে শাহবাগে, ভাবির বায়না শাহবাগ যাবে। ভাইয়া আজ কাল পরশু করে করে আর যাওয়াই হচ্ছেনা। শেষে একদিন বলে কিনা আজকে অফিসেই যেতে হবেনা, শাহবাগ নিয়ে যাবা আজকেই।
আরে আজকে অফিসে জরুরী কাজ আছে, আজ হবেনা।
বুঝেছি কেন নিয়ে যেতে চাওনা।
নিয়ে যেতে চাইনা মানে? সময় পাইনা সেটা বলো।
সময় পাওনা সেটা না, ইচ্ছা নাই সেটা।
মেজাজ খারাপ কইরোনাতো।
মেজাজ কি কেবল তোমার খারাপ হয়? আমার হয়না? তুই রাজাকার
কি বল্লা?
তুই রাজাকার
আমি রাজাকার হতে যাব কেন? আমার চৌদ্দ খানদানেও কেউ রাজাকার নাই।
তুমি রাজাকার না, গালি দিছি ওইটা।
তুই তুকারি করছো কেন?
গালিতে আবার তুই আর আপনি কি?
অন্তত "তুমি" বলো
ওই গালিতে তুমি আপনি মানায়না, তুই রাজাকার। তুই রাজাকার। মাই ফুট বাদ। এখন এই গালিই চলবে বাসায়।
এখন দেখ, বাসায় কিছুই হতে পারেনা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার বলে চিল্লাতে থাকে।
খাবার টেবিলে আমি আর আম্মা ভাইয়ার কথা শুনছিলাম, শুনে আমিতো হাসতে হাসতে টেবিল থেকে পড়ে যাবার উপক্রম। হাসতে হাসতে ভাইয়াকে বল্লাম, ভাবির ওই গালি আমার পছন্দ হয়েছে।
ভাইয়া বলে, তোরে বিয়ে দেয়া লাগবে, দুর হ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৫