আমাদের জাতীয় ভাগ্নে তথ্য বাবা একদা ঘোষণা দিয়েছিলেন যে দেশের মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী তৈরির কারখানা, দেশে বোরকার ব্যবহার ৫০% বেড়ে গেছে । সুতরাং তথ্য বাবা মাদ্রাসা বন্ধের মিশন নিয়ে আসলেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আইন আর নিয়ম নীতি আবিষ্কার করে ভর্তির সুযোগ সংকীর্ণ করা হলো । মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিক শিক্ষার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপিঠে দাঁড়ি টুপি পরা মোল্লাদের পড়াশোনা করার অধিকার থাকতে পারে না। মোল্লারা ইংরেজীতে বেজায় দূর্বল । আমাদের মত স্কুল কলেজ পড়ুয়া আধুনিক জিপিএ ৫ ধারীরা আবার ইংরেজীতে সেরকম সবল। কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় একটু অনিয়মের অভাব ছিল । আর পরীক্ষা পদ্ধতিও ত্রুটিপূর্ণ ছিল । মাদ্রাসার পোলাপান নিশ্চিত ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করেছে । তা না হলে যে মোল্লাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা হতে দূরে রাখতে এতো এতো প্রচেষ্টা তার সবকিছুই ব্যর্থ করে দিয়ে এক মোল্লাই কিনা বাজিমাত করল। ঢাবির দুই দুইটা ইউনিটে প্রথম ??? এদের ব্যাকগ্রাউন্ড কোথায় ? কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ? না না ভাইজান তারা আমাদের বিখ্যাত রেমিয়ান, জোসেফাইট, গ্রেগরিয়ান, ভিক্কি অথবা হক্কি কোন নামকরা প্রতিষ্ঠানের নয়। গৌরবউজ্জ্বল এ প্রতিষ্ঠানটি তথ্য বাবার মতে মৌলবাদী আর জঙ্গী তৈরির কারখানা । সুতরাং এখানে বোমা তৈরির কারখানা না থেকেই পারে না! এর একটা বিহিত করাই যায় । তাইত তথ্য বাবার অনুগত পুলিশ মামুরা এ দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা টংগীর তামিরুল মিল্লাতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে অন্যায়ভাবে হামলা লুটপাট বোমা তৈরির কারখানা সহ বিপুল জিহাদি পাঠ্যপুস্তক উদ্ধার করেছে । তথ্য বাবার মাদ্রাসা বন্ধের মিশনে নিঃসন্দেহে এটা সবচাইতে বড় অর্জন ।
