ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ চ্যাবনের নিজ জেলায়ই এক নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে। সোমবারের এ ঘটনার আগে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারীকে একদল মানুষ প্রহার করে। এসব ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তাকে যারা এভাবে অবমাননা করেছে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই ঘটনা সোমবার ঘটে মুখ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা সাতারার মালগাঁও গ্রামে। দলিত শ্রেণীর ওই নারী এখন বিচার চাইছেন সবার কাছে। কিন্তু তিনি দলিত শ্রেণীর বলে তার অভিযোগ নিবন্ধিত করতে বিলম্ব করা হয়। অভিযোগ আছে, ওই ঘটনায় জড়িতরা মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের বলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বিলম্ব করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে না। গত ১৮ই ডিসেম্বর উচ্চবংশীয় এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতিত ওই মহিলার ছেলে। এরপর ওই যুবতীর অভিভাবকরা তাদের মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ দাখিল করে। একই সঙ্গে তারা ওই নারীকে তাদের মেয়ে বের করে দিতে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। ওই সময় তিনি জানিয়ে দেন তার ছেলে ও ওই মেয়ে পালিয়ে কোথায় গেছে তা তিনি জানেন না। স্থানীয় সূত্রমতে, নিখোঁজ যুবতীর পরিবার সোমবার একটি স্থানে ডেকে নেয় দলিত শ্রেণীর ওই নারীকে। এরপর তাকে প্রশ্নবাণে তারা জর্জরিত করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা তাকে ধমকাতে থাকে, প্রহার করতে থাকে, এমনকি তাকে নগ্ন করে গ্রাম ঘুরতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় ওই মহিলা মারাত্মক আহত হন। তাকে পরের দিন একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দলিত মহাসংঘ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাচিন্দ্র সাকাতে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে আছে। তারা রাজনৈতিক কারণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মানবজমিন
হায়রে জাত-পাত। ভারতের আদম-শুমারী এখনও এই জাত-পাত আমলে নেয়। মানে বর্ণের প্রভাব ভারতে এখনও প্রবল।