বুয়েট শিক্ষার্থী সামিয়া সাজেদা এর হাতে সিম্ফনি মোবাইল বিস্ফোরণ খবরটা পরে বেশ অবাকই হলাম, মোবাইল এর মত একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যদি মরনাস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এই জীবনের নিরাপত্তা কতটুকু?

কিছুদিন আগেও CNG তে উঠতে ভয় লাগতো, যেভাবে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হচ্ছিলো তাতে আমার মনে হয় যে কারোর ই ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। যেহেতু গ্যাস একটি জ্বালানী সেহেতু এই রকম দুর্ঘটনা আমরা মেনে নিলেও মোবাইল বিস্ফোরণটা মেনে নেয়া যায় না।

চার্জ এ থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় এটা আমার মতেও যুক্তি সঙ্গত কিন্তু একটি মোবাইল হাতে থাকা অবস্থায় কিভাবে বিস্ফোরিত হয়?
এই ঘটনার জন্য আসলে কারা দায়ী, আমরা? যারা কিনা একটু টাকা বাঁচানোর জন্য নিম্ন মানের ব্রান্ড এর মোবাইল নিচ্ছি নাকি যারা আমাদের হাতে চকচকে দেখতে মোবাইল গুলো তুলে দিচ্ছে? আমরা যেমন সময়ের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে হাতে নিচ্ছি সস্তা মোবাইল আর মোবাইল কোম্পানি গুলোও ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তৈরি করছে এসব মরনাস্ত্র। এইসব দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন। কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য আমরা সিম্ফনির মত আর সস্তা বাজে মোবাইল কেন নিবো?
সিম্ফনির মতো কোম্পানি গুলো দেখতে সুন্দর চকচকে জিনিস দেখিয়ে আমাদের লোভে ফেলছে। এদের কে দিল আমাদের জীবন নিয়ে খেলার অধিকার? আজকে এই মোবাইল সামিয়া সাজেদ এর হাতে বিস্ফোরিত না হয়ে আপনার আমার হাতেও বিস্ফোরিত হতে পারতো? সামিয়া সাজেদ এর ভাগ্য ভালো বলতে হবে যে মোবাইলটি হাতে ছিল কানে নয়।

আমাদের উচিত টাকার চিন্তা না করে জীবনের চিন্তা করা, সিম্ফনির মতো সস্তা চাইনিজ মোবাইল না কিনে একটু দাম দিয়ে স্যামসাঙ এরিকসন এর মতো ভালো ব্রান্ড এর সেট কেনা।
টাকা একবার গেলে আবার আসবে, জীবন গেলে তা আর ফিরে পাবেন না।
