নকল মুভি,কপি মুভি চুরি করা মুভি আর কপিরাইট মুভি।
এরমধ্যে শেষেরটা মনে হয় বৈধ।
আমাদের দেশে উপরের সবধরনের মুভি ই হয়,হয়েছে,হইতেছে।
কপিরাইট মুভি হাতেগোনা কয়েকটা ই হয়েছে।যেহেতু বাড়ির পাশে বলিউড। তো কপি চুরি নকল কপিরাইট সবকিছু ই ঐখান থেকেই হয়েছে বেশীরভাগ সময়ে।কখনো সেটা সরাসরি হিন্দি মুভি কখনো সেটা ভারতের কোন প্রাদেশিক মুভি।
এছাড়া অন্যকোথাও থেকে হয়েছে কি না জানা নাই।
৯০ এর দশকে আমাদের এখানে বেশকিছু মুভি নকল কপি করা হয়েছে।
যদিও পুরোপুরি একটা মুভিকে নকল/কপি করা তখন খুব কম হইত।
দেখা গেছে একটা মুভির থিম নিয়ে সেটাকে একটু মডিয়াফাই করে আমাদের এখানে চালানো হয়েছে।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় জোরে হোক আর পরিচালকের কারিশমায় হোক সেসব মুভি ভালোভাবেই উৎরে গেছে।
অথবা ৯০ ভারত বাংলাদেশের মুভিতে খুব বড় ফারাক ও হয়ত ছিলনা।নয়ত সীমিত সামর্থ্যে আমাদের প্রযোজক পরিচালকেরা সেটা তেমন বুঝতে দেইনাই।
কিন্তু এরপরে যা হয়েছিল সেসব কোন মুভি ই ছিলনা।আলোচনা করব সেসব মুভি নিয়েও।সাথেই থাকুন আমাদের!
যাক পরের কথা হইল আমি হিন্দি মুভি দেশে থাকতে খুব একটা দেখতামনা।খবরাখবর হয়ত রাখতাম।কিন্তু ভাষাগত জটিলতার কারনে মুভি দেখা খুব কম হত।
কিন্তু প্রবাসে এসে কয়েকবছরে প্রচুর ভারতীয় মুভি দেখেছি ।এর মধ্যে হিন্দি যেমন ছিল তেমনি কর্নাটক,মালয়লাম,তেলুগু,তামিল,ভোজপুরি,পাঞ্জাবি মুভিও বাদ পরেনাই।
আমি এই বিষয়ে একটা সিরিজ লেখার চিন্তা করেছিলাম।একটু সময় হয়ে যাওয়ার কারনে শুরু করে দিলাম আজ। আজকে হৃদয়ের আয়নার কথা বলব।
৮০ এর অনেক মুভি ৯০ এ এসে আমরা কপি করেছি। তো তেমনি একটি মুভি হইল যেটা নিয়ে আজকে বলব।
***হৃদয়ের আয়না***
১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই মুভিটি অনেকের কাছেই প্রিয়।এর একটা কারন হইল এই মুভিটির গানগুলো।
সাথে রিয়াজ আয়না আর রাজ্জাকের প্রানবন্ত অভিনয়।
এই মুভির প্রযোজনা সন্সথা হইল এটলাস মুভিস।যারা সালমানের স্বপ্নের ঠিকানা মুভির ও প্রযোজনা করছে।
মুভিটি আমি প্রথম সপ্তাহেই দেখেছিলাম।ভালো ও লেগেছিল খুব।
এই মুভিটি নিয়ে তখন খুব বেশী নিউজ পড়িনাই।কারন হয়ত কেউ এই মুভির সফলতার কথা ভাবতে পারেনাই।রিয়াজ মেইন নায়ক হিসেব আরেক নতুন নায়িকার সাথে।
নাহ কোন সম্ভাবনা আমি দেখিনা।বেশীরভাগের ই হয়ত এমন ধারনা ছিল।তাই এই মুভি নিয়ে তেমন লেখালেখি হয়নাই তখন।যদি কেউ দেখে থাকেন আমাকে জানাইয়েন প্লিজ।
কিন্তু এই মুভিটি ভাল ব্যাবসা করেছিল।এর গানের কারনে।আর নতুন ঝুটির নিষ্পাপ টাইপের অভিনয়ের কারনে।
এই মুভিটি ১৯৮৯ এ মুক্তিপ্রাপ্ত সালমান খান ভাগ্যশ্রীর ম্যায়নে পেয়ার কিয়া মুভিটির কাহিনী হুবহু অনুকরন করেছিল।
যখন দেখেছিলাম তখন আমি জানতামনা।আমাদের পরিবারের ও কেউ জানত বইল্যা মনে হয়না।যার কারনে সবাই উপভোগ করেছিলাম মুভিটি।
১৯৮৯ এর মুভি ১৯৯৯৭ তে আমরা বানাইছিলাম।এরকম আরো অনেক মুভি ই আছে।এর সব আমি দেখেছি এমন না।অন্যকেউ হয়ত দেখেছেন।আশাকরি সেসব এখানে শেয়ার করবেন।
এবং এই দুই মুভি আবার দেখে মিলিয়েও নিতে পারেন।
আর এই তথ্য আমার কাছে নতুন হইলেও অনেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে নিশ্চয় নতুন না।
তাই দর্শক হিসেবে আমার কাছে যতটুকু খারাপ লাগবে তাদের কাছে হয়ত তেমন নাও লাগতে পারে।
যদি মুভিটির কপিরাইট নেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে এইটাকে আমি দর্শকদের সাথে প্রতারনা ই মনে করব।এবং এইটা নিয়ে তখন কোনকিছু না লেখাটাকেও আমার কাছে একধরনের অন্যায় মনে হবে।
এরকম আরোকিছু জনপ্রিয় অজনপ্রিয় মুভি নিয়ে লিখার আশা নিয়া আজকে বিদায় নিলাম।
তারপরেও বাংলাচলচ্চিত্রের শুভকামনা করব।আশা করব একদিন আমরা নকল কপি মুভির বাইরে আমাদের নিজস্ব একটাধারা বানিয়ে নিতে পারব।আবারো আমরা ভালো ভালো মুভি বানাইব সেই কামনা করলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে সাথে থাকার জন্য!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯