বাংলাদেশের সাংবাদিকদের টেকী বিষয়ক রিপোর্টগুলো খুব আগ্রহ নিয়া পড়ি। যেমন, বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক পরথম আলুর শুক্কুরবারের টেক ফিচারপাতা ভুলজন্ম ডট কম। সেখানে একদিন দেখি ফেচবুক নিয়া বিশাল প্রতিবেদন। ফেচবুক দিয়া কি কি করা যায়, কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয়, কিভাবে ফটুক আপলোডাইতে হয় তা নিয়া পুরা পাতা জুইড়া ফিচার। এটা হল আমাগো সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের টেক ফিচারপাতা! বেশ কয়েকদিন ধরে তারা আবার নয়া সিস্টেম চালু করছে, লোকজন সমস্যা নিয়া লেখলে সেটার 'সমাধান' দেওয়া। সব সমস্যার সমাধানই অবশ্য তাহাদের কাছে আছে, সমাধানের শেষে: 'ভালো কোন বিশেষজ্ঞ বা সার্ভিস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করুন'
শুধু তাই না, আমাদের টেকি সাংবাদিকদের বিরল আবিষ্কারগুলার দিকে একটু চোখ বুলায়ে গেলে আরো অনেক যুগান্তরকারী আবিষ্কারের দেখা পেয়ে যাবেন, যেমন কিলোবাইট আর কিলোবিট নামক বস্তুদুইটার পারস্পরিক সুষম উপস্থাপন। এরপর মেটা সার্চইঞ্ঝিনের কাছে গুগলের অসহায় আত্বসমর্পন - এইরকম আরো অনেক খবর দেখেই আপনি হয়তো ভাবতে পারেন টেখনোলঝির জোয়াড়ে দেশ ভাইসা গিয়া আতলান্তিকে পড়লো বইলা।

কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রোতিযোগিতার (আইসিপিসি) ৩৪তম আসর বসবে আগামী বছরের ১ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি চীনের হারবিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই চূড়ান্ত আসরে অংশগ্রহণের জন্য নানা দেশে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলো হচ্ছে এখন। ২৪ অক্টোবর হয়ে গেল এসিএম আইসিপিসির ঢাকা পর্বের প্রতিযোগিতা।নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বাছাইপর্বে প্রতিবারের মতো...
সৌজন্যে: প্রথম আলো

যাহা বলিতেছিলাম, বুয়েঠ থেকে প্রতিবারই বিভিন্ন টিম এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এইবারও করছিল। টিমে আমার দোস্তরাও ছিল, উহাদের কাছ থেকে শোনা (এবং পরবর্তীতে ব্লগে প্রকাশের জোড়াজোড়ির পরিপ্রেক্ষিতে


মানে, রিসাইক্লেবল বুফে সার্ভিস


আইচ্ছা, এবার আমরা আবার ফিরে যাই মূল বক্তব্যে। যা বলছিলাম, দিনবলদের হুজুগ নিয়ে আর কয়দিন ফোকাসে থাকা যায়, তাই পর্থম আলুর নতুন চমক হচ্ছে 'নামবদল' । আমাদের কনটেস্ট টিমের আংরেজি নামগুলো রিপোর্টারের পছন্দ হয়নি, ফলাফলস্বরূপ তাহাদের প্রতিবেদনে টিমের অনেক সাধের আংরেজি নামগুলো যেরকম আকার ধারণ করলো -
Rand Ecliptic হয়ে গেল রেন্ড এক্লিপস
Integrity 'র নয়া নাম ইটিগ্রিটি
Avengers দাড়ালো এভনজারস... আর
Anonymous বদলে গিয়ে এনোনমাস
যাইহোক, ঐ টেক রিপোর্টারের মস্তিষ্কে ইংলিশ-ঠু-ভাংলা কনভার্সন তরিকা আমার দোস্তের (এবং ভুক্তভোগী

১. বুয়েট দৈবভাবে গ্রহনময়..........--BUET Rand Ecliptic
২. বুয়েট সাধুতা......................--BUET Integrity
৩. বুয়েট আনাড়ি....................--BUET Amateurs
৪. বুয়েট প্রতিহংসক.................--BUET Avengers
৫. বুয়েট নাম নাই.....................--BUET Anonymous
তবে, প্রতিযোগিতার বিচারকগণ এবং চ্যাম্পিয়ন ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো ঠিকমতই এসেছে। judge রা সাংবাদিকদের কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন সেই দিকে না গিয়ে আমরা বরং আমাদের গবেষণা এইখানেই ক্ষান্ত দিই।
গবেষণা করেছেন: দীপে রাঙা দিপল
(যার লেখার কিছুই ছিলনা, কিন্তু পরথম আলুর নামবদলের হুজুগে আজ সেও হাতে মলম থুক্কু কলম তুলে নিয়েছে। সেজন্য আলুরে একটা শুকনা ধইন্যাপাতা দেয়াই যায়)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২