২০০৮ সাল। অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ি। পহেলা বৈশাখে আড্ডা দেওয়া বা ঘুরতে যাব এমন কোন বন্ধু আমার তখনো ঢাকা শহরে ছিল না। ঢাকা বলতে ক্যাম্পাসে আরকি! কিভাবে দিন পার করব এরকম ভাবতে ভাবতে সিফাতের সাথে ফোনে কথা হয়ে গেল। সিফাত আমাদের অনেক আগেই ঢাকা এসেছে। আমারা যখন পাবলিক ইউনিভার্সিটির এ্যাডমিশন নিয়ে ব্যাস্ত ও তখন সোজা স্ট্যামপফোর্ডে ভর্তি হয়ে গেল। তাই ঢাকা শহরে ও ছিল আমার চেয়ে এক বছরের সিনিয়র। তখন সেনা-তত্ত্বাবধায়কের সময়! পাবলিক ফাংশানে বেশ নজরদারী কড়াকড়ি ছিল। ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বাংলালিংকের কনসার্ট ছিল। সিফাতের প্রস্তাবে সেখানেই গেলাম দুই বন্ধু। সারা মাঠ ভর্তি মানুষ কিন্তু কোন এক অজানা কারনে কনসার্ট শুরু হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। আয়োজকদের আবদার ছিল গান শোনা যাবে কিন্তু লাফালাফি বা নাঁচা যাবে না। কারণ প্রসাশনের কাছ হতে সেরকম দিকনির্দেশনা দিয়েই পার্মিশান দেওয়া হয়েছে। সন্ধার একটু আগে মিলা এসে গান শুরু করতে না করতেই পোলাপান সেরকম লাফালাফি শুরু করল। আমি আর সিফাত মাঠের পেছনের দিকে বসে বসে বাদাম খাচ্ছিলাম। আমাদের পাসে এক ৩০/৩২ বছরের জুটি (সম্ভবত বিবাহিত) বসেছিল। তৃতীয় গান শুরু করার আগে আয়োজকরা বারবার ঘোষণা দিচ্ছিলেন যেন কেও উঠে না দাড়ায়। তাহলে কনসার্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু গান শুরু হতে না হতেই আবার যেরকম লাফালাফি শুরু হল যে বলার মত না। গানের মাঝখানেই কোন আওয়াজ ছাড়াই মঞ্চের পাওয়ার অফ হয়ে গেল। পাবলিক মঞ্চে পানির বোতল ঢিল ছোড়া আরম্ভ করলে মোটামুটি হইহট্টগল এবং মুহুর্তে সেটি বেশ ভাল সংঘর্ষের রুপ নিল। আমরা দুজন উঠে বের হতে যাব এমন সময় আমাদের পাশের সেই দম্পতির মহিলাকে দেখলাম কেমন জানি অসহায়ের মত এদিক সেদিক তাকিয়ে কারও নাম ধরে ডাকাডাকি করছে। উনার সাথের ভদ্রলোকটি কিছুখক্ষণ আগে বাদাম কিনতে উঠেছিলেন। মানুষের চাপ মুহুর্তেই এত বেড়ে গেল যে কোন দিক দিয়ে বের হব সেটি ঠিক করতে পারছহলাম না। পাশের মহিলার অবস্থা সেরকম খারাপ। এরই মধ্যে দুয়েকজন গায়ে হালকা পাতলা হাত দিয়ে ফেলেছে। সিফাতের মেয়েলি বিষয়ে যারপরনাই রেকর্ড ছিল রাজশাহীতে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল যে সেদিন সিফাত আমার হাত ধরে মহিলাটিকে অনেকটা ব্যারিকেড দেয়ার মত সেভ করে বলতে লাগত "আপু দ্রুত বের হন, ভাইয়াকে খুজে পাবেন না" কয়েক সেকেন্ডেই মানুষের ধাক্কাই গেট দিয়ে বের হয়ে গেলাম আমরা। সামনে মহিলালে নিরাপদে বের করে দিয়ে। সিফাত বল্ল মামা তাড়াতাড়ি এলাকা ছাড়। না হলে পুলিশ ঠেঙ্গাবে। আমরা দুজন কেমন করে জানি গিয়ে সাত নাম্বার ব্রিজের মাথায় হাজির হলাম। সেখানেও একইরকম ভিড়। পাশেই ভিড়ের মধ্যে এক ২৫/২৬ বছরের সাদা জরজেটের শাড়ি পরা মেয়েকে আমাদের চেয়েও খুব কমবয়সি আট-দশজন ছেলে ভিড়ের ধাক্কার অজুহাতে একদম গায়ে গিয়ে পড়ল। সবার সামনে কয়েকটি হাত মূহুর্তের মেয়েটির বুক সহ নানান যায়াগায়। নারীকন্ঠের জোরালো একটি আর্তনাদের পরে আবার দেখি মেয়েটি হাসছে। অনেকটা বোধহয় লজ্জায়, ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। লোকজনের ভিড়ে একরকম এরকম নানা অপকর্ম দেখতে দেখতে মোটামুটি ভর্তা হয়ে সেদিন বাসায় ফিরলাম। সেটিই আমার ঢাকার লাইফে ফাস্ট & লাস্ট বৈশাখে বের হওয়া। পরের সবগুলো মোটামুটি ঘরে ঘুমিয়েই কাটিয়েছি। কারণ তত দিনে সিফাতের ভালবাসার ঢাকাইয়া এপিসোড আরম্ভ হয়ে গেছে। আমাদের তথাকথিত বাঙ্গালী সংস্কৃতি এখন নিশ্চয় আরো অনেক বেশি পক্ক্ব হয়েছে।আর কবে না জানি আরো বেশি পেকে পঁচে গিয়ে গন্ধ ছড়াবে একদিন......!!
আমার পয়লা পহেলা বৈশাখ দর্শন সাথে লাইভ ধর্ষণ..........!!


চেংগিস খান: ব্লগের এক আত্মম্ভরী, অহংকারী জঞ্জাল
ব্লগ জগতে অনেক ধরনের মানুষের দেখা মেলে—কেউ লেখে আনন্দের জন্য, কেউ লেখে ভাবনা শেয়ার করতে, আর কেউ লেখে শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে। কিন্তু তারপর আছে চেংগিস খানের মতো একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নষ্ট প্রজন্ম
৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্ষিতা বাঙালি নারীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?
আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না।... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
প্রতিকী ছবি
বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন