
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে বাসে প্রায় ২.৩০ ঘন্টার পথ।
রোমাঞ্জকর যাত্রাটি শুরু হয় যখন বাস চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে থেকে বান্দরবানের পথে বাক নেয়। দুইদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর পাহাড়। বান্দরবান পৌছার আগেই পথিমধ্যে পড়ে মেঘলা লেক। এই লেকটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য থাকলেও নেই কোন পরিচর্যা। বান্দরবান শহরের পাশ ঘেষে পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে সাংগু নদী।

বান্দরবান শহরেই সাংগু নদীর উপর রয়েছে ২টি ব্রীজ যেখানে বসে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা মারার কি মজা তা স্বশরীরে না গেলে বুঝা যায় না।
নীলাচলের পিছনে........
বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি উপজেলা হল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা। রুমার পথ ধরে যেতে যেতে ১ ঘন্টা জার্নি করার পর আমরা থামলাম।

আমরা জীপে চড়ে এই জায়গায় এসে পৌছি.....
চারদিকে পাহাড় আর পাহাড়... মাঝে মাঝে পাহাড়ের ফাকে উকি দেয় বান্দরবান সদর থেকে রুমা-থানছির পাহাড় বেয়ে চলা পথটি। এক অসাধারণ দৃশ্য। এই রাস্তায় গাড়ী চলে খুব কম অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পর মিলবে গাড়ীর দেখা।
এজায়গা থেকে দেখাযায় আরেক মায়াবতী পাহাড় নীলাচল। আমরা বর্তমানে যেখানে দাড়িয়ে আছি তা নীলাচলের পিছনে। দেখে আপনার মনে হবে এটি একটি গিরিখাত.... খাড়াভাবে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু নীলাচল যাওয়ার পথে ঢালু থেকে উপরে উঠতে হয়। নীলাচলএ যেন এক সর্গ। আমরা নীলাচল সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম বিধায় ভাল ছবি হয়নি।
নীলাচলে আছে একটি গোলাকৃতির গেষ্ট হাউস।

নীলাচল থেকে পাহাড় গুলোকে দেখতে লাগে যেন সবুজ চাদরে মোড়ানো।
নীলাচলের রাস্তা টা ানেক ঝূকিপূর্ণ।

পাহাড়ের পিছনে এবং নিছু থেকে নিলাচল দেখতে এমনি।

নীলাচলের পেছনের পাহাড়ে রয়েছে আমাদের এক বন্ধুদের বাগান। সেই সুযোগেই আমরা এমন পাহাড়ী অঞ্চল ভ্রমণ করেছি। অন্যাথায় ওখানে স্থানীয় (উপজাতীরা) সেখানে চলা ফেরা পছন্দ করেন না।
পাহাড়ের খাদ দিয়ে এগোচ্ছিলাম ততই অবাক হচ্ছিলাম বাংলাদেশ যে এত্ত সুন্দর জানতাম না।

আমরা হাটছিলাম দলবেধে.....একপাশে নিলাচল.... অন্যপাশেও পাহাড়। মাঝখানে কয়েকশ ফুট নিচে সরু রাস্তা দিয়ে চলছি আমরা।

একদম শেষে ছিলাম আমি (কাল শার্ট পরা)

আকাশ বাতাস সবইআমার কাছে অন্য রকম মনে হতে লাগল।

আপনি দেখতে পাবেন পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ ভাসছে আপনার খুব কাছেই।

অন্য ধরণের অভিজ্ঞতা হল সে ভ্রমণে।।।।

আরো যে যে জায়গায় গিয়েছিলাম....
স্বর্ণ মন্দির, নীরগিরি। ছবি সহ পরের পোষ্টে জানাব আরো অনেক সৌন্দর্য.....
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১১