শুধু লংমার্চের প্রস্তুতি দেখেই খিছুড়িখোর শাহবাগীদের হ্রদকম্পন আরম্ভ হয়ে গেছে। আমি আবারো বিশ্বাস করলাম, ইনশাআল্লাহ এদেশে নাস্তিক মুরতাদদের ঠাই হবে না কখনো। প্রায় সবক'টি মিডিয়ার নির্লজ্জ কভারেজ পেয়েও পথভ্রষ্ঠ বাম-নাস্তিকদের কৃত্রিম গণজাগরণ টিকিয়ে রাখতে পারেনি। আর অচেনা হেফাজত চট্রগ্রামের গ্রা্ম থেকে মিডিয়ার বদাণ্যতা ছাড়াই আজ হিরো। আমরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের (জুলুম বিরোধী) চেতনায় বিশ্বাসী। তাই বলে নাস্তিক্য ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী নই। এমন গণজাগরণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সুযোগ বার বার আসে না।
সবাই আজ এক প্লাটফর্মে। জমিয়তে আহলে হাদীসও আজ দৈনিক আমারদেশে বিজ্ঞাপন দিয়ে লংমার্চ ও হেফাজতের উত্থাপিত দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে। দেশে অবস্থানরত মুসলিম ভাইদের জন্য ৬তারিখের লংমার্চ ইসলামের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করা ও নাস্তিক্যবাদের পায়ে কুঠার আঘাতের সূবর্ণ সুযোগ। প্রবাসীরা তাদের স্বদেশে থাকা প্রিয়জনদের মারফত লংমার্চে আগত বীরদের জন্য খাবার ও পানীয় বিতরণের ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেকে অপপ্রচার করছেন, লংমার্চের আবিস্কারক একজন নাস্তিক। সুতরাং সেটা দিয়ে কেন নাস্তিকদের মুকাবেলা?
এসব নিরেট অর্বাচিন বা কপটদের যুক্তির অসারতা প্রমাণে এখন সময় নষ্ট না করাই শ্রেয়। শুধু এটুকু বলি, ইসলামের সেবায় ব্যবহ্রত বেশিরভাগ সিস্টেম ও উপকরণ অমুসলিমদের তৈরি। এতে কোনই সমস্যা নেই। তাছাড়া দূর থেকে সফর করে এসে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা একধরণের জিহাদ। এটা তো রাসুলুল্লাহ সা:ও করেছেন। নামটা শুধু মাও সেতুং এর। সুতরাং এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নাস্তিক ও আল্লাহদ্রোহীদের মৃত্যুঘন্টা বাজিয়ে দিন। ইসলামের ইতিহাসে বদরের সুযোগ একবারই এসেছিল। জানি না আজকের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে কোন ম্যসেজ দেওয়ার সুযোগ আর কোন দিন আসবে কিনা।