সব ছবিগুলো আমার এই ট্যুরেই তোলা, যদিও কপিরাইট লেখা আছে, আমার তাতে কোন মাথা ব্যাথা নাই! যে যেইভাবে পারেন ব্যবহার করতে পারেন!
সেন্ট মার্টিনে প্রবেশদ্বার!
ক্রমাগতভাবে যখন বিচারবুদ্ধি ঢেউটিন মার্কা হয়ে যাচ্ছিল, তখন একবার গুগল করেছিলাম, কিভাবে আইকিউ বাড়ানো যায়। বের হয়ে আসা রেজাল্টগুলোর ভেতর রিডার্স ডাইজেস্টের একটা আর্টিকেল ছিল। নতুন নতুন জায়গা ঘুরলে নাকি আমাদের মস্তিষ্কে এক রকমের আলোড়ন তৈরি হয় আর নানা রকম জটল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে শেষমেষ উপস্থিত বুদ্ধি আর স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে!
সেই থেকে নতুন যেকোন জায়াগা ঘুরতে যাবার ক্ষেত্রে আমার কোন না নেই, সবসময়ই প্রস্তুত থাকি, চেষ্টা করে দেখি এই বুড়া বয়সে কোন রকমে আইকিউ বাড়ানো যায় কিনা! তবে বাপের অঢেল না থাকাতে সবসময়ই যা তা পেরে উঠি তাও কিন্তু নয়...তাড়াহুড়ো করে যখন যাওয়া হয়, কেবল তখনি যেতে পারি!
তো প্লান শুরু করলাম, খোঁজ খবর নিলাম, কোথায় গেলে ভাল হয়, মন সায় দিল বান্দরবন। তবে যাদের সাথে যাব তারা কেউই সায় দিল না- বান্দরবনে নাকি তখন খুবি প্রতিকূল পরিবেশ তার উপর আবার প্রচণ্ড শীত! এইভাবে উহারা এস্পার ওস্পার করিয়া গন্তব্য ঠিক করিল সেন্ট মার্টিন। সাগরের প্রতি আমার বিশেষ কোন টান বরাবরি নেই, সাগর দেখলে কেন জানি আমার মানবের অক্ষমতা বারে বারে ঘুরে ফিরে মাথায় আসে! তবে বন্ধুবর্গ যেহেতু সংখ্যায় বেশি, আর এই অধমের চিন্তার সাথে যায় এমন আদমের সংখ্যাও নগণ্য, সেহেতু আমাকে বাধ্য হয়েই সেন্ট মার্টিন কে মেনে নিতে হল!
সফরসঙ্গী হল আমি বাদে আর চারজন, এর ভেতরে আবার বিপরীত চার্জের একজন, বন্ধর গার্লফ্রেন্ড! আগাগোড়াই আমি মেয়েলোক নিয়ে জার্নিতে অনাগ্রহী, কিন্তু এবার সম্পর্কগুলো এতটাই কাছের ছিল যে সরাসরি মুখ ফুটে না করতে পারলাম না, মেনে নিতে হল! আর বাকি দুজনের একজন দোস্ত বর্গীয় মানুষ আরেকজন কাজিন।
যাত্রা শুরু করলাম হানিফের চেয়ার কোচে, শীতকাল বলে এ.সি. বাসে টিকিট কাটলাম না। ফকিরাপুল থেকে যাত্রা শুরু মোট পাঁচজন আর আরেকজনের কক্সবাজার থেকে আমাদের সাথে এড হবার কথা। রাতের বেলাতে দীর্ঘ এই যাত্রা যে এতটাই বিরক্তিকর ছিল জানলে আগে বাই এয়ার টিকেট কাটতেও আপত্তি ছিল না আমার। আর কপাল এতই খারাপ ছিল যে, সাথে উঠেছিল একদম বমি পার্টি! যাত্রাপথে বমি করলে তা এতটাই বিরক্তিকর অবস্থার তৈরি করে যে না পারা যায় সইতে আর না পারা যায় কিছু বলতে! তার উপরে আবার ঠিক আমার সামনের সিটেই ছিলেন বমি গ্রুপের লিডার যিনি কিনা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সব কিছু দিয়ে গেছেন বাসের বাইরে! মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে সারা রাত ফ্রোজেন এয়ার ফ্রি পেলাম, জানালাও বন্ধ করতে দিবে না বমি করবে বলে, এই শীতের ভেতর...তবে কিছুই বললাম না-বুঝলাম নেহাত না পেরেই এই অবস্থা তার!
পথে আবার কুমিল্লার নূরজাহান হোটেলে যাত্রা বিরতি করল, তবে একটা জিনিস বোধগম্য হল না যে এতটুকু এসে কোন যুক্তিতে বাস থামানো দরকার! কমপক্ষে মাঝামাঝি না এসে থামালে যাত্রাবিরতির আর মানে রইল কি! আর খাবারের যা দাম আর যে গুণগত মান, তা এই দেশের ফালতু হোটেলগুলোর ভেতরে অদ্বিতীয়!
মাতাল টাইপের ড্রাইভার পুরাই নিড ফর স্পীড মার্কা টান দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিল টেকনাফ, পথে যেতে যেতে কোমরে হাড় সব ভেঙ্গে দিয়েছে এই বাজে রাস্তায়! বলে রাখা ভাল যে ফেরার সময় স্থানীয় এক পরিবহনে করে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার এসেছিলাম, তখন কিন্তু এতটা ঝাঁকি লাগে নি, তাই আমার পরামর্শ থাকবে কক্সবাজার নেমে সেখান থেকে লোকাল কোন বাসে টেকনাফ যান! কেননা এই আন্তঃজেলা বাসচালকগুলা অলটাইম পিনিকের উপর থাকে, এরা ভাঙ্গা চোরা রাস্তা দেখলেও ব্রেক করে না, আর এই রাস্তাটুকু এতটাই খারাপ যে আপনি পুরাই দেউলিয়া হয়ে যাবেন!
গ্রুপের শেষ মেম্বার টেকনাফ এ আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল, তাকে সাথে নিয়ে সকালের নাস্তা সারলাম একটা হোটেলে! তাদের ব্যবহার সেই লেভেলের, এত পরিমাণ কাস্টমার আর এতটাই মনোপলি বিজনেস যে কাস্টমার সেটীফেকশনের তোয়াক্কাই করে না এই পাবলিকেরা!
টেকনাফের সেই হোটেলের সকাল বেলার প্রস্তুতি!
যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে আগে থেকে টিকেট করে রাখা কেয়ারি সিন্দাবাদে উঠলাম! হোটেল আবার যাবার সময় ট্রাইপড ফেলে রেখে গিয়েছিলাম, জাহাজ থেকে নেমে হাঁপাতে হাঁপাতে সেই ট্রাইপড আবার গিয়ে নিয়ে আসলাম! এসে দেখি সিটীং এরাঞ্জমেন্ট ভয়ানক বাজে, তবুও বসলাম...
কেয়ারি সিন্দাবাদের ভেতরে থেমে থাকা জীবন!
এই জার্নি টুকুর খুব নামডাক শুনেছি মানুষের মুখে, তবে আমার কাছে যেটা মনে হল যে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এরা আসলে সব ধরনের চেষ্টাই করে যাচ্ছে, শিপের ক্যাপ্টেন চৌকশ লোক, প্রতিটা গুরুত্বপূর্ন স্পট পার করবার সময় দারুণ মজার করে বর্ননা দিয়ে যাচ্ছিলেন! আমার আবার ক্যামেরার ব্যাটারির হায়াত শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম! পরে জাহাজটা ঘুরে দেখলাম আর বাইরের দৃশ্য উপভোগ করবার চেষ্টা করলাম। তবে খুব একটা আহামরি কিছু মনে হল না যাত্রাটাকে, ঠিক যেন আরিচা থেকে ফেরিতে করে যাত্রা-তবে মাঝে গাংচিল আর দূরের মিয়ানমারের পাহাড়ুগুলো ছিল আসলেই দেখার মত! তবে এতটাই লোকারণ্য ছিল শিপ যে কোন কিছু দেখেই মজা পাওয়া যাচ্ছিল না!
বহুদূরের মিয়ানমারের পাহাড়
এই হাজার হাজার তীর্থযাত্রীদের সাথে অবশেষে পৌছালাম সেন্ট মার্টিন! মনের ভেতর আশংকা উকি দিল, অন্য কোন ট্যুরের মত এটা আবার মেলায় পরিণত হয়ে যাবে নাতো!?
মোটামুটি একটা বাজে ধারণা নিয়ে নামলাম দ্বীপে......
জীবনের প্রথম কোন দ্বীপে পদার্পণ! সেই লেভেলের অভিজ্ঞতা! ঠাহর করলাম! তবে দুপুরের রোঁদের তাপ এতটাই বেশি চিল যে এই ফিলিং মুহুর্তেই উবে গেল আর হোটেলের খোঁজে পাগল প্রায় হয়ে বীচ দিয়ে ছুটলাম! অবশেষে পূর্বপাড়ের আগে থেকে ঠিক করে রাখা একটা হোটেলে গিয়ে উঠলাম। ক্লান্ত ছিলাম, এসে তাড়াতাড়ি শোবার প্রস্তুতি নিতে থাকলাম আর তার আগে সামুদ্রিক মাছ দিয়ে পেট পূজোর একটা বন্দোবস্ত করে ফেললাম! টার্গেট ছিল বিকেলে উঠে সূর্যাস্ত দেখব, কিন্তু তা আর হল না!
ছবির মত সুন্দর পূর্ব পাড়
ঘুম থেকে উঠলাম রাতের বেলায়, মনটা বেজায় খারাপ হয়ে গেল! সূর্যাস্তটাই মিস করে ফেললাম! ভেবে পেলাম না কিছুই! তবে রাতটা ছিল জ্যোতস্নাস্নাত, তাই সাথে সাথে আরেকটা মজা করবার জিনিস পেয়ে গেলাম, আগেরটা নিয়ে ভাবা লাগল না!
রাতের বেলা, কোন এক দ্বীপ, চারিদিকে ভরা পূর্ণিমা- সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি যা কিনা না গেলে কোন ভাবেই বোঝানো সম্বব না!
মহাবৃত্তের নিচে আরেকটি বৃত্ত আকবাঁর প্রয়াস!
এই পার্টটুকুর বর্ণনা দেয়াটা আসলেই একেবারেই বোকামি! এটা বোঝানো যাবে ন! তবে এর ভাল বর্ণনা বোধ হয় গ্রুপে থাকা কপোত-কপোতি বলতে পারবে, প্রায়ই দেখিছিলাম তারা হাতে হাত রেখে একাকী ঘুরে বেড়াচ্ছে!
যাই হোক, রাতে হোটেল ফেরার তাড়া থাকায় ডিনার করে ফিরে গেলাম হোটেলে!
বহুদূরে সেই কপোত কপোতী দাঁড়িয়ে আছে একা
প্রথম রাত হোটেলে থাকার জন্য বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড এর আলাদা একটা আবার রুম ছিল! কিন্তু সমস্যা হল, রাতের বেলায় নাকি তার রুমের উপর কি এক আজব ধরণের আওয়াজ হয়! সম্বভত তার রুমের উপর কোন ডাবগাছ ছিল আর বাতাসে সেই ডাবগাছের পাতা থেকে এই আওয়াজ তৈরি হয়েছিল! মাঝ রাতে অতঃপর তিনি আমাদের রুমে এসে হাজির আর আমরাও আবুলের মত তাকে আমাদের মাঝে রেখেই আড্ডা চালিয়ে গেলাম! পরে উপলব্ধি করলাম বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড রুমে থাকলে সে রুমে আসলে ঘুমাতে বিশ্রী লাগে!
যাইহোক, এই বিপদ থেকে মুক্তি পেলাম সকালে, আর বের হয়ে গেলাম ডাবগাছমুক্ত হোটেলের খোঁজে! যেতে যেতে দ্বীপের রূপ চোখে ধরা পড়ল অনেক!
জীবন-ব্যবস্থা, বায়ো ডাইভারসিটি এতটাই সমৃদ্ধ যে আমি একেবারেই অপ্রত্যাশিত রকমের অবাক হয়ে গেলাম! হঠাত চোখে পড়ল সেই মরণফাদ টি, নাম না জানা হাজারো আবিদকে কেড়ে নিয়েছিল যেটা! খুব ভয়ংকর সুন্দর সে জায়গা, দুদিকের ঢেউ এসে এমনভাবেই মিলছে যেন মৃত্যুর দিকে ব্যতিক্রমী এক আহবান!
শেষে ঘুরতে ঘুরতে সাগর পাড়ের এক হোটেল, নাম শী প্যারাডাইস, ওটাতে গিয়ে উঠলাম! প্রথমে যেখানে চেক ইন করলাম সেখানে বিল মেটাতে গিয়ে দেখি রুম পাহারাতে রেখে আসা বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড উধাও! রুমে নাই! ফোন অফ! দোস্তর আমার মাথা নষ্ট অবস্থা! বলে, "আমি এখন কি করব"!
হোটেল খুঁজতে খুঁজতে দেখা পেলাম এই পিচ্চি ফটোগ্রাফারের
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পাগলের মত খুঁজে বেড়াল সে মেয়েটিকে-তখন ওকে দেখে আমার মনে হচ্ছিল, আল্লাহ মালিক! আজ যদি ডুয়েল হতাম তাহলে প্যারার শেষ থাকত না! অতঃপর তাকে খুঁজে পাওয়ার পর আমরা মনে শান্তি পেলাম! আর আমি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, গার্লফ্রেন্ড আছে এমন কারো সাথে কখনোই ঘুরতে বের হব না!
এতসব প্যারার ভেতর আবার আমি দুপুর বেলা বের হলাম কিছু ছবি তুলতে, সেক্রিফাইস করতে হল সাগরে নামাটাকে! পানিতে নামলাম না, তবে চষে বেড়ালাম পুরো দ্বীপ! কিছু ছবি যাও পেলাম তা আবার জলে গেল!
যাইহোক এর ভেতর সূর্যাস্ত দেখতে পশ্চিম তীর গেলাম, পশ্চিম তীর নাকি সূর্যাস্ত দেখার সবচেয়ে ফাটাফাটি জায়গা!
ভ্যান ভাড়া করে পশ্চিম তীরে গেলাম, দারুণ জায়গা! লঙ এক্সপোজার কিছু ছবি তুললাম!
পশ্চিমতীরের তোলা সূর্যাস্তের ছবি!
হোটেলে ফিরে এসে ডিনারে বসলাম, দারুণ সেই অভিজ্ঞতা, এতটাই সাগরের কাছে হোটেল টি যে ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছিল আমাদের খাবার টেবিলের ঠিক নিচে! শত কোটী টাকা দিলেও সেই অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে পারব না এই জীবনে!
রাতে ভাবলাম ডাবগাছমুক্ত হোটেল নেয়ার পর বন্ধু আমাদের সাথে আরামে থাকবে, কিন্তু তানা! এই হোটেলেও তার গার্লফ্রেন্ড ভয় পায়! আমাদের যাতে রাতের ঘুম হারাম না হয় তাই সে এবার প্রেমিকার কক্ষেই চলে গেল সব সমস্যার সমাধান করতে! আমার শিক্ষা হল তৃতীয়বারের মত, যে কাপলদের সাথে আর কখনোই না!
পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে সূর্যোদয় দেখতে বের হলাম! আমি আর আমার আরেক দোস্ত যখন বাইরে বের হলাম, তখন আসলেই কেউ ছিল না বাইরে! পুরো সৈকতে শুধু ও আর আমি! মনে হল সূর্যাস্তের চেয়ে সূর্যোদয় ই বেশি ভাল!
বেশ কিছুক্ষণ পর যখন বেলা গড়াল তখন দ্বীপের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে মজা করে ছবি তুলতে শুরু করলাম! তবে মাজর ব্যাপার হল আমার দৃষ্টিতে এই দ্বীপের সবচেয়ে বড় আঁকর্ষণ হল এই ছেলেমেয়েগুলো! এরা আছে বলেই দ্বীপ বেচে আছে!
এরপর আমাদের সাথে একটা পিচ্চিকে পেলাম গাইড হিসেবে, আমার লাইফে দেখা ভাল লোকগুলোর একজন! সে আমাদের কে সাথে করে এতজায়গা ঘুরল, কিন্তু তাকে একটা টাকা কিংবা চকলেট নিতে বাধ্য করতে পারলাম না! ছেলেটার নাম ছিল রবি!
রবি!
প্রাতঃভ্রমণ শেষে হোটেল আসলাম, সামুদ্রিক ফ্লাইং ফিস, কোরাল, আর কোন এক নাম না জানা কিছু দিয়ে খাবার চুকে রওনা দিলাম ছেঁড়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে! বোট নিয়ে পৌঁছে গেলাম মিনিট দশেকের ভেতর।
দ্বীপ অনেক সুন্দর, তবে ব্যাপার হল প্রকৃত সৌন্দর্য বুঝতে হলে সেখানে রাত কাটানো লাগবে, যেটা আমাদের জন্য সম্বব ছিল না! আবার ঐদিনেই সেখানে নোবাহিনীর কিছু একটা ছিল, ফলে অনেক বেশি লোকারণ্য ছিল দ্বীপটি, মজা পেলাম না!
ছেঁড়া দ্বীপ
ওই ভাড়া করা বোটেই আবার ফিরে এসে হোটেল থেকে পাঠ চুকিয়ে রওনা দিলাম জাহাজের উদ্দেশ্যে! চলে যেতে হবে! আহ!
বিদায়কালে বারে বারেই সব কিছুকে কেন জানি আর সুন্দর মনে হচ্ছিল! তবে একটা বিষয় ঠিক,এদেশে ছবি তোলার জন্য এর চেয়ে ভাল আর কোন জায়গা হতে পারে না! তবে যদি যান, কোন ফটোগ্রাফার কমিউনিটির সাথে যাবেন যদি ফটোগ্রাফার হন, কেননা যাবার সময় আমার হিলিতে নামতে মনে চেয়েছিল অনেক, কিন্তু পারি নি! কিন্তু গ্রুপে গেলে সবাই ঠিকি নেমে পড়তাম!
অবশেষে কোন এক গ্রুপ মেম্বারের কথাই বলব যে ডাবগাছময় সেন্ট মার্টীন ট্যুর টী কোন দিক দিয়ে মন্দ হয় নি......
বি.দ্র. ছবিগুলোর ভাল কোয়ালিটি দেখতে ভিজিট করুন আমার 500px পেইজঃ https://500px.com/EmonKhan