জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় আজ চার-পাঁচ দিন তেমন স্বস্তি পাচ্ছি না। ভালোভাবে কোনো কাজ করতে পারছি না। তার ওপর শুভ-অশুভ নানা খবরে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আনন্দময় শুভ খবর দিয়েই শুরু করি। বহু বছরের তপস্যার ফল হিসেবে বোধহয় একজন নিখাদ বাঙালি আগামী মাসে মহান ভারতের মহামহিম রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন। তিনি আর কেউ নন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কির্নাহারের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ ইন্দিরাজীর ভাষায় ভারতের হিউম্যান কম্পিউটার শ্রী প্রণব মুখার্জি। তার সম্পর্কে ইতোমধ্যেই আমার দেশ-এ দু-কলাম লিখেছি। আশা করি আগামী মাসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভালোয় ভালোয় তার শপথ হয়ে গেলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনেও অবশ্য অবশ্যই কিছু লিখব। আজ শুধু ১৬ কোটি সংগ্রামী বাঙালি এবং আমার পরিবার-পরিজন ও আমার পক্ষ থেকে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদে মনোনীত হওয়ায় তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি।
কিছুদিন ধরে মানবতার কান্না শুনে স্থির থাকতে পারছি না। কেন যেন বার বার '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। হাজার হাজার লাখ লাখ উদ্বাস্তুর স্রোত যখন প্রতিবেশী ভারতের দিকে ছুটে চলছিল, তখন কেমন যেন মূর্ত হয়ে উঠেছিল সন্তানসম্ভবা মায়েদের সেদিনের বোবা কান্না, হৃদয়ের তন্ত্রীতে বীণার ঝঙ্কারের মতো এক বেদনার অসহনীয় জ্বালা। সেই দুঃসময়ে কত ক্ষত-বিক্ষত আহত দেখেছি, নিহত দেখেছি। দেখেছি সন্তানসম্ভবা মায়ের যন্ত্রণা। সদ্য সন্তান প্রসবা মায়ের পবিত্র রক্তে মাটি লালে লাল হতে দেখেছি। তাই সেরকম মানবতার দুঃসময়ে রক্তের দামে কেনা আমার দেশ যখন মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করে তখন বিচলিত না হয়ে পারি না। ১৪ জুন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির নির্দয় কণ্ঠের ৩০০ বিধির বিবৃতি দেশবাসীকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। জীবন বাঁচাতে আশ্রয়ের আশায় ছুটে আসা মুসলিম রোহিঙ্গারা এভাবে একটি মানবতাবাদী দেশের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে ফিরে যাবে, এটা হয়তো তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। দীপু মনির বিবৃতি অনুসারে শরণার্থীদের ফেলে যাওয়া নৌকার খোলে পড়ে থাকা তিন মাসের শিশুকে কোনো শরণার্থী শিবিরে দিয়েছেন। তিন মাসের শিশু কোনো দীপু মনি, আপুমণি চায় না_ তার মামণির দরকার। আমার ছোট শিশু কুশিমণি যখন তার মায়ের বুকে মুখ লাগিয়ে আকুলি-বিকুলি করে তখন বুঝি শিশুর কাছে মায়ের কোনো বিকল্প নেই। তার মা চাই, মায়ের বুকের দুধ চাই। এ থেকে যারাই কাউকে বঞ্চিত করবে তারা বা তাদের এপারে না হোক ওপারে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, মিয়ানমার শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ যেন কোনো মানবতাবিরোধী আচরণ না করে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের ওপর যথার্থই খুব একটা চাপ দিতে পারে না, এটা স্বীকার করেও বলব, বাংলাদেশের চোখের সামনে কখনো কোনো মানবতা ভূলুণ্ঠিত হতে পারে না। আমার দেশের সীমানা পর্যন্ত এসে কোনো মানুষ যদি প্রাণ হারায়, তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশের মৃত্যু। স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ শহীদের রক্তদানের অপমৃত্যু। শরণার্থীদের আসতে উৎসাহিত করা নয়, যারা জীবন বাঁচাতে দ্বারে এসে পা দিয়েছে, তাদের পায়ের নিচে যেন বাংলাদেশের মাটি কেয়ামত পর্যন্ত নিশ্চিত থাকে। মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গা সমাধানে সরকার যদি অপারগ হয়, নিঃসন্দেহে আমাদের মতো কিছু বেকারকে অবশ্যই কাজে লাগাতে পারেন।
লেখাটি শুরু করতে চেয়েছিলাম সর্বক্ষেত্রে জাতীয় আক্রোশের কারণে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে। গত পর্বে আমাকে নিয়ে, আমার বাবর রোডের বাড়ি নিয়ে ছোটখাটো বেশ কয়েকটি কথা বলেছিলাম। তার প্রতিক্রিয়া হয়েছে ব্যাপক। প্রায় দুই বছর ধরে নিয়মিত লিখি। অনেক পাঠক চিঠিপত্র লেখেন, ফোন করেন। তাছাড়া নানাভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কিন্তু এমন প্রতিক্রিয়া কখনো পাইনি। নানা কারণে দেশের মানুষ বেশ উদাসীন ও হতাশ। অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়দা লুটার প্রবণতা সর্বত্র। এই প্রথম অনেককে বলতে শুনলাম প্রয়োজন হলে চাকরি-বাকরি, কাজ-কর্ম ছেড়ে আপনার সঙ্গে শরিক হব। আলহামদুলিল্লাহ। তাদের এই ইচ্ছা যেন আল্লাহ কবুল করেন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিনে লেখাটি বেরুবার সময় আমি ছিলাম টাঙ্গাইলে। রাস্তায় যানজট থাকায় সংবাদপত্র দুপুর ১২টায় পেঁৗছেছে। কিন্তু সাড়ে ৭টায়ই দিনাজপুর থেকে মকসুদের ফোন এলো_ 'লিডার, এসব কি? আমরা তো জানি স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু আপনাকে বাড়ি দিয়েছেন। সবাই সারা দেশ দখল করে নিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাড়ি নিয়ে এত কথা! এর একটা বিহিত করতেই হবে।' একটু পরেই ফোন পেলাম আকতারুজ্জামান নামে এক ভদ্রলোকের। আমি তাকে জানি না, চিনি না, কখনো কোনোদিন দেখা হয়নি। ভদ্রলোক আমার একজন পাঠক। তিনি বললেন, 'সিদ্দিকী সাহেব, কোনো চিন্তা করবেন না। আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবে।' আরও বললেন, 'তার অনেক লোক আছে। বাড়ির কাগজপত্র ঠিক করে দেবেন।' একজন অপরিচিত মানুষের এতবড় কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। বাবা বেঁচে থাকতে যখনই কোনো ঝড়-তুফান এসেছে, পাশে গেলেই মাথায় হাত দিয়ে বলতেন, 'কোনো চিন্তা করিস না, এ দুনিয়ার যত অলি, আবদেল, গাউস, কুতুব আছেন, তারা কারও জন্য দোয়া করলে সে দোয়া প্রথম যাবে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে। তিনি রাজি-খুশি হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে তবেই সে দোয়া বা প্রার্থনা আল্লাহর আরশে পেঁৗছবে। আর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাবা-মা'কে এত ক্ষমতা দিয়েছেন যে, তারা যদি সন্তানের জন্য দোয়া করেন, তাহলে সে দোয়া সরাসরি আল্লাহর দরবারে পেঁৗছে। আর আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন, সন্তানের জন্য পিতা-মাতার নেক দোয়া তিনি কখনো অপূর্ণ রাখবেন না।' ডেমরার দিকে আমার এক পাঠক আছেন। মাঝে মধ্যেই ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে আমারও বেশ ভালো লাগে। লেখাটি পড়ে রেগে অস্থির। তিনি বললেন, 'আমি যদি কোনোদিন প্রধানমন্ত্রী হতাম তাহলে বাংলাদেশের অর্ধেক আপনাকে লিখে দিতাম।' হঠাৎ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এক ফোন এলো, 'আপনার লেখা পড়ে কেঁদেছি। শতকরা ৯০ জন পুলিশ আপনার লেখা পড়ে কেঁদেছে। কি সব অসভ্য লোকজন আপনাকে নিয়ে কথা বলে। তাদের আপনাকে নিয়ে কোনো কথা বলার ক্ষমতা নাই। তারা সবাই দুর্নীতিবাজ। সরকারের ৬০ ভাগ এখন রাজাকার আর দালাল। প্রায় সবার আত্দীয়স্বজন রাজাকারে ভরা। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। দরকার হলে চাকরি ছেড়ে আমরা আপনার সঙ্গে দাঁড়াব।' সিরাজগঞ্জের এক ভদ্রলোক ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বললেন, 'আপনি এখনই সরকারকে চিঠি দেবেন। কাদেরিয়া বাহিনীর জাদুঘরের জন্য সরকার ঢাকা শহরে দরকার পড়লে ১০ একর জায়গা দেবে। যদি কোনোখানে জায়গা না পায়, যেখানে নিয়াজি আপনাদের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে প্রাণভিক্ষা নিয়েছে, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে দেবে। দরকার পড়লে শাহবাগ থানা সরিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের কাদেরিয়া বাহিনীর জাদুঘরের জন্য দেবে। আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিন। বাবর রোডের বাড়ি কেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাড়ি আপনাকে দিতে হবে। কোনো ছাড়াছাড়ি নেই। আপনি কিছুতেই কাউকে ছাড় দিতে পারবেন না।' কবি আল মুজাহিদীর কন্যা ফোন করেছিল। ওর ফোন আগে কোনোদিন ধরিনি বা পাইনি। বলল, আব্বা কথা বলবেন। অন্যদিনের মতো স্বাভাবিকভাবে বললেন, 'কাদের ধৈর্য ধরো, আল্লাহ তোমাকে হেফাজত করবেন। জাতির জন্যই তোমাকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছেন।' ফোন পেলাম ব্যাংকের এক এমডির, 'স্যার, আপনি উচিত কথা লিখেছেন। আপনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট বদনাম করা হয়েছে। আর সহ্য করা চলে না। আপনি আরও লিখবেন।' আমার স্ত্রীর এক পাগল বান্ধবী রিতা এক ঘণ্টা গালাগালি করে গেল। তাকে কিছুতেই ঠাণ্ডা করতে পারলাম না। তার কথা, 'বঙ্গবন্ধুর বরাদ্দই যদি না থাকে তাহলে আর কারও কোনো বরাদ্দ থাকবে না। কাদের সিদ্দিকী যদি অবৈধ হয়, তাহলে মন্ত্রী-মিনিস্টার সব অবৈধ, সারা দেশ অবৈধ।' শত চেষ্টা করেও তাকে বুঝাতে পারলাম না, শান্ত করতেও পারলাম না। পরদিন ফোন পেয়েছিলাম পীর হাবিবের। বহুল প্রচারিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক। খুবই ভালো লেখেন। যেমন কলমের জোর তেমনি আত্দার।
অফুরন্ত ভালোবাসা ফুটে ওঠে তার কথাবার্তায়, চাল-চলনে। বললেন, 'দাদা, জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুকে মাফ করে দেন। এখন তো সে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা এক সময় এক সঙ্গে থেকেছি। তাই ওর জন্য বড়বেশি বুকে বাজে।' পীর হাবিবের একজন মৃত সহকর্মীর জন্য দরদ দেখে বড়বেশি মুগ্ধ হয়েছি। আমি লিখেছিলাম '৯৯-এর সখিপুর-বাসাইলের উপনির্বাচনে ভোট ডাকাতের দলে টিংকুও শামিল হয়েছিল। কথাটা ধ্রুবতারা-চন্দ্র-সূর্যের মতো সত্য। হাইকমান্ডের কমান্ড মেনে একজন মেধাবী ছাত্র যে কোনোদিন লেখাপড়ায় দ্বিতীয় হয়নি তাকে যেতে হয়েছিল ডাকাতি করতে। আমি ওকে আগাগোড়াই পছন্দ করতাম, ভালোবাসতাম। আর মাফ করে দেওয়ার কথা? সে বহু আগেই আমার বাড়ি এসে মাফ চেয়ে নিয়েছিল। আমিও অন্তর থেকে ওকে মাফ করেছিলাম। কিন্তু জানতাম না আল্লাহ ওকে এত তাড়াতাড়ি এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাবেন। টিংকুর গুরুতর অসুস্থতার সময় আমি ওকে ওর বাড়ি গিয়ে দেখে এসেছি।
টিংকু কত ভাগ্যবান, শুধু বন্ধুত্বের কারণে পীর হাবিবের মতো একজন মানুষ আমাকে অনুরোধ করেছে। তার অনুরোধ শুনে হৃদয় জুড়িয়ে গেছে। আর নিজেকে বড়বেশি হতভাগ্য মনে হয়েছে। কত রাজনৈতিক সাথী-কর্মীকে কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছি, বিয়ে দিয়ে সংসারী করিয়েছি, তাদের ছেলেমেয়ে হলে অনেক ছেলেমেয়েকেও বিয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছি। কর্মীদের জন্য করতে করতে দেউলিয়া হয়ে গেছি। ব্যাংকে বিপুল ঋণের শিকার হয়েছি। তারপরও সে সব রাজনৈতিক কর্মী কেউ কেউ স্বার্থসিদ্ধির জন্য কখনো কখনো আমার নামে বিষ পান করে। কি আমাদের কপাল! আর কি কপাল অন্যদের! জাতীয় এই অবক্ষয়ে আজ আর ঘরে থাকার সময় নেই। দেশকে বাঁচাতে হলে, আগামী প্রজন্মকে একটি শান্তিময় বাসযোগ্য আবাসভূমি দিয়ে যেতে চাইলে ছোটখাটো ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আসুন আমরা আজ থেকেই সে কাজ শুরু করি।
-----বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
এইখানে দেখেন.....
আমার প্রতি এত আক্রোশ কেন? -২....পুরাই কপি পেস্ট....
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ
জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শ্লোগান কোলাজঃ
* ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’
* ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
* ‘নাটক কম করো... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসসালামু আলাইকুম। ইদ মোবারক।
ঈদ এখন এক নিরানন্দময় উপলক্ষ্য।
কিতাবে আছে ধনী-গরীব অবিভাজনের কথা বরং এদিন আরো প্রকটতা নিয়ে প্রস্ফুটিত হয় বিভেদরেখা কেননা আমরা আমাদের রাষ্ট্র- সমাজব্যবস্থা ও জনগণকে সেভাবে দিয়েছি ঘিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঈদের শুভেচ্ছা: দূর থেকে হৃদয়ের কাছ
আসসালামু আলাইকুম, আজ ঈদের দিন। চারদিকে উৎসবের আমেজ, হাসি-খুশি, নতুন জামা আর মিষ্টি মুখের আদান-প্রদান। আমি ইউরোপে আমার পরিবারের সাথে এই আনন্দের মুহূর্ত কাটাচ্ছি। কিন্তু আমার হৃদয়ের একটা কোণে একটা ফাঁকা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে......
বাংলা গানের ভাণ্ডারে কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী সংগীতের এক শক্তিশালী ধারা তৈরি করেছেন। তারই লেখা কালজয়ী গজল "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে এলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
সেই যে আমার নানা রঙের ঈদগুলি ......
পেছনে ফিরে তাকালে আমি সবার প্রথমে যে ঈদটার কথা স্মরন করতে পারি সেই ঈদটায় আমি পরেছিলাম আমব্রেলা কাট নীলচে বলবল রং একটা জামা এবং জামাটা বানিয়ে দিয়েছিলেন আমার মা... ...বাকিটুকু পড়ুন