গত শুক্রবার, বাসে করে গাজীপুর থেকে ঢাকা আসছি বাসে। আমার পাশে বসেছিলেন এক ভদ্র!লোক। অনেকক্ষণ থেকে লক্ষ্য করছিলাম উনি মোবাইলে বারবার কাউকে ট্রাই করছিলেন। তো প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টার পর ওনার ফোন রিসিভ হলো অপর পাশ থেকে। যদিও আড়ি পেতে অপর প্রান্তের কথা শুনিনি, তবু দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে কথোপকথনটা টের পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।

-হ্যালো
-কি ব্যাপার তুমি আমার ফোন ধরতেছোনা কেন?

-ক্লায়েণ্ট ছিলো
-আমার চেয়ে কি ক্লায়েণ্ট বেশী ইম্পর্ট্যাণ্ট?

-ওমা এটা আমার জব না?

-ক্লায়েণ্টকে একটু ওয়েট করায় রাখতে পারোনা?
-ফোন করছো কেন?
-কেমন আছো?
-ভালোই
-অফিস থেকে বের হবা কয়টায়?
-কেন?
-না একটু ঘুরতাম আরকি

-আমার সময় নাই
-তুমি এতো কাটা কাটা কথা বলতেছো কেন?
-একটু হোল্ড করো, আরেকজন ক্লায়েন্ট আসছে।
-হোল্ড করতে পারুম না, বাই।

মিনিট পাঁচেক পরে অপর প্রান্ত থেকে কলব্যাক।

-হ্যালো
-কি করো?
-আমি বাসে
-অ্যাই, বলোতো আমি আজকে কি রঙয়ের জামা পরসি?

-তোমার ক্লায়েন্ট গেছে?
-হুঁ
-শোন আমারে উল্টাপাল্টা বুঝাবা না বুঝছো। তোমার এক ক্লায়েন্ট এক ঘণ্টা থাকে আরেকটা পাঁচ মিনিট থাকে, না? মনে করছো আমি কিছু বুঝিনা?

-কি বুঝো?
-কাজের সময় আমি ফোন করলে ধরো না কেন?
-কাজের সময় ফোন না করলেই তো পারো। তুমি আমার কাজের সময় ফোন করতেস, আবার ফোন না ধরলে নিজেই ডিসটার্বড হচ্ছো। অফটাইম এ ফোন দিলেই হয়।

-তুমি আমার কাজের সময় আমাকে ফোন দাও না?
-কখন?

-আমার বউ বাসায় থাকার সময় ফোন দাও না তুমি?

আমি চুপ।
