'স্বপ্ন দেখব বলে আমি দুচোখ পেতেছি'
কেমন একটা হাহাকার ছুঁয়ে যায় গানটি শুনলে। আগে কেমন ছিল সে প্রসংগে না গেলেও বলা যায় এ গানটি এখন অনেকের জীবনেই সত্য হয়ে এসেছে। এতো অনিয়ম যেখানে প্রায় নিয়মে পরিনত হয়েছে সেদেশের মানুষ ক্রমশ স্বপ্ন দেখার খরায় ভুগবেন এ আর আশ্চর্য্য কি।
তবে জীবনবাদী মানুষেরও কিন্তু খুব অভাব নেই। এদের ভেতর কিছু মানুষ আবার স্বপ্নের কারিগর। হরহামেশাই স্বপ্ন বুনে চলেন এই গোত্রের মানুষ। এদের চেহারায় বিশেষ কোন ভিন্নতা নেই, অন্যদের মতোই চার হাত-পায়ের মানুষ এরা, তবে হৃদয়টি হয়তো একটু ভিন্ন। সে অদৃশ্য হৃদয় অবিশ্রাম স্বপ্ন তৈরী করে। চারপাশের গোলযোগ, অনিয়ম, বৈষম্য তাঁকেও যে বিচলিত করেনা তেমন নয়, তবে তাঁদের স্বপ্ন বুননে বাঁধা হয়ে উঠতে পারেনা। আর তাইতো তাঁরা স্বপ্নের কারিগর হতে পেরেছেন।
স্বপ্ন কি পারবে আমাদের একটু এগিয়ে নিতে? ইউরোপ, আমেরিকা বা জাপান নয়, অন্তত কোরিয়া বা মালয়েশিয়ার মতো? তাও একদিনে নয়, বহুদিনে? ওরাতো পেরেছে। আমরা পারবোনা কেন? কিন্তু কিভাবে?
শুধু স্বপ্ন বুনে গেলাম আর সবকিছু হয়ে গেল বিষয়টিতো তেমন নয়। নিজের স্বপ্ন চারপাশের অযুৎ নিযুৎ মানুষকেও স্বপ্ন দেখাবে আর দেশ উদ্ধার হয়ে যাবে বিষয়টি আসলে তেমনও নয়। তাহলে বিষয়টি কেমন?
জীবনভর যে স্বপ্ন দেখে আসছি সেগুলো কি স্বপ্ন? আমাদেরকে স্বপ্ন সম্পর্কে প্রচলিত ধারনা পাল্টাতে হবে। আসলে স্বপ্ন কিন্তু সেটা নয় যা আমরা ঘুমের ভেতর দেখি। বরং স্বপ্ন সেটাই যা আমাদেরকে ঘুমাতেই দেয়না! দেখতে হবে এমন স্বপ্ন। সমগ্র জাতী নির্ঘুম জেগে থাকবে দিবানিশি। এই সদাজাগরন নাড়িয়ে দেবে অনিয়মের ভিত, সচল করবে বন্ধ হয়ে থাকা প্রগতির চাকা। পৃথিবী অবাক তাঁকিয়ে রবে। তলাবিহীন ঝুড়ির বিশেষনটি দেয়ার জন্য নতুন দেশ খোঁজা হবে!
[প্রিয় পাঠকঃ যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয়না সেটাইযে প্রকৃত স্বপ্ন সেটা কোন একসময় বলেছিলেন ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম। তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।]
লেখাটি পোষ্ট করার একদিন পর মনে হলো এটি লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি আগের একটি লেখার প্রিয় মন্তব্যকারীদের কাছ থেকে। এ তুচ্ছ লেখাটি তাঁদেরকে উৎস্বর্গ করতে মন চাচ্ছেঃ
[ফারাহ দিবা জামান, আবুশিথি, সান্তনু অাহেমদ, লেখাজোকা শামীম, তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে, মাস্টার, কবি ও কাব্য, শায়মা, মাধব এবং আধাঁরি অপ্সরা]
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৬