আবিওজেনেসিস বা ঈশ্বরবিহীন জীবনের উদ্ভব নিয়ে যারা লেখা পড়া করেন তারা দর্শনের নানা বিষয় দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকাটা কতটা অপ্রয়োজনীয় (জীবনের উদ্ভব নিয়ে বিষদ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন)। এই স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠা এই বিস্তৃত মানবসভ্যতা আগামি কয়েক দশক পর পৃথিবীর বাইরে তাদের সভ্যতা বিস্তার করবে। মানবজাতীর অজানাকে জানার এই অদমনীয় আকাঙ্খা তাকে এতদূর টেনে নিয়ে এসেছে এবং আশা করা যায় আজ হতে ৪.৫ মিলিয়ন বছর পর যখন পৃথিবী পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে তখন মানবজাতী তার নিজের অস্তিত্বকে বাচিয়ে রাখার টেনশন আর করতে হবে না।
আজকের এই পোস্টের মূল আলোচনার বিষয় হলো মেটাফিজিক্স আর আধুনা পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে একটা ভারিক্কী চালের একাডেমিক আলোচনা যদিও আমি কোনো একাডেমিক না এবং মেটাফিজিক্স বা দর্শন আমার কর্মক্ষেত্র নয় বা এর ওপর আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও নাই। তবে আলোচনা করতে তো দোষ নেই। যত বেশী আলোচনা, পড়াশোনা করা হবে ততবেশী এসব সুবিশাল ক্ষেত্র সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো। যদিও বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে কেউ জেনে কোনো দিন বড় লোক হয় নি।
প্রথমেই আসি মেটাফিজিক্স জিনিসটা কি?
মেটাফিজিক্স বা অধিবিদ্যাকে সংজ্ঞায়িত করা যায় এভাবে যে: আধিবিদ্যা দর্শন সেই বিভাগ যেখানে বাস্তবতা এবং তার অস্তিত্বের মৌলিক প্রকৃতি নিয়ে কাজ করে এবং এর মধ্যে অন্তলোজি, কসমোলজি এবং এপিসটোমোলজি অন্তর্ভূক্ত। এই কসমোলজি নিয়ে আমরা কমবেশী পরিচিত থাকলেও হয়তোবা অন্তলোজী বা এপিসটোমোলজি নিয়ে আমরা খুব বেশী পরিচিত নই। যেই হোক, আগে আমরা মেটাফিজিক্স নিয়ে আরেকটু ক্লিয়ার হই: সহজ ভাষায় দর্শনের এই বিভাগ আমাদের বস্তুবাদী জগতের পারিপার্শ্বিকতা এবং তার অস্তিত্বের মৌলিক প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করে। এখানে কি আছে এবং এটা দেখতেই বা কেমন: এটাই হবে তার জানাশোনার পরিধি।
আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করেন মেটাফিজিক্স সম্পর্জে জানতে।
এখন আসি অন্তলোজী নিয়ে। অন্তোলোজি হলো মেটাফিজিক্সের একটা শাখা। সংজ্ঞায়িত করতে গেলে বলতে হয় এই বিভাগটির দ্বারা আমরা জানার চেষ্টা করি আমাদের সৃষ্ট জগতের উৎস, তার রূপ, তার এমন অস্তিত্ব হবার উদ্দেশ্য ও বিধেয় সমূহের জ্ঞান। সোজা বাংলায় আপনার সামনে যদি একটা আপেল রাখা হয় তাহলে আপনি নিম্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর পারবেন এই বিভাগ থেকে:
১) এই জিনিসটা যে আপেল হইছে তার কি অর্থ বা মানে বা কি তার উদ্দেশ্য?
২) সময়ের পরিক্রমায় এটা কিভাবে টিকে আছে?
৩) সময়ের পরিক্রমায় এর পরিবর্তন কিভাবে হবে?
সংক্ষেপে এটাই অন্তলোজি।
এখন আসি এপিস্টেমোলজি নিয়ে। এই এপিস্টেমোলজিকে সংজ্ঞায়িত করতে হলে বলতে হয় এই বিভাগটি আহরিত জ্ঞানের প্রকৃতি, তার ওপর আনিত বিশ্বাসের পেছনে যুক্তি এবং এর জাস্টিফিকেশন। সহজ ভাষায় আপনার সামনে থাকা আপেলটি সম্পর্কে এসব প্রশ্ন করতে পারেন যার উত্তর এই এপিস্টেমোলজি দিতে পারবে:
১) এইটা যে আপেল এইটা জাইনা আমি কি করবো?
২) এইটা যে আপেল হইছে এর আপেল হবার পেছনে কি সার্থকতা?
৩) আমরা কি নিশ্চিতভাবেই এই আপেল নামের কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে পারি?
প্রশ্ন গুলো পাগলাটে লাগলেও এখন আপনি আপেল না বলে স্রস্টা বা আমাদের জীবন বা পৃথিবীর যেকোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন। তখন হয়তো আপনাদের কাছে আরও অর্থবহ মনে হতে পারে।
তার মানে দেখা যাচ্ছে অন্তলজি জানতে চাচ্ছে সত্যটা কি আর এপিস্টেমোলজির কাজ হচ্ছে এই সত্যের মানেটা কি!
এখন আসি পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে:
তার আগে কিছু কথা বলে নেই, পৃথিবীর সবচেয়ে আদিমতম জ্ঞান বিদ্যার বিষয় ছিলো এই দর্শন। এই দর্শন থেকেই কিন্তু পৃথিবীর যাবতি জ্ঞানবিভাগের উৎপত্তি। আপনারা যারা প্রকৌশল বিদ্যায় পড়েছেন তারা জেনে থাকবেন সকল প্রকৌশল বিদ্যার আদি বিদ্যা ছিলো পুরকৌশল। সময়ের চাহিদায় আজকে আমরা যন্ত্রবিদ্যা প্রকৌশল, তড়িতবিদ্যা প্রকৌশল, কম্পিউটার প্রকৌশল ইত্যাদির উৎপত্তি। আবার সকল প্রকৌশল বিদ্যার আদি রুপ হলো পদার্থবিজ্ঞান আর গনিতবিদ্যা। আবার ওপরে যে অন্তলোজী নিয়ে কথা বললাম এই অন্তলজীর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে পুরো আইটি বা কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগ। আর মানে দর্শনের মাধ্যমেই মানুষ পদার্থবিদ্যা আর গনিতবিদ্যা ব্যাবহার করে মানুষের বিভিন্ন প্রশ্ন আর সমস্যার সমাধান করেছে।
যাই হোক পদার্থবিদ্যা মানেই হলো প্রাকৃতিক জ্ঞান, তবে পার্থক্যটা হলো এটা প্রকৃতির অন্তর্গত বস্তুসমুহের ভর এবং ক্ষেত্র ও স্হান কাল মাত্রায় পরিক্রমন পথের গতি নির্দেশ করে। তার মধ্যে কি পরিমান শক্তি মজুত আছে এবং তার ওপর কি পরিমান এবং কোন কোন বল ক্রিয়াশীল: মোটকথা আক্ষরিক অর্থে উক্ত বস্তুর যাবতীয় বৈশিষ্ট্যসমূহকে গানিতিক পরিমাপ বা সংখ্যায় ব্যাখ্যা করতে পারি।
এখন প্রশ্ন হলো সব যদি দর্শন থেকেই সৃষ্টি হয় তাহলে পদার্থবিজ্ঞান দর্শন থেকে আলাদা?
এই প্রশ্নটা অনেক সমালোচক বা আলোচক খুব তীব্র ভাবে তুলে ধরেন। আমি সাদামাটা ভাবে যেটা বুঝি যখন দর্শনের ব্যুৎপত্তী হয়েছিলো তখন মানুষ গনিতের ব্যাব হারের চাইতে তার পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রকৃতিকে জানতে চেয়েছিলো। অতিতের পংকিল ও দুর্যোগতম পরিবেশ মানুষ তার বুদ্ধি বৃত্তিক চেতনা খাটাতো তার পঞ্চইন্দ্রিয়ের সাথে খাপ খাইয়ে। কিন্তু যখন মানুষ গননা করতে শিখলো তখন মানুষের জীবন ধারা পাল্টাতে লাগলো। তখন তারা চিন্তা করে দেখলো পঞ্চইন্দ্রিয় ছাড়াও এই গননা দিয়েও প্রকৃতির খুটিনাটি জানা সম্ভব যা তাদের জীবনকে আরো স হজতর করতে লাগলো এবং দিনে দিনে তাদের যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়তে লাগলো।
এরপর পদার্থবিজ্ঞান ও গনিতের চর্চা যখন ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করতে লাগলো তখন আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের ত্রিমাত্রিক জগতে সময়ের তীর একমুখী। আমরা এর বাইরে ভাবতে পারি না। যখন কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ব্যুৎপত্তী শুরু হলো তখন মানুষ জানতে পারলো কোয়ান্টাম স্কেলে আলো কখনো তরঙ্গ কখনো কনিকার আচরন করে। কিন্তু যদি আমরা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এর অবস্থানটা জানতে পারি সেসময়ে তার মোমেন্টাম জানা সম্ভব হবে না। আবার যদি কোনো একটা সময়ে মোমেন্টামের পরিমাপ করতে পারলে অবস্থান জানা সম্ভব না। যখন আরো গভীরে প্রোথীত হতে থাকি তখন আরো জানা গেলো এই কোয়ান্টাম জগতে সময়ের ব্যাপারটা নাই। প্রথম প্রথম চার মাত্রার জগৎ মনে হলেও আসলে ঠিক কতটা জগৎ সেটা এখনো নিশ্চিৎভাবে বলা মুস্কিল।
সমস্যা হলো আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের ওপর নির্ভর করে যে দর্শন ধারন করেছি তা থেকে উৎপত্তি পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম গুলো দিয়ে খুব বেশী আগানো যাচ্ছে না। তবে গনিত যেখানে কজালিটি বা প্রকৃতির গতিপ্রকৃতি সোজা কথা লোকাল কজালিটির খুব একটা ধার ধারে না সে কিন্তু অবলীলায় কাজ করে যাচ্ছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল।
আমরা যারা মাধ্যমিক স্তরে ম্যান্ডেলিফের পর্যায় স্মরনী পড়েছি সেখান থেকে জানতে পারি জগতের যাবতীয় বস্তু সমূহ আমরা মাইক্রোস্কোপিক লেভেল ভেঙ্গে ফেলি তাহলে তারা যে মৌলিক পদার্থ সমূহের সৃষ্টি তার সবই এই ম্যান্ডেলিফের পর্যায়স্মরনীর অন্তর্ভুক্ত। এই ১১২ (আরো কম বেশী মৌলিক পদার্থ আবিষ্কার হচ্ছে বা হবে)টি মৌলিক পদার্থ সমূহ দিয়ে জৈবিক অজৈবিক সকল বস্তুসমূহের সৃষ্টি।
আবার এই মৌলিক পদার্থ সমূহের অনুগুলো আবার একটা নিউক্লিয়াস এবং নির্দিস্ট সংখ্যক ইলেক্ট্রনের সম্মিলনে সৃষ্টি। স্টান্ডার্ড মডেল এই চেনা জগতের যাবতীয় পদার্থের অনু সমূহ কি কি সাবএটমিক পার্টিক্যাল এবং বলের সমন্বয়ে সৃষ্টি সেগুলোর ব্যাখ্যা করে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো এই যে অতিপারমানবিক কনিকা সমূহ এবং তাদের কমপ্যাক্টিফিকশনের বা আটোসাটো হয়ে থাকার পেছনে যেসব বল সমূহ ক্রিয়াশীল এসব কিছুর অস্তিত্ব সমূহ জানতে পেরেছি গনিতে মাধ্যমে। এবং এখন যখন টাদের অস্তিত্ব সমূহ আবিস্কার হচ্ছে সেটাও আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য কোনো শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নয়। আমরা এদের বৈশিষ্ট্যসমুহকে ম্যানিপুলেট করে এদের অস্তিত্বের ঘোষনা দিচ্ছি এবং এসবের অন্তর্নিহিত শক্তি ও বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে আমাদের জীবনযাপনকে যন্ত্রনির্ভর করে তুলছি।
তার মানে দেখা যাচ্ছে এখানে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চেতনার ভূমিকা খুব একটা কার্যকর নয় যতটা কার্যকর গনিত। আমাদের চেনাজানা দর্শনের যে গ্লোবাল কজালিটি সেটা এই কোয়ান্টাম লেভেলে একটা ধাধার সৃষ্টি করেছে। তাই দর্শন মার খেয়ে গেছে তখনই যখন শ্রোয়েডিঙ্গার তার বিড়ালটাকে বাক্সে পুড়ে আমাদের মধ্যে একটা দার্শনিক ডাইলেমা তৈরী করে দিয়েছেন। আর ঠিক তখনই সেই বিখ্যাত উক্তিটি করা মাইক্রোওয়ার্ল্ডে ম্যাক্রোওয়ার্ল্ডের নিয়ম কানুন কাজ করে না।
এখন আমরা যদি মেটাফিজিক্সের আলোকে বর্তমান পদার্থবিজ্ঞানের মিল খুজতে যাই তাহলে সেটা অনেকটা বোকামী হবে। কারন মেটাফিজিক্সের বিভাগসমূহের কিছু মৌলিক প্রশ্নই এই মিল খুজবার পথে প্রধান অন্তরায়।
১) অন্তলজির পদার্থবিজ্ঞানের যে দর্শন গত পার্থক্য সেটা হল অন্তলজি বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান আর তার প্রকৃতি সম্পর্কে জেনেই খালাস। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান সেই জ্ঞানের কার্যকারন, ব্যুৎপত্তি এবং তার প্রভাবটা কি তার ব্যাখ্যা করা। আরো যেটা বিশাল পার্থক্য সেটা হলো অন্তলজি শুধু উপসংহার নিয়ে কাজ করে যাবে কিন্তু উপসংহারটা তৈরী করে দেবে পদার্থবিজ্ঞান।
২) এপিস্টোমোলজীর সাথে পদার্থবিজ্ঞানের যে দর্শন গত ঘটনা বিদ্যমান সেটা হলো এপিস্টোমোলজী আপনাকে একটা জ্ঞান আহরনের যে প্রক্রিয়া সেটাকে সে সংজ্ঞায়িত করবে। সেক্ষেত্রে বলা যায় যেহেতু সে জ্ঞান প্রক্রিয়ার সকল কিছুই সংজ্ঞায়িত করছে সেহেতু এই এপিস্টেমোলজি আপনার জ্ঞানবিদ্যার সকল শাখাতেই অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আপনি খুব সরাসরি বলতে পারেন না পদার্থবিজ্ঞানটাই এপিস্টোমোলজী। সাধারন এনালজী এরকম আপনি আপনার পিতা মাতার ঔরসে জন্ম নিয়েছেন এবং সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর হলে ঈশ্বর আপনার বাবা বা মা নন। এটা ভুল। এটাই হচ্ছে মূল ডায়লেমা।
এখন যদি মেটাফিজিক্সের সূত্রে আসি আমাদের আজকের যে থিওরেটিক্যাল ফিজিক্স এটাকে কতটা সরাসরি এই মেটাফিজিক্সের মধ্যে পড়ে সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলে দর্শনের মূল সমূহ যখন কোয়ান্টাম ফিজিক্সে একেবারেই অকার্যকর সেহেতু বলা যায় এটার সাথে মিল খোজাটাও হাস্যকর। এখন মেটাফিজিক্স ফিজিক্সের ওপর কিছুটা নির্ভরশীলতা থাকলেও মোটাদাগে ফিজিক্সের নির্ভরশীলতা মেটাফিজিক্সের ওপর নেই। ফিজিক্স এখন পুরোপুরিই গানিতিম মডেলগুলার উপরই নির্ভরশীল যার সবচেয়ে বড় প্রমান স্ট্যান্ডার্ড মডেল এবং তার এক্সটেনশন সমূহ।
সূত্র:
১) স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির জ্ঞানের রূপ সমূহ এপিস্টেমোলজির ওপর ভিত্তির করে।
২) কোয়ান্টাম ফিজিক্সের তত্ব সমুহের সত্যতাকে কিভাবে এপিস্টেেমোলজি তাদের ব্যাখ্যায় টেনে তুলে এনেছেন তার একটা শিশুতোষ প্রচেষ্টা।
৩) দুটো বস্তু একই সময়ে একই পয়েন্টে থাকতে পারে কিনা তার একটা অধিবিদ্যাগত চিন্তা ভাবনা এবং পুরোপুরি তা পদার্থবিজ্ঞানের কনসেপ্টে কতটা অবাস্তব সে বিষয়ে একটা জার্নাল।
** এখানে ইমানুয়েল কান্ট বা জজ গ্যামো, প্লেটো বা বার্ট্রান্ড রাসেলের কনসেপ্টগুলো নিয়ে বিষদ আলোচনা করা হয় নি কারন তারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে খুব বিষদ আলোচনা করতে অক্ষম ছিলেন। তবে কমেন্টে আলোচনা করা যেতে পারে আমার ফেসবুকে বা ব্লগে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩