বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততা,ন্যায়-নিষ্ঠতা,আদর্শতা এবং দেশপ্রেমের ইপিটমি বাবু সুরঞ্জিত আজ দেশবিরোধী এক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে স্যাবটাজের স্বীকার হয়েছেন। শুধুমাত্র দেশবিরোধী শক্তিরাই এই ধরনের মনগড়া ,বানোয়াট কল্পকাহিনী বিশ্বাস করতে পারে কিন্তু দেশের সচেতন জনগণ তথা দেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিরা ইতিমধ্যেই এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রত্যাখান করে এর বিরুদ্ধে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন;নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার এক বন্ধু এমন কৈরাই এই বিষয়ে উনার প্রতিক্রিয়া জানান। আমার বন্ধু আরো বলসে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার সংশ্লিষ্ট এক কর্তা ব্যক্তি তারে জানাইসে যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উর্ধতন কর্মকর্তার তথ্যমতে এই বিষয়ে চোরের মা খালেদা জিয়া,চোরা তারেক ও তার ভাই কোকোর সংশ্লিষ্টতার বিশদ প্রমান পাওয়া গেসে,ওই গোয়েন্দার মতে এই নীল-নকশার মূল হোতা খালেদা জিয়াসহ তারেক,কোকোরে জেলে নিয়া ডান্ডা থেরাপি দিলেই সব সত্য বের হইয়া আসব। ভারতের গোয়েন্দাদের তত্বাবধায়নে দেশীয় গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই আরো প্রমান পাইসে যে,ওই গাড়ির ড্রাইভার ৭১ এর নরপিশাচ রাজাকর জামাত-শিবিরের সদস্য আর রেলওয়ে কর্মকর্তা মৃধা রাজাকার রক্ষাকারী দল বিএনপির সাথে জড়িত এবং ক্ষমতায় গেলে তার এই ত্যাগ পুষিয়ে দেওয়া হইব এই মর্মে তারে কনভিন্স করানো হইসে। এই বিষয়ে নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের নয়াদিল্লিতে শীঘ্রই একটা প্রেস কন্ফারান্স করার কথা এবং সেইখানে সম্ভাব্য আরো যে যে বিষয় উইঠা আসতে পারে তা হইলো
১/ আওয়ামী লীগ দেশের একমাত্র স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি,আওয়ামী লীগ না থাকলে এই দেশ কোনো কালেই স্বাধীন হইতো না। সুতরাং ডানপক্ষ = বামপক্ষ এর মত কইরা বলা যায় আওয়ামী লীগ = সমগ্র বাংলাদেশ। ৭০ লাখ টাকাতো হাতের ময়লা,এই দেশের প্রতিটা বালুকণার উপর আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের সাংবিধানিকভাবেই প্রিরগেটিভ আছে। সুতরাং এই ৭০ লক্ষ টাকা = বাংলাদেশ টাকা = আওয়ামী লীগের টাকা,যদি তাই হয় তাইলে এইটা ঘুষ কিংবা চুরি কেমন করে হয়?
২/ সুরঞ্জিত বাবু একজন এমপি,মানে জনগণ উনারে ভোট দিয়া চুরি করার সাংবিধানিক অধিকার দিয়া দিসে। অন্যদিকে তারেক চোরা যখন চুরি করসে তখন সে এমপি আছিল না,সুতরাং এই দুইটা বিষয় এক কইরা দেখার কোনো সুযোগ নাই। কারণ জনগণ যখন ভোট দিয়া উনারে চুরির অধিকার দিসে সেইটারে তখন আর চুরি বলা যায় না তখন সেইটা হয় জনগের ভালবাসার প্রতি সম্মান প্রদর্শন,আর তারেক চোরারে যেহেতু জনগণ এই ধরনের কোনো অধিকার দেয় নাই সুতরাং ঐটা অবশ্যই চুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাকি আরো জানাইসে যে,এই পরিস্থিতিতে মনমোহন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ কইরা বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধির উপর জোর দিসেন। মনমোহন আরো নিশ্চিত করসেন এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তত্বাবধায়নে জনগনকে সচেতন করার চেষ্ঠা করছেন।
আসলেই এই জিনিসগুলা আমার আরো আগেই চিন্তা করা উচিত ছিল;যাইহোক সেইসব ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলি, ইভল বি টু হিম হু ইভল থিন্কস!