শশী হিমু: একদম বাচ্চাদের মতো কথা বলে। চিকন ভয়েস কিন্তু চমৎকার ছেলে। ডেমনের সাথে মিলে আমাকে পেইন দিতে চরম মজা পায়। মাঝে মাঝে নিজেই পেইন খেয়ে আমাকে আবার শাসনও করে।
চশমখোরঃ এই মানুষটাকে আমার চিনতে কষ্ট হয়। চেহারা দেখে মনে হয় না চশমখোর আবার লেখা পড়েও বোঝা যায় না চশমের চশমগিরি। আমাকে অনেক পছন্দ করে। আমিও ওকে পছন্দ করি। রিসেন্ট জানলাম সে আমার চেয়ে অনেক ছোট।
গোলাম কিবরিয়াঃ চমৎকার ভয়েস। বয়সে আমার ছোট হলেও ওর ভয়েস আর কথা বলার ধরণ দেখে অনেক বড় বড় লাগে। আমাকে অনেক পছন্দ করে জানি। আমার পোস্ট যেমনি হোক রনি শেয়ার করবেই।
মাহমুদা সোনিয়া আপুঃ হঠাৎ করেই একদিন দেখি ব্লগে এই নিকের একজনের যত্রতত্র সরব উপস্থিতি। ধীরে ধীরে পরিচয় তারপর ফেসবুক ফ্রেন্ড। মুক্ত মন মানসিকতার এই আপু আমার অনেক প্রিয় একজন ব্লগার।
ইশতিয়াক আহমেদ চয়নঃ চয়ন এক কথায় ট্যালেন্টেড একটা ছেলে। ফেসবুকে হুট হাট দেখি। অনেক ভাল লাগে চয়নকে। চমৎকার আত্মপ্রত্যয়ি মানুষ। অন্যের বাঁকা কথা সহ্য করতে পারে না। সরাসরি প্রতিবাদ করে এবং সে একটু রাগি স্বভাবের। চয়নকে আমি অনেক পছন্দ করি।
জয় রাজ খানঃ ডেমন কেন তাকে ফিবাপ্পি বলে তা আজও রহস্য। মানুষটা কবিতা লেখে। বাস্তবে মনে হয় একটু ভাবলেশহীন। এখন ব্যাস্ত। ব্লগের সব পোস্ট সরিয়ে নিয়েছে। ফেসবুকে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় আর আমি ফেবা আপু বলে পেইন দেই। সে বলে, মন মেজাজ খারাপ। পেইন দিয়েন না।
সাকিন উল আলম ইভানঃ ওর ফানি পোস্ট সত্যিই ফানি। সিরিয়াস লেখা বেশ ভাল লেখে। আমার ইউনির ছোট ভাই। ইদানীং ইয়া মোটা হয়ে অবস্থা খুব খ্রাপ। টুকটুক করে অনেক কথা বলে। চরম একজন কূটনীতিবিদ হতে পারবে সে। আমার সাথে দেখা হওয়া প্রথম ব্লগার সাকিন।
কামরুল হাসান শাহি ভাইঃ ঘুমের রাজ্যে পৃথিবী ঘুমোময়। ব্লগ লাইফের প্রথম থেকেই আমার নিয়মিত পাঠক। স্বল্প লেখেন কিন্তু ব্লগ পড়েন প্রচুর। ব্যাক্তি জীবনে প্রচুর ব্যাক্তি জ্ঞান সম্পন্ন। তার নিজের টেরিটোরি সহ অন্য আরও বেশ কিছু টেরিটোরি সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারনা আছে। সিলেটের বাসিন্দা। মনে হয় সিলেটের প্রতিটি অলিগলি তার চেনা। আমার লেখা তার নিজের মনে হয়, মানে আমার মতোই দুঃখ বিলাসী।
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১: অনেক বেশি মজার মানুষ। উনার সাথে ফেসবুকে কথা বলে জানতে পাড়ি উনার একটা বিলাই আছে। সেই থেকে বিলাই বিলাই বলে এত পেইন দিয়েছি যে একজন বন্ধু ভাবপন্ন মানুষ না হলে এই পেইন অন্য কেউ সহ্য করতো না। এখন হারিয়ে গেছেন তিনি। কারণটা আমরা সবাই জানি। আগে সুন্দর কিছু বিলাইয়ের ছবি পেলে সংগ্রহে রাখতাম। এখন আর রাখি না।
বৃষ্টিধারাঃ লাল টুকটুকে ফ্রক পড়া এই পিচ্চির নিকের আড়ালে এক দুষ্ট বিবি (কার্টেসি খণ্ড কাব্য) থাকেন যার কাজই হচ্ছে আকাশ, বাতাস, চাঁদ, সূর্য সহ যাবতীয় অখাদ্য খাওয়া এবং ঝগড়াড্ডা (ঝগড়া+আড্ডা) দেয়া। আমি নিশ্চিত আজ এই পোষ্টে ঝগড়া বাঁধবেই।
খণ্ড কাব্যঃ টুকরা টুকরা কাব্য আমার নিক নিয়ে প্রথম দিকে যে কমেন্ট করেছিলেন সেই কমেন্ট পড়ে আমি মনে হয় ব্লগে প্রথম এতো জোরে জোরে হেসেছিলাম। সেই কমেন্টটা না হয় নাই বললাম। আড্ডা জমাতে ওস্তাদ।
সরলতাঃ ছোট গল্পের জনপ্রিয় ব্লগার। আমার কমেন্টও যে কেউ মন দিয়ে পড়ে এটা প্রথম জেনেছি সরলতার কাছ থেকে। লেখার হাত অনেক ভাল। ওর ধারাবাহিক গল্পগুলো পড়তে ক্লান্তি লাগে না।
শায়মা আপুঃ সিনিওর এবং জনপ্রিয় একজন ব্লগার হিসেবেই উনাকে চিনি। চমৎকার একটা প্রো পিকের মানুষটাও যে ব্যাক্তি জীবনেও চমৎকার একজন মানুষ হবেন এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
জুন আপুঃ সিনিওর ব্লগার। উনাকে সম্মান করি। তিনি আমার সাথে একটু মজা করতে ভালবাসেন কিন্তু আমি কেন যেন আপুর সাথে মজা করতে ভয় পাই।
বড় বিলাই আপুঃ টারজান আর বড় বিলাই আপুর পোস্টের বিশেষত্ব হল, সব পোস্টেই এক একটা বিচিত্র ঢঙ্গের বাঘের ছবি। এই ছবি আমার চমৎকার লাগে।
আনিসা আপুঃ নাইস একজন মানুষ। কবিতা লেখেন আর এতো আন্তরিক ভাবে কমেন্ট করেন যে মনে হয় কোন জানা পরিচয় ছাড়া সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে আপুর মাঝে। আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ এবং কবি।
ইসরা খানঃ আমার বন্ধু। আমার চেয়ে অনেক সিনিওর হলেও উনাকে তুমি করে বলি বন্ধুত্বের খাতিরে। বন্ধুও আমাকে অনেক ভাল বন্ধু মনে করে এটা আমি জানি খুব ভাল করে।
সুরঞ্জনা আপুঃ চমৎকার মানুষ। কুম্ভকর্ণ ছাড়া যেন সুরঞ্জনা নামটা মানায় না। আমি ভেবেছিলাম তিনি অনেক ইয়াং লেডি হবেন। নামটাও চমৎকার কিন্তু ভাবিনি তিনি আমার এতো কাছাকাছি থাকেন এবং আমার চেয়ে এতো বড় বয়সী চমৎকার মনের মানুষ হবেন।
শিপু ভাইঃ পিচ্চি একটা শিশুর নিক দেখেই পছন্দ হয়ে যায় শিপু ভাইয়ের ব্লগ। এই পিচ্চিকে দেখার জন্যই তার ব্লগে আমার বিস্তর ঘোরাঘুরি। একদিন ফোনে কথা হল। ভীষণ আড্ডাবাজ। আটপৌরে কথাবার্তা। নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ ভাবতেই মনে হয় পছন্দ করেন।
গাব্রিয়েল সুমন ভাইঃ পত্রিকায় উনার কিছু লেখা পড়েছিলাম। ব্লগে একদিন দেখলাম গাব্রিয়েল সুমন নিকের এক পিচ্চি দু হাতে একটা ফুটবল বুকে চেপে ধরে বিচিত্র কোন একদিকে তাকিয়ে আছে। সন্দেহ ছিল তিনিই গাব্রিয়েল সুমন কি না! সন্দেহ দূর হল এবং উনার কবিতা আরও বেশি বেশি পড়া হল। তিনিই আমার ২য় ফেসবুক ফ্রেন্ড যার সাথে ২য় সর্বোচ্চ কথা হয়েছে ফেসবুক চ্যাটে। তিনি একদিন আমার মোবাইলে ম্যাসেজ দিলেন, hey silent…? Kothay? Cand dekho cand… উনার সাইলেন্ট শব্দের বাংলা অনুবাদ করার পর চরম মজা পেয়েছিলাম।
রহস্য প্রিয়, গদ্যকবিতা, কবিতা, গান , ফিল্ম সব নিয়েই পরিপূর্ণ এক সাহিত্যিক। আমার খুব প্রিয় কবি। উনার ‘ব্যাক্তিগত মেঘের ভিতর হেঁটে যেতে যেতে’ সিরিজের এখন পর্যন্ত পর্ব গুলোর রহস্য তিনি আমাকে বলেছেন এবং পরবর্তীতে পোস্ট দিয়েছেন। কিছু রহস্য তো আছেই তবে আজকের পরে এই রহস্য কথন তরঙ্গের মাধ্যমে আমার কানে এসে জমা হবার প্রক্রিয়া যেন বন্ধ না হয় ভাই। সর্বোচ্চ সংখ্যক পোস্ট তিনিই আমাকে উৎসর্গ করেছেন। এ জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হাসান মাহবুবঃ তুখোড় একজন গল্পাকার। আমার পোস্ট পড়তে অনেক সময় লাগে। আর হামা ভাইয়ের গল্প হলে তো কথাই নেই। উনার গল্প পড়তে অনেক সময় ব্যয় করি। এই সময় ব্যয় আমার উসুল হয়ে যায়। এতো চমৎকার লেখক ব্লগে কম পেয়েছি। উনি আমার খুব প্রিয় একজন গল্পাকার।
নস্টালজিকঃ কবিতা আর লিরিক পড়তে হলে নস্টালজিকের ব্লগে আসতেই হবে। ত্রিনিত্রি আপুর শেয়ার করা লিঙ্ক থেকে নস্টালজিকের ব্লগের সাথে পরিচয়। খুব ভাল লাগে উনার লেখা।
জুল ভার্ন ভাইঃ খুব সুন্দর ব্যাক্তিত্ত সম্পন্ন ব্যাক্তি। ব্লগে যে কয়জন ব্লগারকে খুব সম্মান দেখাতে ইচ্ছে করে জুল ভার্ন ভাই তাদের মাঝে অন্যতম।
সুপান্থ সুরাহী ভাইঃ উলগ্ন একটা মানুষের গালে হাত রেখে গভীর ভাবনায় মগ্ন থাকার প্রো পিক দেখে প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগতো। কেন বিরক্ত লাগতো তার বিশেষ কিছু আজ মনে করতে পাড়ছি না। আমি উনার লেখা তখন পর্যন্ত পড়িনি। ধীরে ধীরে উনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে শুরু করলাম উনার ব্লগ পড়া। তারপর শুধুই মুগ্ধতা। এখন ফেসবুকেও উনাকে অনেক বেশি বেশি দেখি।
স্বদেশ হাসনাইন ভাইঃ উনার সম্পর্কে কিচ্ছু জানি না। তবে তিনি যে উচ্চ মর্গীয় একজন লেখক এটা খুব করেই জানি। তিনি আমার কাছে শ্রদ্ধনীয় ব্যাক্তিদের মাঝে একজন। উনার লেখা বেশ কঠিন তবে বুঝতে পারলে সৌন্দর্যে ডুবে যাই।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলোঃ বোঝাই যায় তিনি খুব মনোযোগী পাঠক। উনার মন্তব্য পড়লে নিজের লেখার বিশ্লেষণ আর করতে হয় না। চমৎকার লেখেন। উনার চার পর্বের ধারাবাহিক পোস্ট পড়তে গিয়েও পড়া হয়নি। অনেক কঠিন মনে হয়েছে। তবে আমি পড়ে শেষ করবই।
নোমান নমিঃ উনার ভাইজতাদের নিয়ে লেখা পরেই বুঝেছি উনি কতবড় লুল। ইদানীং ডেমনকেও ভাইজতা বানাইসে। কাকায় ভাতিজা চিনতে ভুল করেনি। ছোট ভাতিজাদের সাথে দুষ্টামি করতে যান কিন্তু বয়স তো আর কম হয়নি! তাই উনার দুষ্টামি হয়ে যায় লুলামি। চমৎকার কবিতা লেখেন। ফেসবুকে আমার কবিতা কবিতা খেলার সাথী নোমান ভাই।
সহচরঃ উনার দুটো বিখ্যাত নাম দিয়েছি। নামগুলো সবাই জানে। সে বিষয় থাক। ব্লগে হলুদ টি শার্ট পড়ে মুখ ঢেকে যে ব্লগার এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ান তারই নাম সহচর। ফেসবুকে চরম আড্ডা দেই আমরা। মাঝে মাঝে উনার ইচ্ছা হয় সুদর্শন মুখটা সবাইকে দেখাতে। দেখান কিন্তু একটু পর আবার হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন।
অচেনা রাজ্যের রাজাঃ আমার সাথে দেখা হওয়া ২য় ব্লগার। ওর সাথেই আমার সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। আড্ডা হয়। মাঝে মাঝে রাজার মাথায় কি যেন হয়, যা বলবে তাই করবে। আমরা প্রায়ই এই রেস্টুরেন্ট সেই রেস্টুরেন্টে খেয়ে বেড়াই। রাগের বিষয় হচ্ছে, রাজা কোন ভাবেই বিল আমাকে দিতে দিবে না। খাবার শেষ হবার আগেই পারলে উঠে গিয়ে বিল দিয়ে আসে যেন আমি বিল দিতে না পাড়ি। রাজাকে বলেছি আমার এখানে এলে সে যেন টাকা না নিয়ে আসে। কে শুনে কার কথা!
অনেক ভাল লাগে রাজার কথাবার্তা। খুব মজার আর পাগলাটে ধরনের ছেলে। পাগলের মতো হাঁটে। আমাকে যেমন পছন্দ করে ঠিক তেমনি শ্রদ্ধাও করে। আমি লেখালেখির বিষয়ে কিছু বললে খুব মন দিয়ে শোনে আর মনে রাখে। ফোন দিলেই বলে, নীরব ভাই কৈ? কৈ আপনে? এ কথাটা শোনার জন্যই রাজাকে ফোন দিতে ইচ্ছা করে।
রাজা সাহেব গাড়ি কিনবেন। সেই গাড়িতে প্রথম আমাকে বসাবেন এবং নিজে ড্রাইভ করে আমাকে জাফলং নিয়ে যাবেন। এত্তো ভালবাসা পেয়ে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। রাজা সাহেব খেয়াল রাখবেন যেন রানী সাহেবা আবার মাইন্ড খেয়ে না বসে থাকেন! যদিও জানি রাজার রানী রাজার চেয়েও চমৎকার একটা মেয়ে অন্তত রাজার মতো মিথ্যা কথা বলে না, যদিও প্রেমের ক্ষেত্রে দু চারটা মিথ্যা বলা জায়েজ আছে!
মাহী ফ্লোরাঃ ইদানীং উনার লেখা পড়ে উনাকে নতুনভাবে চিনছি। শত্রুকে যে তিনি চরম ভাবে কথা দিয়ে আঘাত করতে পারেন তা একজন মানুষ হিসেবে অনন্য ক্ষমতাবান ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব না। তেজোদীপ্ত একজন মানুষ।
আরিয়ানাঃ উনার লেখা অনেক ভাল লাগে আমার। ব্লগে রেগুলার না দেখলেও উনার পোস্ট মিস করি না। আত্মনির্ভরশীল একজন মানুষ। আমার খুব ভাল লাগে এরকম স্বাধীন চিন্তাধারার মানুষদের।
রু আদেঃ উনার কবিতার জবাব নেই। এক কথায় অসাধারণ। উনার প্রো পিক আমার খুব বেশি পছন্দের। ট্যালেন্টেড মানুষের ছবি ঠিক এরকমই আমার দৃষ্টিতে।
স্বপ্নকথনঃ রোম্যান্টিক কথোপকথন সৃষ্টির জন্য এক চমৎকার লেখিকা। স্বপ্ন কথনের ডায়লগ নির্ভর গল্প পড়তে বরাবরই আমার অনেক ভাল লাগে।
সায়েম মুন ভাইঃ শিপু ভাইয়ের মতো মুন ভাইয়ের ব্লগ চিনেছি একটা ছোট পিচ্চির মুখ দেখে। তারপর প্রিয় কবিতার দেখা পেলাম উনার ব্লগে এসে। মুন ভাইয়ের নিজস্ব এ্যালবামের ছবি আমার অনেক প্রিয়।
অণুজীবঃ চরম ট্যালেন্টেড একজন ব্লগার। উনার প্রো পিকের ছেলেটার সিগারেট ধরানোর স্টাইল খুব ভাল লাগে আমার।
বোকা ভাইঃ নামে বোকা হলেও বোকা ভাই আসলে বোকা না। আমাদের কফিশপের সুন্দর প্রচ্ছদ করে দেয়ার জন্য উনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। বোকা ভাইয়ের ব্লগে আমি খুব কম গিয়েছি। জানি না কেন তবে যেদিন থেকে অনুসরণ করলাম সেদিনের পর আমার অনুসরিত পোষ্টে বোকা ভাইয়ের কোন লেখাই জমা হয়নি।
আঁধারি অপ্সরাঃ যে কোন পোস্ট পড়ে বিস্তারিত মন্তব্য করে থাকেন তিনি। অনেক ভাল লাগে আমার নিজের লেখা নিয়ে কেউ এতো গভীর ভাবে ভাবলে। ইদানীং ব্লগে দেখা যায় না। প্রত্যাশা রাখি যেখানেই থাকুন খুব দ্রুত ব্লগে ফিরে আসবেন।
নিশাত রহমানঃ আমাদের কফিশপ গল্প ব্লগে পোস্ট হবার সময়ই হঠাৎ করেই নিশাতের আগমন। অনেক ভাল লেগেছিল। ব্লগারদের নিয়ে নিশাতের শো ‘ব্লগারজ’ আমি নিয়মিত শুনি। নিশাত দিন দিন উন্নতি করছে এটা দেখে অনেক ভাল লাগে।
কথক পলাশ ভাইঃ শাহজালাল ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত এক কিলো রাস্তা নিয়ে পলাশ ভাইয়ের লেখা পড়ার পর থেকে আমি উনার নিয়মিত পাঠক। নিজের ক্যাম্পাসের নস্টালজিক বিষয় গুলো উনার চেয়ে ভাল আর কে পারবে তুলে ধরতে?
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ারঃ মারাত্মক কবিতার ভাষা। উনার প্রো পিকগুলো সবসময় ডিফ্রেন্ট হয়। সহজেই আলাদা করা যায়।
মহাবিশ্ব দাদাঃ আমার অনেক প্রিয় একজন কবি। দাদার কাছ থেকে চমৎকার শব্দের মেল বন্ধনে সৃষ্ট চমৎকার মন্তব্য পাবার আশায় আমি কয়েকটা কবিতা পোস্ট করেছি। ফেসবুকে পরিচিত হবার পর দাদা বললেন আমি যেন উনাকে এখন থেকে তুমি করে ডাকি। এতো বড় একজন মানুষকে আমি হুট করে তুমি করে বলতে পাড়ি না। দাদাকে বললাম ধীরে ধীরে একদিন বলে ফেলব দাদা। এই ধীরে ধীরের পাশ কাটিয়ে একদিন দাদাকে তুমি করে বলা শুরু করলাম। সেদিন মনে হল আমি আমার বড় দাদাকে তো তুমি করেই বলি তাহলে মহাবিশ্ব দাদাকে তুমি করে বলতে পাড়ব না কেন? সেই থেকে দাদাকে তুমি করে বলে যাচ্ছি আর দাদার সুন্দর ছন্দ বদ্ধ কবিতা পড়ার আশায় প্রতিনিয়ত দাদার ব্লগে ঘুরে যাচ্ছি।
ছাইরাজ হেলাল ভাইঃ হেলাল ভাইয়ের কবিতা খুব সুন্দর। শাহেদ ভাই, তানিম আর হেলাল ভাইয়ের রুবাইয়াৎ খুব ভাল লাগে। হেলাল ভাই আমার শুধু নয় অন্য অনেকের পোস্টেও দেখেছি, কমেন্ট করেন পোস্ট সংশ্লিষ্ট সুন্দর একটা কবিতা লিখে দিয়ে। সুন্দর করে লেখা সে কবিতার জবাব আমি কবিতায় দিতে পাড়ি না।
শাহেদ ভাইঃ সৃষ্টিশীল কবি। তিনি প্রকৃতই একজন কবি। উনার লেখা অনেক দিন পর পর পেলেও উনার একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে কোন পোস্টই মিস করি না। শাহেদ ভাই চমৎকার কবিতা লেখেন। আজ এড করলাম- তিনি দেখতেও মাসাল্লাহ রমণী কুলের হৃদয় হরণকারী।
রেজওয়ান মাহবুব তানিমঃ তানিমরে কিছু কইলাম না। হেরে আগে মাইর দিমু তারপর অন্য কথা।
চমৎকার কবিতা লেখে। একদিন ফোন দিয়ে কবিতা আবৃতি করে শোনাল। আমি তানিমকে বললাম, আপনি যেই হোন, আমাকে মাঝে মাঝে কবিতা আবৃতি করে শুনাবেন। ২০১২ বইমেলায় তানিমের প্রথম কবিতার বই ‘মৌন মুখর বেলায়’ বের হচ্ছে। আশা করি সেখানে খুব ভাল কিছু কবিতা পাব। আর সে যদি ১ কপি বইয়ের সাথে ২ কপি সত্যায়িত সৌজন্য কপি না দেয় তাহলে তার বই কিনব না বলে ডিসিশন নিয়েছি।
ত্রাতুল ভাইঃ ত্রাতুল ভাই প্রচুর কবিতা লেখেন। উনার সব কবিতা পড়িনি তবে যে কয়টা কবিতা পড়েছি তাতেই মনে হয় উনি চমৎকার লেখেন।
সুদীপ্ত করঃ রিয়েলের মুখে শুনেছিলাম সুদীপ্তর কথা। তখন পর্যন্ত জানতাম না যে সে আমারই ইউনিতে পড়ে। সুদীপ্তর সাথে পরিচয় থেকে দেখা হওয়া একটা লম্বা প্রসেস। ছাক্কু কিংবা রাজার সাথে দু দিন কথা বলেই আমরা দেখা করে ফেলেছি, আড্ডা দিয়েছি, চা সিগারেট খেয়েছি। যদিও ছাক্কু সিগারেট খায় না আর রাজা রানির সামনে খায় না। যাক, তো সুদীপ্তর সাথে দেখা হল। ওকে দূর থেকে দেখে গর্বে আমার বুক ভরে উঠল। যাক তাহলে আমিই কেবল শেষ না, আমার পরেও কেউ আছে।
চমৎকার একটা ছেলে। সেদিন ক্যাম্পাসে দেখা হবার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। অনেক ভাল লেগেছিল সুদীপ্তকে। ও হা, সুদীপ্ত তাদের ডিপার্টমেন্টের সোসাইটির নতুন জিএস ভাইয়া। এখনো পার্টি দেয় নাই। সব ব্লগারের উচিত সুদীপ্তকে ধরে কুপানি দেয়া। সে সায়েন্স ফিকশন লিখছে। অনেক ভাল লেগেছে। আমার এক ফ্রেন্ডের পিসিতে দেখলাম সুদীপ্তর লেভেল টেন গল্পটা সেভ করে রাখা।
ইদানীং কবি ভাইয়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। চমৎকার কবিতা লিখে কবির আসন পাকাপাকি ভাবে পেয়ে গেছে।