তোমায় কবিতা শুনাবো বলে,
আজ আমি আমার মাথায় বীজ বুনেছি,
কবিতার বীজ।
সকল আগাছা পরিষ্কার করে
আমি গড়ে তুলেছি এক অদ্ভুত উর্বর বাগান।
প্রতিদিন নিয়ম করে দুই বেলা পানি দেই সেই বাগানে।
ধীরে ধীরে শুরু হয় অংকুরোদ্গম।
বীজ থেকে চারা,
চারা থেকে কবিতার দু-এক লাইন।
চারা থেকে বৃক্ষ,
দু-এক লাইন থেকে আমার খাতা সম্পূর্ণ কবিতায় সমৃদ্ধ।
প্রতি রাতে কবিতা শুনাবো তোমাকে।
চার দেয়ালের বন্দি দশা থেকে বের হয়ে,
কোলাহলপূর্ণ শহরকে পিছনে ফেলে
আমি তোমার হাত ধরে তোমার নিয়ে যাবো আমার সেই বাগানে।
সবচেয়ে বড় ছায়াবৃক্ষটির নিচে তোমার আসন পেতে দেব।
জোছনা রাত, মৃদু বাতাস বইবে সর্বত্র।
জোছনার আলোয় ঝকমক করবে তুমি।
আর বাতাসের বেগে তোমার চুল গুলো কেবল উড়বে।
সৃষ্টি করবে অদ্ভুত মায়াময় এক দৃশ্যের।
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে আমি চেয়ে থাকবো তোমার পানে।
এরপর মুগ্ধতা কাটিয়ে,
আমি তোমাকে কবিতা শুনানো শুরু করবো।
দরদহীন গলায় তোতলাতে তোতলাতে
পাঠ করে যাবো আমার কবিতা।
তুমি তখন আমার দিকে তাকিয়ে কেবল হাসবে।
হাত বাড়িয়ে আমাকে তোমার কাছে ডাকবে।
তুমি আবার হাসবে আমার আড়ষ্টতা দেখে।
খিলখিল খিলখিল করে হাসবে।
অতঃপর তোমাকে জড়িয়ে ধরে
আমি মৃদু সাফল্যের হাসি হাসবো।
আমার বাগানে এক স্বার্থক কবিতা সৃষ্টি করার সাফল্যের হাসি।