somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খুব মিস করছি সাইকেলটাকে.........

২৫ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন আমি ক্লস টু বা থ্রিতে পড়ি। শহরের অন্য দশজনের মত আমার জীবনও ছিল চার দেয়ালের ভেতর বন্ধী। আর অন্য দশ জন ছেলের মত আমারও ছিল নতুন নতুন খেলনা কেনার শখ। বিভিন্ন ধরনের খেলনার গাড়ি, পিস্তল, এরোপ্লেইনে ভর্তি ছিল আমাদের ঘর। :D:D
তবুও নতুন কিছু দেখলেই তা না পাওয়া পর্যন্ত বাবা মাকে এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দিতাম না। /:)/:)
মাঝে মাঝে সেই দিন গুলুর কথা মনে পড়লে লজ্জায় কোথায় মুখ লুকাব বুঝতে পারি না। :((:((:((
আব্বুকে তো একবার বলেই দিয়েছিলাম আজ রেকেট ছাড়া আসলে বাসার দরজা খুলব না। X(X(X(

আরেকটি ঘটনা মনে পড়লে খুব হাসি পাই। আম্মু পিঠা বানিয়ে এনেছিলেন আমাকে খাওয়ানোর জন্য, আর আমি তখন ঘুমাচ্ছিলাম। আম্মু আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে যেই তুলে বসিয়ে দিচ্ছলেন হঠাৎ আমি ও আ করে চিৎকার দিয়ে বলতে উঠলাম “আমার হাত ভেঙ্গে গেছে.........আমার হাত ভেঙ্গে গেছে”...আর আম্মুও খুব ভয় পেয়ে গেলন। এটা অবশ্য বলতে দেরি করিনি যে “একটা “বন্দুক” কিনে দিলে ভাল হয়ে যাবে কিন্তু!!“ আম্মুর আর আমার চাল বুঝতে দেরি হল না। এরকম আরও অনেক ঘটনার জন্য আমার খুব সুনাম ছিল একজন অভিনেতা হিসেবে।;););)
পরিক্ষা কাছে আসলেই আব্বু আম্মুর সাথে চুক্তি করে ফেলতাম। গুরুতুপুর্ণ এইসব চুক্তির একমাত্র শর্ত হল পরিক্ষায় ভাল করলে আমাকে নতুন খেলনা কিনে দিতেই হবে। তা না হলে পরের পরিক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবেই ফেইল করব। আর এমনি এক চুক্তির ফসল একটি সাইকেল। B-)B-)B-)B-)
এই সাইকেল ছিল আমার বন্ধুর মত। শহরে চালানোর সুবিধা ছিল না বলে সাইকেলটা নিয়ে গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে। যখনি বাড়ি যেতেম বেরিয়ে পড়তাম সেই সাইকেল নিয়ে। সব বন্ধু এক সাথে সাইকেল চালিয়ে গ্রামের বিভিন্ন জায়াগায় ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের সেই সাইকেল যাত্রাগুলু ছিল গন্তব্যহীন। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে চলে যেতাম মুক্ত বিহঙ্গের মত। কতই না আনন্দের ছিল সেই দিন গুলু! /:)/:)/:)/:)
আমাদের সেই সাইকেল যাত্রগুলুকে আমরা এডবেঞ্চার বলেই আখ্যায়িত করতাম। যদিও এডভেঞ্চারের চেয়ে একসিডেন্টই হত বেশী ।
পাহাড়ের উপর সাইকেল চালানোর সময় একবার সাইকেলের হেন্ডেল ভেঙ্গে গিয়েছিল। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সেদিন প্রাণে বেঁচেছিলাম। এমন আরও কয়েকটি দুর্ঘটনার সত্ত্বেও কখনো থেমে থাকেনি আমাদের দুরন্তপনা। এভেবেই কেটে গেল ঘড়িহীন সেই কৈশোর। :-/:-/
চোখের পলকে পার হয়ে গেল জীবনের অনেক বছর। সেই সেইকেল, সেই গ্রাম আগের মতই থেকে গেল অথচ আমি বড় হয়ে গেলাম।

গতবার ঈদে বাড়িতে গিয়ে সাইকেলটাকে দেখে সেই দিনগুলুর কথা মনে পড়ে গেল।
খুব মিস করলাম হারানো সেই দিনগুলুকে।
ইস! আরেকটিবার যদি পারতাম সেই দিনগুলুতে ফিরে যেতে…………….
:|:|:|:|:|
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

১. ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:০২

জালিস মাহমুদ বলেছেন: ইস! আরেকটিবার যদি পারতাম সেই দিনগুলুতে ফিরে যেতে……………



আমার অবস্থা আর ও খারাপ । ইদানিং ঘুমালে শুধু ছোটবেলায় ফিরে যাই !!!!

২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:০৯

লেখক বলেছেন: আহারে.........

২. ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:১৮

নীরব পৃথিবী বলেছেন: পুরোনো দিনের সমস্ত গল্প শুনতে যান -

Click This Link

২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:২৪

লেখক বলেছেন: :( :(

৩. ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৩৩

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: আমার সাইকেল্টা বিক্রী করে দিয়েছিলাম!কিন্তু এখন খুব মিস করি সাইকেল টাকে! :( :( :(

২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৩৮

লেখক বলেছেন: আমারটার ধ্বংসাবশেষ এখনো আছে....

৪. ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ১২:৪২

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: লাইফ ইজ ওয়ানওয়ে রোড...... শত ইচ্ছা থাকলেও ফেরার উপায় নাই......







অনেক অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন...... দারুন লেখা ....

২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:৩৯

লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ

৫. ২৬ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

বড় বিলাই বলেছেন: “একটা “বন্দুক” কিনে দিলে ভাল হয়ে যাবে কিন্তু!!“



হাত ভাঙার নতুন আর সহজ চিকিৎসা শিখলাম। ;)

২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৯:০১

লেখক বলেছেন: হা হা......



বড় হয়ে গেছেন, কাজে লাগাতে পারবেন না। শিখেও লাভ হইল না আরকি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চেংগিস খান: ব্লগের এক আত্মম্ভরী, অহংকারী জঞ্জাল

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

ব্লগ জগতে অনেক ধরনের মানুষের দেখা মেলে—কেউ লেখে আনন্দের জন্য, কেউ লেখে ভাবনা শেয়ার করতে, আর কেউ লেখে শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে। কিন্তু তারপর আছে চেংগিস খানের মতো একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নষ্ট প্রজন্ম

লিখেছেন Sujon Mahmud, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৬

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্ষিতা বাঙালি নারীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪১

আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×