somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিশির সাথে কাটানো একটা সুন্দর বিকাল অথবা ম্যাডামের চোখ রাঙানীর গল্প !!! 8-| 8-| 8-| 8-|

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডিসক্ল্বেইমার : নাই, যে কেউ এসে যে কোন কিছু ক্লেইম করতে পারেন। তবে উল্টা-পাল্টা কিছু ক্লেইম করলে ডাইরেক্ট ব্লক করা হবে !!! আরেকটা কথা, কোন একটা কারণে আগের পর্বগুলোর লিংক পোস্টে দেয়া যাচ্ছে না, দিলেই পোস্ট কনটেন্ট গায়েব হয়ে যাচ্ছে। আগের পর্বগুলি পড়লে এই পর্ব পড়ার সময় আকাশ থেকে পড়ার মত অনুভূতি বোধ করবেন না।






নিশির সাথে কথা বলতে বলতে ক্যাম্পাসের বাইরে চলে আসলাম। আমাদের ক্যাম্পাসের ঠিক বাইরের দিকে একটা হল আছে। আমাদের ভার্সিটির হলগুলোর একটা বিশেষত্ব হল, একটা হলে যত ছাত্র থাকে সবাই একই ডিপার্টমেন্টের। তবে এই হলটার একটা এক্সট্রা সুবিধা হল এই হলের সাথে একটা অ্যাটাচড পুকুরও আছে, যেইটা আর কোন হলে নাই। মেয়েদের হলের সাথেও একটা পুকুর অবশ্য আছে। তবে ঐখানকার পরিবেশ আর এইখানকার পরিবেশ পুরোটাই বিপরীত।*

আমি হাটছি আর হা করে হলের দিকে তাকিয়ে আছি , খেয়ালই করি নাই নিশি আমার পাশে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ করেই আবার নিশির ডাক শুনলাম-

-অ্যাই ই ই ই, কি হল তোমার ?!? :-/:-/:-/
- 8-| 8-| 8-| 8-|
- অ্যাই ই ই ই ছেলে :-/ :-/ :-/
-বল কি বলবা !! 8-| 8-|
- হা করে দেখার মত কি আছে ঐখানে ?!? /:) /:)
-দেখো, কত সুন্দর না হলটা ?!? 8-| 8-|
-এর মাঝে সৌন্দর্যের কি দেখলা ?!? /:) /:) /:)
-মানে এই যে কত সুন্দর অ্যাটাচড পুকুর, পুকুর পাড়ে গাছের ছায়া, কেমন যেন একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। 8-| 8-| 8-| 8-|
-আর একটা কথাও বলবা না। X( X( X( X(
-কেন, আমি কি বলছি যে এতটা রিঅ্যাক্ট করতে হবে। :|| :|| :|| :||
- X(( X(( X(( X(( X((
- :-& :-& :-& :-& :-&
- #%$#%%$#^^#%## #%$#%%$#^^#%##
-#@^#%^^@%###@@#%$#%%$#^^#%##

কথোপকথন এবং ঝগড়া একসময় শেষ হয়ে গেলেও নিশি আমার সাথে সাথেই হাটছিল। আমাদের ক্যাম্পাসটা শহর থেকে প্রায় ৫-৬ কি.মি. দুরে। আবার ক্যাম্পাস থেকেও মেইনরোড প্রায় ২০ মিনিটের হাঁটা পথ। এই ২০ মিনিটের মাঝে ১৫ মিনিটই ঝগড়া করতে করতে পার হলাম। খেয়ালই করি নাই সেই কাঠফাটা রোদ কখন উধাও হয়ে গেছে, আকাশের কোণায় কাল মেঘ এসে জমা হচ্ছে। আমার যখন মেইন রোডের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি তখনই শুরু হল বাতাস। সাথে প্রচন্ড ধুলাঝড়।

এরপর আর কিছু বুঝে উঠার আগেই চোখে ধুলা ঢুকে গেল, একই সাথে নিশি শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরল। আমি তখনও বুঝে উঠতে পারছি এখন কি করা উচিৎ, হাতটা ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে নিবো নাকি নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিবো। এরই মাঝে আমার চিন্তাভাবনাকে আরও শানিত করতে শন শন করে বর্ষা শুরু হয়ে গেল।

বর্ষা মাথায় নিয়েই দৌড় শুরু করলাম, দৌড়াতে দৌড়াতে বাসস্ট্যান্ডের পাশের যাত্রী ছাউনির ভিতরে দাড়ালাম। আমাদের মত অনেককেই দেখলাম ছাউনির ভিতরে দাড়িয়ে আছে। আমরাও সুবিধামত জায়গায় দাড়িয়ে পড়লাম।

দাড়িয়ে দাড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি, বৃষ্টির থেকে বাতাসের জোরই বেশি। যার কারণে মাঝে মাঝেই পানির ঝাপটা এসে গায়ে লাগছিল। আমি ভিজে যাচ্ছি তার পরেও মুগ্ধ হয়ে বৃষ্টি দেখছি। আজ মনে হয় আমার মুগ্ধ হওয়ার দিন। যা দেখছি তাতেই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি।

আমার মুগ্ধতা কাটানোর জন্যই মনে হয় বৃষ্টিটা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেল। বাতাসের জোরও অনেক কম। আমিও বের হবো হবো এমন ভাব নিচ্ছি। তখনি খেয়াল করলাম ছাউনির প্রত্যেক জোড়া চোখ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আরেকটা জিনিসও তখন খেয়াল করলাম। তা হল, নিশি তখনও আমার হাত চেপে ধরে দাড়িয়ে আছে। এতটাই জোর দিয়ে ধরেছে যে ব্লাড সার্কুলেশন বিঘ্নিত হয়ে আমার হাত ঝিমঝিম শুরু হয়ে গেছে। হাতটা সামান্য দুলাতে দুলাতে বললাম-

-বৃষ্টি তো শেষ তাই না, চল বের হয়ে পড়ি। :| :|
-হ্যা, চল বের হই। :( :(
-আর হ্যা, আমার হাত ঝি ঝি ধরে গেছে। :|
-হাতটা ছেড়ে দিতে বললেই পারতা !!! :|:|
-আমি আসলে তোমার মত অভ্দ্র না। X((X((X((X((
-:( :( :( :( :( :( :((:((:((:((:((:((
- আরে আজব তো, কান্না করো কেন ?!? :-& :-& :-&
-:((:((:((:((:((:((:((:((:((:((
-আজব, প্লিজ নিশি, কান্না থামাও। মানুষজন কি ভাবছে বলোতো !!!
- আগে বলো তুমি আমার কথায় মাইন্ড করো নাই !!! :((:((:((
-নাহ, একদমই মাইন্ড করি নাই, এইবার কান্নাটা থামাও দয়া করে। /:) /:)

------------------------চলবে

পরের পর্ব কালকেই দিবো ইনশাল্লাহ !!!
২৪টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×