একটা ফটোগ্রাফারের মোটামুটি ফরজ কাজ হইলো, সাবজেক্টকে ক্যামেরার সামনে কমফোর্টেবল করা। এটা যে কত সত্যি সেইটা এইবারের ট্যুরে হাড়ে হাড়ে টের পাইসি চা বাগানের শ্রমিকদের ছবি তুলতে গিয়া। আমার অপেক্ষা করতে হইসে ওরা আমার উপস্থিতি নিয়া কনসার্নড কিনা, ইরিটেডেড কিনা। নাইলে দেখা যাইবো একটা মহিলা ভুরু মুরু কুচকায় চা পাতা তুলতাসে। এই ছবি তুইলা কি লাভ?
চা বাগানে কাজ করে এমন অনেকগুলা দিদির সাথে আলাপ হইলো । তাদের সরদারের সাথে আলাপ হইলো। এর মধ্যে এক দিদি "সন্ধ্যা রানী সরকার"। ইনার সাথে এমনি খাতির হইলো যে উনি কাজ শেষে বিকাল বেলা উনার গ্রামে নিয়া গেলেন। দিদির জামাই চা ফ্যাকটরি তে কাজ করে আর উনি সারাদিন চা বাগানে। দিদির দাদার বাবারে উরিস্যা থেইকা এই দেশে আনছিল ইংরেজরা। দিদি কখনো ঢাকা যায় নাই। খুবই গরিব অবস্থা কিন্তু উনাদের ছোট মাটির ঘরটা পুরা ঝকঝকে পরিষ্কার।
আমি আর অভিক ভাই গেসিলাম। আমাদের চা বানায়া খাওয়াইসিলো দিদি। যখন ফিরা আসি, অদ্ভুত একটা অনুভুতি নিয়া ফিরতে হইসিলো। সরলতা কি জিনিষ এই পরিবারটার সাথে পরিচয় না হইলে হয়তো জানতাম না।
যাই হোক। ঢাকায় আইসা আবিস্কার করলাম যা তুলসি সবি লাইফ ফর্মের। হয় ম্যাকরো নয় তো পোর্টট্রেইট। পোর্টট্রেইট আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ পোর্টট্রেইট তুলতে সবচেয়ে ভালাপাই
পুনশ্চ: দিনকাল এখন ক্যমন যানি কাথামুড়ি দিয়া যাইতাসে। কাথামুড়ি দিয়া অফিস যাই, পাঠশালায় ক্লাস করতে যাই, বাসায় যাই। সবাই কাথা টা দেখে কিন্তু কাথার নিচের শীতের কাপাকাপিটা দেখে না....
পুনঃপুনশ্চ: ছবিডি আপ করনের পর দেখলাম রিসাইজের কোপে ছবিগুলান কেরম জানি মচমচা হইয়া গেসে। ঠিক রেজুলেশনে দেখতে চাইলে আমারে ফেসবুকে অথবা ফ্লিকারে এ্যাড মারতারেন অথবা অ্যাড না মাইরাও ছবি দেখতারেন। Faisal Akram Ether দিয়া সার্চ দিলেই আমারে পাওন যাইবো।
হ্যাপ্পি ফটোগ্রাফি....