somewhere in... blog

মুসলিমদেরকে কোরআনের মত স্মার্ট হতে হবে

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘদিন ধরে উভয় পক্ষের ডিবেট পর্যালোচনা করে কোরানে বিশ্বাসীদের মধ্যে কিছু দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যেটা কোরানের সাথে কোনভাবেই ম্যাচ করে না। যদিও অনেক পরে এসে সেটা বুঝা গেল। কোথায় কোরান (The smartest book in the World) আর কোথায় তার ফলোয়াররা! আবুল কাশেম, কামরান মির্জা, আযগর, আলী সিনা, ইবনে ওয়ারাক ও আয়ান হিরসি আলীর মত প্যাগান মেন্টালিটির লোকজন সাধারণত ফলোয়ারদের দিয়ে ধর্মকে বিচার করে। বিশেষ করে ৯-১১ নাটকের পর ইসলামকে টেররিজম, এক্সট্রিমিজম, ভায়োলেন্স, সুইসাইড বোম্বিং ইত্যাদির সাথে লিঙ্ক করার পর থেকে এই ট্রেন্ড চালু হয়েছে (মনে হচ্ছে ৯-১১ নাটকের ঠিক পূর্ব মুহূর্ত থেকে কোরানের বিষাক্ত ও ধারালো নখ-দাঁত-হাত-পা-ইত্যাদি গজানো শুরু হয়েছে)! এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে। নাম্বার-১ কারণ হচ্ছে অন্যান্য ধর্মের অসারতা। একদিকে অন্যান্য ধর্মের অসারতা ঢাকার জন্য এবং অন্যদিকে ইসলামের ইভলুশন প্রতিরোধকল্পে একটি মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ইসলামকে টেররিজম, এক্সট্রিমিজম, ভায়োলেন্স, সুইসাইড বোম্বিং ইত্যাদির সাথে লিঙ্ক করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের সাথে যোগ দিয়েছে মুযলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আবুল কাশেম, আলী সিনা, কামরান মির্জা, আযগর, ইবনে ওয়ারাক ও আয়ান হিরসি আলীর মত কিছু পা-চাটা দাস-দাসী। অথচ ইসলাম এসেছে এগুলোকে প্রতিহত করতে। কোরানে তার ডজন ডজন উদাহরণ আছে। কোরানের একটি বড় অংশ জুড়ে অতীত টেররিজম, এক্সট্রিমিজম, ফ্যানাটিসিজম ও ভায়োলেন্সকে এ্যাড্রেস করা হয়েছে। আজ থেকে চৌদ্দশত বছর আগেই কোরানে ‘ওয়ার অন টেরর অ্যান্ড অপ্রেসর’ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে (নমুনা দেখুন : ৪:৭৫, ২২:৩৯-৪০, ৯:১৩, ৪২:৩৯-৪৩, ২:১৯০-১৯৩)। পাসাপাসি হত্যা ও সুইসাইডকেও অত্যন্ত জোরালোভাবে কনডেম করা হয়েছে (৫:৩২, ২:১৯৫, ৪:২৯-৩০, ৪:৯২-৯৩, ১৭:৩৩, ৬:১৫১, ২৫:৬৮, ৩:২১)। মুসলিমরা আসলে পলিটিক্স জানে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, নন-মুসলিমরা কোরানের আইডিয়া নিয়ে ইসলামকেই উল্টোদিকে আক্রমণ করে! যেমন : ফ্রীডম-অব-ফেইথ (১০:১০৮, ৬:১০৪, ১০:৯৯, ৩৯:৪১, ১১:১২১, ৭৩:১৯, ৪৩:৮৮-৮৯, ২:২৭২, ৭৬:২৯, ১৮:২৯, ৪২:৪৮, ৭৬:৩, ৩:২০, ৮৮:২১-২২); ফ্রীডম-অব-রিলিজিয়ন (২:২৫৬, ১০৯:৬, ২২:৬৭-৬৯, ৪২:১৫, ১০:৪১, ২:১৩৯, ৪২:৬); মুক্তচিন্তার অধিকার (১৫:৩, ১৭:৮৪, ৬:১১০, ১০:১১, ১১:১২১, ৫২:৪৫); নারীর মর্যাদা ও অধিকার (৪:১, ৪:৪, ৪:৭, ৪:১৯, ৪:৩২, ৪:১২৪, ৩:১৯৫, ৯:৭১, ১৬:৯৭, ৩০:২১, ৩৩:৩৫, ৪৯:১৩, ৪০:৪০, ২৪:৪, ২৪:২৩); এতিম, মিসকীন ও বিধবাদের অধিকার (২:১৭৭, ২:২১৫, ২:২২০, ২:২৪০-৪১, ৪:২, ৪:৮, ৪:১০, ৪:৩৬, ৯:৬০, ১৭:২৬, ১৭:৩৪, ৯৩:৯-১০, ৮৯:১৭-১৮, ১০৭:১-৩); দাস-দাসী মুক্তি (৯০:১২-১৩, ৯:৬০, ৫:৮৯, ২:১৭৭, ৪:৩, ৪:২৫, ৪:৯২, ২৪:৩৩, ৫৮:৩, ৮:৬৭); সন্তান হত্যা (১৬:৫৮-৫৯, ৬:১৪০, ৬:১৫১, ১৭:৩১, ৬:১৩৭, ৮১:৮-৯); অন্যের অর্থ-সম্পদ গ্রাস (২:১৮৮, ৪:১০, ৪:১৬১); পৌরোহিত্য ও ধর্মব্যবসা (২:৪১, ২:৭৯, ২:১৭৪, ৫:৪৪, ৩:১৮৭, ৯:৯, ৯:৩১, ৯:৩৪, ১২:১০৪); অসাম্প্রদায়িকতা ও সাম্যতা (৪৯:১৩, ৪:১, ২:২১৩, ১০:১৯, ১৭:৭০); সহনশীলতা (৬:১০৭-১০৮, ৪৯:১১, ৬০:৭-৯, ৩৯:৩, ১৬:১২৬-১২৮, ৭৩:১০, ১৯:৪৬-৪৭); সার্বজনিনতা (২:৬২, ২:১১১-১১২, ৫:৬৯, ২২:১৭, ১০৩:১-৩, ৩৪:২৮, ২১:১০৭, ২২:৬৭, ১০:৪৭, ৩৫:২৪, ১৬:৩৬, ৬৮:৫২); ন্যায় বিচার (৪:১৩৫, ৫:৮, ৪:৫৮, ৫৭:২৫, ৩৯:৬৯-৭০, ৪০:১৭, ২১:৪৭, ৩৬:৫৪, ২:২৮১, ৭:২৯, ১৬:১১১, ১৭:১৩-১৫, ২০:১৩৪-১৩৫); লাভ-দয়া-ক্ষমা (১:১-২, ৮৫:১৪, ২১:১০৭, ৬০:৭, ৪:১৭, ৭:১৯৯, ৩৯:৫৩, ১৬:১১৯, ৩:১৫৯, ১৫:৮৫, ১৬:১১৯, ১৯:৯৬, ২:১৬০, ২:১৬৩, ৪:২৭-২৮); জ্ঞান আহরণ ও প্রশ্নে উৎসাহ (১৭:৩৬, ৩৯:৯, ৪৭:২৪, ২৫:৩৩, ৩৮:২৯, ১৭:৮৫, ২১:৭, ২:২১৫-২২০); ভ্রমণে উৎসাহ (২৯:২০, ২২:৪৬, ৬:১১, ৪০:২১, ৪৭:১০, ৩০:৪২, ৩:১৩৭); প্রমাণ দাবি (২:১১১, ৬:১৪৩, ৬:১৪৮, ১০:৩৬); ক্রিয়েটরে অবিশ্বাসীদের জন্য যুক্তি (২২:৫, ৭৫:৩৬-৪০, ২২:৭৩, ২৩:৯১, ২:২৮, ১৭:৯৯, ১৯:৬৬-৬৭, ২১:২২, ২৯:৪৬, ৬:৯৯, ৫২:৩৩-৩৬); কোরানে সংশয়বাদীদের জন্য ফলসিফিকেশন টেস্ট ও চ্যালেঞ্জ (৪:৮২, ১৭:৮৮, ২:২৩-২৪, ১০:৩৭); যাদুবিদ্যা প্রত্যাখ্যান (২:১০২, ৫:৯০); গোল্ডেন রুল (২:৪৪, ১১:৮৮, ৬০:৭-৯, ৬১:২-৩, ৮:৬১, ৪১:৩৪; সহী বুখারী ৮:৭৩:২৬, ১:২:১২); ইত্যাদি। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে এগুলো একদমই নেই। তবে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে এগুলোর অনেক কিছুই নেই এবং কোরান-ই এগুলো বিষয়ে অগ্রদূত।

যাহোক, সবাই যে দুর্বল তা কিন্তু নয়। তবে বেশীরভাগই দুর্বল। পাসাপাসি তারা : কিছুটা এ্যাপোলোজেটিক মাইন্ডেড (কোরানে বিশ্বাস করে এ্যাপোলোজেটিক হওয়ার তো কিছু নাই); প্রতিপক্ষকে আপারহ্যান্ড নেওয়ার সুযোগ করে দেয়; বল ঠেলে ঠেলে নিজের কোর্টে নেওয়ার চেষ্টা করে; কোরানের ভাইট্যালিটি ও মেসেজ সম্বন্ধে ততটা অবগত নয়; ইসলামের থিওলজির সাথে অন্যান্য ধর্মের থিওলজির পার্থক্য তেমন একটা বোঝে না; অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের উপর তেমন একটা দখলও নাই; সর্বোপরি, কার সাথে কীভাবে ডিবেট করতে হবে সে বিষয়ে অনেকটাই অপরিপক্ক।

এই লেখাতে কিছু টিপস দেওয়া হবে যেগুলো ফলো করলে কোরানে বিশ্বাসীদের সাথে ডিবেটে কেহই দাঁড়াতে পারবে না। আমি নিজে যেহেতু কনভিন্সড, অর্থাৎ সত্য বলে যদি কোন ধর্ম থেকে থাকে তাহলে সেটা হবে নিঃসন্দেহে ইসলাম (Peace and surrender to Creator’s Will), সেহেতু টিপসগুলো দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় দিতাম না। কারণ কোরান ক্রিয়েটরের বাণী না হওয়া মানে সেটা হবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়! যে কেহ নিরপেক্ষ মন-মানসিকতা নিয়ে কোরান স্টাডি করলে একই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কথা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট : কোরানে কোন ধর্মকে যেমন ফলস বলা হয়নি তেমনি আবার কোন ধর্মকে সরাসরি বাতিল ঘোষণাও করা হয়নি, যেটা অনেকেই জানে না। কোরান বরঞ্চ তার পূর্বের কিতাবগুলোর সত্যায়নকারী ও সংরক্ষণকারী (৫:৪৮, ৩:৩, ৩৫:৩১, ১০:৩৭, ১২:১১১) (Quran is the culmination of the previous revelations in the process of evolution)। এমনকি কোরানে কোন মেসেঞ্জার বা অবতারের বিরুদ্ধে কোনরকম সমালোচনাও করা হয়নি। বরঞ্চ কোরানে সকল মেসেঞ্জারদের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে (৩:৮৪, ২:২৮৫, ৪:১৫২, ৩৭:৩৭)।

কোরানের কোথাও যেমন ‘বাইবেল চেঞ্জ করা হয়েছে’ লিখা নেই; তেমনি আবার ‘বাইবেল চেঞ্জ করা হয়নি’ এ কথাও সরাসরি লিখা নেই। প্রকৃতপক্ষে ‘বাইবেল’ বলে কোন শব্দই কোরান ও বাইবেলে নেই! বাইবেলের অথেন্টিসিটি প্রমাণ করার দায়িত্ব খ্রিস্টানদের। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাইবেল চেঞ্জ হয়েছে কি-না তাতে মুসলিমদের কিছুই যায় আসে না। কারণ বাইবেল চেঞ্জ না হলেও তো যীশুখ্রীস্ট (একজন মানুষ) এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর বা ক্রিয়েটরের জন্মদাতা পুত্র হয়ে যাচ্ছেন না! ট্রিনিটিও সত্য প্রমাণিত হচ্ছে না। অনুরূপভাবে, বেদ-গীতা-রামায়ণ-মহাভারত-ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থ চেঞ্জ না হলেও এবং তাদের মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিক স্টেটমেন্ট থাকলেও শ্রীরাম বা শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর হয়ে যাচ্ছেন না। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অনেকেই বুঝতে সক্ষম হয়নি। ফলে বাইবেল, বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থে যদি সত্যি সত্যি কিছু বৈজ্ঞানিক স্টেটমেন্ট থেকে থাকে সেগুলো মেনে নিতে মুসলিমদের কোনই সমস্যা থাকার কথা নয়। এক্ষেত্রে ইমব্যারাসমেন্ট তো দূরে থাক তাতে বরং মুসলিমদের খুশিই হওয়ার কথা। কারণ কোরানে অত্যন্ত পরিষ্কার করেই বলা আছে যে, প্রত্যেক জাতির মধ্যে মেসেজ সহ মেসেঞ্জার পাঠানো হয়েছে (১০:৪৭, ৩৫:২৪, ১৬:৩৬, ৪০:৭৮, ৪:১৬৪)। অন্যদিকে কোরানের বৈজ্ঞানিক স্টেটমেন্টগুলো মেনে নিতে কিন্তু নন-মুসলিমদের সমস্যা আছে। কারণ মুহাম্মদ (সাঃ) এর মেসেঞ্জারশিপ প্রমাণের জন্য অনেক পয়েন্টের মধ্যে এটিও একটি পয়েন্ট। আর এ কারণেই কোরানের বৈজ্ঞানিক স্টেটমেন্টগুলোর বিরুদ্ধে এত্তসব অপপ্রচার! এবার বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার হওয়ার কথা।

‘বাইবেল’ বলে কোন নাম বাইবেলে নেই। ‘জুদাইজম’ ও ‘খ্রিস্টানিটি’ বলে কোন নামও বাইবেলে নেই। মোজেস ‘জুদাইজম’ নামক কোন ধর্ম প্রচার করেননি। যীশুখ্রীস্ট ‘খ্রিস্টানিটি’ নামক কোন ধর্ম প্রচার করেননি। তিনি কখনো ‘ট্রিনিটি’ ও ‘অরিজিনাল সিন’ বলেও কিছু প্রচার করেননি। তিনি নিজেকে কখনো ক্রিয়েটর বলে দাবি করেননি এবং তাঁকে ওয়ার্শিপের কথাও বলেননি। বর্তমান বাইবেল (ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট) ক্রিয়েটরের বাণী কি-না তার স্বপক্ষে তেমন কোন যুক্তি-প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরঞ্চ বিপক্ষেই কিছু সলিড যুক্তি-প্রমাণ আছে।

‘ঋগ্বেদ’ বলে কোন নাম ঋগ্বেদে নেই। ‘ভগবত গীতা’ বলে কোন নাম ভগবত গীতাতে নেই। ‘হিন্দু’ ও ‘হিন্দুইজম’ বলে কোন নাম বেদ-গীতাতে নেই। ‘ঈশ্বর’ বা ‘ভগবান’ বলে কোন নাম বেদ-গীতাতে আছে বলে মনে হয় না। শ্রীরাম ও শ্রীকৃষ্ণ ‘হিন্দুইজম’ নামক কোন ধর্ম প্রচার করেননি। তাঁরা নিজেরা কোন ধর্মগ্রন্থও লিখে যাননি। প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মের কোন অবতারই ‘হিন্দুইজম’ নামক কোন ধর্ম প্রচার করেননি। এমনকি ‘সনাতন ধর্ম’ বলে কোন নাম বেদ-গীতাতে আছে বলেও মনে হয় না। তাছাড়া ‘সনাতন ধর্ম’ তো আসলে কোন ধর্মের নামও হতে পারে না। বেদ-গীতা আদৌ ক্রিয়েটরের বাণী কি-না তার স্বপক্ষে কোন যুক্তি-প্রমাণ পাওয়া যায় না।

পক্ষান্তরে ‘কোরান’, ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ নাম তিনটি কোরানে অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে (২:১৮৫, ৪:৮২, ৫:৩, ২:১২৮, ২:১৩১, ২২:৭৮)। মুহাম্মদ (সাঃ) যে নিজেকে ক্রিয়েটরের মেসেঞ্জার হিসেবে দাবি করেছেন তাতে মনে হয় নন-মুসলিমদেরও কোন দ্বিমত নেই। কারণ এটি একটি ফ্যাক্ট।

প্রশ্ন : মোজেস, যীশুখ্রিস্ট, শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ … প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ কোন্‌ ধর্ম প্রচার করেছেন? মুসলিমরা কেন অন্যান্য ধর্মে বিশ্বাস করতে যাবে, যে নামগুলো তাদের ধর্মগ্রন্থেই নেই! ডাজ ইট মেক এনি সেন্স?

এবার যুক্তির খ্যাতিরে সবগুলো ধর্মের মূল গ্রন্থকে যদি ‘ডিভাইন’ ধরা হয় সেক্ষেত্রে ইসলাম-ই একমাত্র ‘ডিভাইন রিলিজিয়ন’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার কথা। কারণ একমাত্র কোরান ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে সেই ধর্মের নাম পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ধর্মের নাম কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোরান তো তাহলে ঠিকই বলেছে (৩:১৯, ৩:৮৩-৮৫)। এখানে আবেগ বা পক্ষপাতদুষ্টতার কোন স্থান নেই! তিক্ত শুনালেও সত্যকে বা বাস্তবতাকে মেনে নিতেই হবে।

ইসলাম হচ্ছে ‘বেসব্যান্ড সিগনাল’ এর মত। এই ‘বেসব্যান্ড সিগনাল’ এর সাথে যুগে যুগে কিছু ‘নয়েজ’ যোগ হয়ে বিভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করেছে মাত্র। ফলে ধর্ম নিয়ে যারা স্টাডি করেনি তারা মনে করে এই পৃথিবীতে অনেকগুলো ধর্ম ও ক্রিয়েটর আছে! প্রকৃতপক্ষে এই পৃথিবীতে একটিই ধর্ম ছিল এবং এখনো আছে আর সেটি হচ্ছে ইসলাম (Peace and surrender to Creator’s Will)। গীতা ও বাইবেলেও ইসলাম (Surrender to Creator’s Will) শব্দ আছে (Gita 12:11, 18:66; John 5:30)।

আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একটি গ্রুপ যেখানে বিভিন্ন চোরা গলির আশ্রয় নিয়ে ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য লেগে আছে, মুসলিমরা কিন্তু কখনোই তা করে না। মুসলিমরা মূলতঃ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের আলোকেই তাদের মৌলিক বিশ্বাসকে সংশোধন করার চেষ্টা করে, যেটা এই লেখাটি পড়লে অনেকটা পরিষ্কার হওয়ার কথা। মুসলিমরা কখনোই অন্যান্য ধর্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে না; কারণ তারা নিশ্চিত যে, অন্য যে কোন ধর্ম সত্য হলেও সেটা ইসলামকে কোনভাবেই ফলসিফাই করতে পারে না, বরঞ্চ বিপরীতটাই সত্য হতে পারে।

নাস্তিকদের সাথে ডিবেট : নাস্তিকদের সাথে ডিবেটের শুরুতেই তাদেরকে স্ব-স্ব ধর্ম ত্যাগের যৌক্তিক কারণ জিজ্ঞেস করতে হবে। কেহ যদি কারণ বলতে না চায় তাহলে বুঝতে হবে যে সে আসলে নাস্তিক নয়, প্রতারক। এরকম প্রতারক কিন্তু অনেক আছে। যাহোক, যারা এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটরে বিশ্বাস করে না তাদেরকে প্রথমেই কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে হবে। যেমন : তারা কেন এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটরে বিশ্বাস করে না; তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে সলিড যুক্তি-প্রমাণ আছে কি-না; কী ধরণের যুক্তি-প্রমাণ দেখালে তারা ক্রিয়েটরে বিশ্বাস করবেন এবং কেন। এই প্রশ্নগুলো ছুঁড়ে দেওয়ার সাথে সাথে দেখবেন যে তাদের পৃথিবী ছোট হয়ে শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে! অর্থাৎ নাস্তিকদের সাথে প্রথমে ডিবেট করতে হবে ক্রিয়েটরের অস্তিত্ব নিয়ে। এ বিষয়ে পজেটিভ উপসংহারে না পৌঁছা পর্যন্ত কোরানে যাওয়াটা কিন্তু একদমই অর্থহীন। তবে কোরানকে একটি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু কোরান ক্রিয়েটরের বাণী কি-না - এ নিয়ে তাদের সাথে বিতর্কে যাওয়া যাবে না। নাস্তিকরা যেহেতু ক্রিয়েটরেই বিশ্বাস করে না সেহেতু তাদের অবস্থান এই ডোমেইনের বাহিরে। এবং তাদের যেহেতু কোন মাপকাঠিও নেই সেহেতু তারা কিন্তু বলতেও পারবে না যে, কোরান ক্রিয়েটরের বাণী নয়। এমন কথা বলতে হলে যৌক্তিক কেস দাঁড় করাতে হবে, যেটা তারা পারবে না। সর্বশেষে তাদেরকে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া যেতে পারে : কোরানকে অত্যন্ত জোর দিয়ে ক্রিয়েটরের বাণী বলে দাবি করা হয়েছে এবং তার স্বপক্ষে অনেক যুক্তি-প্রমাণও আছে - এর পরও তারা কোরানে বিশ্বাস করে না কেন? অর্থাৎ বল সবসময় তাদের কোর্টেই রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আস্তিকদেরকে অফার করার মত নাস্তিকদের হাতে কিছুই নেই এবং কোনদিন থাকবেও না। নাস্তিকতা আসলে একটি ইল্লজিক্যাল, ইরাশনাল ও আন-প্র্যাগম্যাটিক বিশ্বাস - একদমই অন্ধ বিশ্বাস।

কামরান মির্জা, আবুল কাশেম, আযগর ও আলী সিনার মত স্বঘোষিত ইযলামিক মুরতাদদের ধরাশায়ী করার সহজ একটি উপায় হচ্ছে, তারা আদৌ কখনো মুসলিম ছিল কি-না তার স্বপক্ষে যুক্তি-প্রমাণ সহ তারা কেন ইসলাম ত্যাগ করেছে তার উপর কোরানের আলোকে অবজেক্টিভ কেস দাঁড় করাতে বলা। (নোট : ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ইহুদী হওয়া গেলেও মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেই কিন্তু মুসলিম হওয়া যায় না! কারণ ‘মুসলিম’ কোন রেস নয়। মুসলিমত্ব অর্জন করতে হয়।) অবজেক্টিভ কেস দাঁড় করাতে বললেই দেখবেন যে তাদের হাঁটু কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে! আমি এ পর্যন্ত কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু কেহই সাহস করে এগিয়ে আসেনি। তাদের মধ্যে কামরান মির্জা ও আযগর অন্যতম। কারণ এই প্রভুভক্ত দাস-দাসীরা খুব ভালভাবেই জানে যে তারা জনগণের সামনে ধরা খেয়ে যাবে! ফলে প্রভুদের কাছে তাদের আর কোন মূল্য থাকবে না! আগেই বলেছি, মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে মানুষ অজ্ঞতাবশত নাস্তিক বা ধর্মান্তরিত হয়। কেহই গবেষণা করে ইসলাম ত্যাগ করে না। বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে (যেমন : ৯-১১ নাটক, মিডিয়া প্রোপাগান্ডা, লোভ-লালসা, তিক্ত অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি) ইসলাম ত্যাগের পর ‘গবেষণা’ শুরু করে তাদের না-বিশ্বাসকে জাস্টিফাই করার বৃথা চেষ্টা করে। সেই সাথে আবুল কাশেম, কামরান মির্জা, আলী সিনা, আযগর ও আয়ান হিরসি আলীর মত দাস-দাসীরা আবার বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রভুদের খুশী করার জন্যও আপ্রাণ চেষ্টা করে! তারপর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে ইচ্ছে হলেও আর ফেরা সম্ভব হয় না। মজার বিষয় হচ্ছে, এই পা-চাটা দাস-দাসীরা ইসলাম ত্যাগের ঘোষণা দিয়ে একদিকে যেমন ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও অপপ্রচার চালাতে থাকে অন্যদিকে আবার প্রভুদের ধর্মকে ডিফেন্ড করারও চেষ্টা করে! এমনকি বুশের মত ম্যাস মার্ডারারকেও তারা প্রকাশ্যে সমর্থন করতে দ্বিধা করে না। অন্য কোন ধর্মে এরকম অস্বাভাবিক মুরতাদ খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এ কারণেই ইযলামিক মুরতাদদের এত বেশী ডিম্যান্ড! এই ফুলহার্ডি দাস-দাসীদের মহা-জ্ঞানী, মহা-বিজ্ঞানী, মহা-দার্শনিক, মহা-মানবতাবাদী ইত্যাদি খেতাবে ভূষিত করে ভাঙ্গা কুলার মত ব্যবহার করা হচ্ছে!

ইহুদীদের সাথে ডিবেট : জুদাইজম ও ইসলাম সবচেয়ে কাছের দুটি ধর্ম, যদিও একটি মহল প্যালেস্টাইন-ইসরাইল ইসুকে ‘ইসলাম বনাম জুদাইজম’ বানিয়ে দিয়ে এবং কোরান থেকে দু-একটি বিচ্ছিন্ন আয়াত কোট করে ইহুদী ও মুসলিমদের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ দুটি ধর্মের মধ্যে থিওলজিক্যাল কোন পার্থক্য নেই। যেমন উভয়েই একক ও অদৃশ্য ক্রিয়েটর এবং ক্রিয়েটরের মেসেঞ্জারে বিশ্বাস করে। তাছাড়াও অনেক মিল আছে। তবে এই দুটি বিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে ধর্মে একক ক্রিয়েটর ও মেসেঞ্জারে বিশ্বাস করা হয় তার সাথে ইসলামের কোন সংঘর্ষ নেই। কারণ সেটাই ইসলাম। তবে ইহুদী মোল্লারা জুদাইজমকে একটি রেসিস্ট ধর্ম বানিয়ে ফেলেছে। কেহ ইচ্ছে করলেই কিন্তু ইহুদী হতে পারে না, এমনকি জুদাইজমে ধর্মান্তরিত হলেও! ইহুদী হতে হলে তাকে ইহুদী মাতা-পিতার ঘরে জন্মাতে হবে। যাহোক, ইহুদীদের সাথে মুসলিমদের ধর্ম নিয়ে ডিবেটের কিছুই নাই। কারণ ইহুদীরা যাঁদের প্রফেট হিসেবে বিশ্বাস করে মুসলিমরাও তাঁদের প্রফেট হিসেবে বিশ্বাস করে। ইহুদীদের যেটা বুঝানো যেতে পারে সেটা হচ্ছে, তাদের ধর্মগ্রন্থেই একটি প্রফেসি আছে এবং সেই প্রফেসি প্রফেট মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কারো প্রতি ফিট করে না (Deuteronomy 18:18-19)। এমনকি হিব্রু বাইবেলে প্রফেট মুহাম্মদের নাম পর্যন্ত উল্লেখ আছে (Song of Solomon 5:16)। ফলে তাদের জন্য ইসলাম একটি ‘ইভলুশন’ বা ‘স্টেপিং স্টোন’ এর মত। মুসলিমরা যেহেতু ইহুদীদের প্রফেট মোজেসকেও প্রফেট হিসেবে বিশ্বাস করে সেহেতু তাদের (মুসলিমদের) হারানোর কিছু নাই। তাছাড়া মুসলিমরা কিন্তু বাইবেলকে সর্বসমেত প্রত্যাখ্যানও করে না। এমনকি মডারেট ইহুদী ও খ্রিস্টানরাও কিন্তু বাইবেলকে পুরোপুরি ক্রিয়েটরের বাণী হিসেবে বিশ্বাস করে না! প্রকৃতপক্ষে, ইসলাম থেকে জুদাইজমে যাওয়া মানে ব্যাকওয়ার্ড ডিরেকশনে ইভল্ভ করা। তাছাড়া বাইবেল অনুযায়ী ‘জুদাইজম’ নামে তো কোন ধর্মই নেই! অতএব বল কিন্তু ইহুদীদের কোর্টেই থাকছে।

খ্রিস্টানদের সাথে ডিবেট : বাইবেল ও কোরানের মধ্যে অনেক দিকে দিয়ে মিল থাকলেও খ্রিস্টানিটি ও ইসলামের থিওলজি একে অপরের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। কারণ খ্রিস্টানরা তাদের থিওলজিকে চেঞ্জ করে ফেলেছে। যার জন্য কোরানে খ্রিস্টানদের কিছু বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বা একদম বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর সাথে যীশুখ্রীস্টের টিচিং এর কোন সম্পর্ক নেই। যেমন :

- ট্রিনিটি : যীশুখ্রীস্ট নিজে কখনো ‘ট্রিনিটি’ বলে কিছু প্রচার করেননি। তাঁর মৃত্যুর অনেক পর খ্রিস্টানিটির সাথে ‘ট্রিনিটি’ যোগ করা হয়েছে। এমনকি বাইবেলে ‘ট্রিনিটি’ বলে কোন শব্দই নেই।

- যীশুখ্রীস্টের ডিভিনিটি : বাইবেলের কোথাও যীশুখ্রীস্ট নিজেকে ক্রিয়েটর বলে দাবি করেননি বা তাঁকে ওয়ার্শিপের কথাও বলেননি। তিনি নিজেই বরঞ্চ ক্রিয়েটরের ওয়ার্শিপার ছিলেন (Matthew 26:39, Luke 5:16)।

- ক্রুসিফিকশন ও রিজারাকশন : According to Christians, Jesus (God?) was killed by his enemies, i.e. Jews, and then he was resurrected from dead himself! Isn’t it funny!

- অরিজিনাল সিন (According to Christians, you are a born sinner and as such destined to hell! Jesus died (was killed?) for your sins to save you from hell! He loves you! Although it might convince some emotional or gullible people but this is the stupidest belief ever! God died for your sins!) : যীশুখ্রীস্ট নিজে কখনো ‘অরিজিনাল সিন’ বলে কিছু প্রচার করেননি।

এই বিশ্বাসগুলোর যেমন লজিক্যাল ও রাশনাল কোন ভিত্তি নেই তেমনি আবার যীশুখ্রীস্টের টিচিং এর সাথেও কোন সম্পর্ক নেই। আর এ কারণেই কোরানে এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। খ্রিস্টানিটির সাথে শত্রুতা করে প্রত্যাখ্যান করা হয়নি! প্রকৃতপক্ষে, জুদাইজম ও ইসলামের মাঝে খ্রিস্টানিটি একটি ডেভিয়েশন। কোরানে খ্রিস্টানদের ডেভিয়েশনকে সংশোধন করা হয়েছে (১৬:৬৪, ৫:১৫, ২৭:৭৬, ৫:৪৮)। কোরান-ই সম্ভবত একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেখানে প্রচলিত কিছু বিশ্বাসকে লিখিতভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই বিশ্বাসগুলো সত্যি সত্যি ফলস না হলে কোরানে বাতিল করা হতো না নিশ্চয়। কারণ প্রফেট মুহাম্মদ ইচ্ছে করলে এগুলো এড়িয়েও যেতে পারতেন। উদাহরণস্বরূপ, যীশুখ্রীস্টের ক্রুসিফিকশন নিয়ে প্রফেট মুহাম্মদের মনে যদি সন্দেহ থাকতো তাহলে এই বিষয়টাকে অত্যন্ত জোর দিয়ে বাতিল করা তো দূরে থাক কোরানে উত্থাপন-ই করা হতো না (৪:১৫৭-৮)। এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, কোরান প্রফেট মুহাম্মদ বা কোন মানুষের বাণী নয়। ছয়শত বছর আগের একটি ঘটনাকে কোন মানুষ কি এতটা জোর দিয়ে বাতিল করে দিতে পারে? এই আয়াত যদি সত্য হয় তাহলে, বাইবেল অনুযায়ী, ‘খ্রিস্টানিটি’ বলে কোন ধর্ম থাকবে না। কারণ ‘খ্রিস্টানিটি’ নামক ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে যীশুখ্রীস্টের ক্রুসিফিকশন ও রিজারাকশনের উপর ভিত্তি করে (1 Corinthians 15:14-17), যেটা একটি অবিশ্বাস্য রকমের ইভেন্ট। এটি এমন একটি ইভেন্ট যেটা তারা প্রমাণও করতে পারবে না। ফলে কোরানকেও কিন্তু তারা ফলসিফাই করতে পারবে না। তবে খ্রিস্টান স্কলারদের সাথে ডিবেটে মুসলিম স্কলাররা বাইবেলের সাহায্যেই যীশুখ্রীস্টের ক্রুসিফিকশন ও রিজারাকশনকে ফলসিফাই করেছেন। আগ্রহী পাঠক গুগল ভিডিও ও ইউটিউবে সার্চ দিয়ে ডিবেটগুলো দেখে নিতে পারেন।

নিউ টেস্টামেন্টেও একটি প্রফেসী আছে (John 16:7-9, John 16:12-13)। কোরানে দাবি করা হয়েছে যে, মুহাম্মদ-ই হচ্ছেন ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্টে উল্লেখিত প্রফেট (৭:১৫৭, ৬১:৬)। মুসলিমরা যেহেতু যীশুখ্রীস্টকে প্রফেট হিসেবে বিশ্বাস করে, যেটা বাইবেলেও লিখা আছে (Matthew 21:11, Luke 24:19) এবং যেটা লজিক্যাল ও রাশনাল একটি বিশ্বাস, সেহেতু তাদের (মুসলিমদের) হারানোর কিছু নাই। ফলে খ্রিস্টানদের জন্যও ইসলাম একটি ‘স্টেপিং স্টোন’ এর মত। খ্রিস্টান স্কলাররা আসলে তাদের বিশ্বাসের স্বপক্ষে তেমন কোন যুক্তি-প্রমাণ-ই দাঁড় করাতে পারে না। পারার কথাও না। কারণ তারা অবিশ্বাস্যকে বিশ্বাস করে! লজিক্যালি, ইসলাম থেকে খ্রিস্টানিটিতে যাওয়া মানে মহাকাশ গবেষণার জন্য নাসা ছেড়ে আফগানিস্তানের কোন এক প্রাইমারী মাদ্রাসাতে যাওয়া, বা তার চেয়েও অযৌক্তিক কিছু, যার কোন অর্থ-ই হয় না। অধিকন্তু, বাইবেল অনুযায়ী ‘খ্রিস্টানিটি’ নামেও তো কোন ধর্ম নেই! ফলে বল কিন্তু খ্রিস্টানদের কোর্টেই থাকছে।

হিন্দুদের সাথে ডিবেট : কোরান-হাদিসের কোথাও হিন্দু, হিন্দুইজম, বেদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, অবতার, রাম, কৃষ্ণ … ইত্যাদি বলে কোন শব্দই নেই। এর পরও হিন্দুরা দাবি করে ইসলামে নাকি তাদেরকে ইন‌সাল্ট করা হয়েছে! কীভাবে যে তাদের ইন‌সাল্ট করা হয়েছে কে জানে! কারণ কোরান-হাদিসে হিন্দুইজমের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই নেই। তবে কোরানে আইডলেটরি ও পলিথিইজমকে কনডেম করা হয়েছে। এজন্য যদি তারা ইন‌সাল্ট ফিল করে তাহলে কিছু কথা আছে। যেমন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোতেই আইডলেটরি ও পলিথিইজমকে কনডেম করা হয়েছে যেগুলো হিন্দুরা সহজে উত্থাপন করে না (Yajurveda 40:8-9; Gita 7:20, 7:23, 9:25; Svetasvatara Upanishad 4:19-20, 6:9)। তারা সাধারণ মানুষকে অন্ধকারে রাখতে চায়। এই স্লোকগুলোতে আইডলেটরি ও পলিথিইজমের স্থান কোথায়? তাছাড়া গীতাতে শ্রীকৃষ্ণ একদম পরিষ্কার করেই বলেছেন যে, তাঁকে (শ্রীকৃষ্ণকে) ওয়ার্শিপ না করলে কোন সালভেশন নেই (গীতা ৭:২৩, ৯:২৫)। তাহলে হিন্দুইজমে পলিথিইজম ও যত-মত-তত-পথ কে-ই বা সমর্থন করা হলো কীভাবে? গীতাতে কিন্তু নাস্তিকদেরও অত্যন্ত নির্দয়ভাবে কনডেম করা হয়েছে, যেটা অনেকেই জানে না বা জেনেও চেপে যাওয়া হয় (গীতা ৪:৪০, ১৬:৬-২০, ৭:১৫, ১৭:২৮, ১৮:২৭-২৮)। যাহোক, কোরানে আসলে প্যাগানদের এ্যাড্রেস করা হয়েছে। এখন হিন্দুরা যদি নিজেদেরকে প্যাগান ভেবে গায়ে পড়ে কোরানকে শত্রু মনে করে তাহলে তো কোরানের কিছু করার নাই! এমনকি কিছু হিন্দু স্কলারও আইডলেটরির বিরুদ্ধে ছিলেন। যেমন রাজা রামমোহন রায়। হিন্দু স্কলাররাই যেখানে আইডলেটরির বিরুদ্ধে সেখানে মুসলিমদের উপর দোষ চাপানো কতটা নৈতিক? অধিকন্তু, জুদাইজম, খ্রিস্টানিটি ও শিখিজমেও যেখানে আইডলেটরি ও পলিথিইজমকে কনডেম করা হয়েছে সেখানে শুধু ইসলামের উপর ক্ষোভের কারণটা কী! বরঞ্চ বাইবেলে যেভাবে আইডলেটরি ও পলিথিইজমকে কনডেম করা হয়েছে সেভাবে কিন্তু কোরানে করা হয়নি। কারণ আইডলেটরি ও পলিথিইজমের জন্য কোরানে কোনরকম পার্থিব শাস্তির বিধান নেই (২২:১৭, ৬:১০৭-১০৮, ২২:৬৭-৬৯, ৪:৪৮), যেটা বাইবেলে মৃত্যুদন্ড (Deuteronomy 17:3-5, 13:6-16; 2 Chronicles 15:13)।

যাহোক, হিন্দুদের সাথে ডিবেটের শুরুতেই তাদের যেটা বুঝানো যেতে পারে সেটা হচ্ছে : মুসলিমরা এই মহাবিশ্বের একজন অদৃশ্য ক্রিয়েটরে বিশ্বাস করে (১১২:১-৪, ৫৯:২৪, ৬৭:১২, ৩৬:১১); কোরান অনুযায়ী তাঁর নাম আল্লাহ্‌; কোরানের সাথে আল্লাহ্‌র সম্পর্ক হচ্ছে, কোরান আল্লাহ্‌র বাণী যেটা প্রফেট মুহাম্মদের মাধ্যমে মানব জাতির গাইডেন্সের জন্য পাঠানো হয়েছে (১৪:১, ২৫:১, ৫৭:৯, ৩৪:২৮, ৫৪:৪০); কোরান যে আল্লাহ্‌র বাণী তার স্বপক্ষে যুক্তি-প্রমাণ সহ বেশ কিছু জোরালো কেস দাঁড় করানো হয়েছে; এটি অত্যন্ত লজিক্যাল ও রাশনাল একটি বিশ্বাস, কোনভাবেই অন্ধ বিশ্বাস নয়। তারপর তাদের কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া যেতে পারে। যেমন :

- বেদ-গীতা অনুযায়ী এই মহাবিশের ক্রিয়েটরের নাম কী? হিন্দুইজমের নামে শত শত ধর্মগ্রন্থ লিখা হয়েছে। সবগুলো ধর্মগ্রন্থই কি ক্রিয়েটরের বাণী নাকি কোন কোনটি? যে সকল ধর্মগ্রন্থকে ক্রিয়েটরের বাণী হিসেবে বিশ্বাস করা হয় সেই সকল ধর্মগ্রন্থের সাথে ক্রিয়েটরের কোন সম্পর্ক আছে কি-না। যদি থেকে থাকে তাহলে কেমন সেই সম্পর্ক এবং তার স্বপক্ষে যুক্তি-প্রমাণ আছে কি-না।

- ‘ক্রিয়েটরের অবতার’ বলতে ঠিক কী বুঝানো হয়? আমাদেরই মত মানুষ, যেমন শ্রীকৃষ্ণ, যে এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর তার প্রমাণ কী? তিনি নিজেকে ক্রিয়েটরের অবতার (Creator of the universe in human form?) বলে দাবি করেছেন কি-না? যদি দাবিই না করে থাকেন তাহলে একজন মৃত মানুষকে ক্রিয়েটর হিসেবে ওয়ার্শিপ করার মধ্যে যৌক্তিকতা কোথায়! এমনকি তিনি যদি দাবি করেও থাকেন তাহলে তার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ আছে কি-না। কারণ এটি সকল প্রকার যুক্তি ও কমনসেন্স বহির্ভূত অবিশ্বাস্য রকমের একটি দাবি। এরকম একটি দাবিকে সহজে বিশ্বাস করা যায় না। যারা হিন্দুইজম সম্বন্ধে কিছুই জানে না তাদেরকে শ্রীকৃষ্ণের ছবি দেখিয়ে এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর হিসেবে যদি বিশ্বাস করতে বলা হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু তারা বিষয়টিকে স্রেফ পাগলামো বলে উড়িয়ে দেবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ক্রিয়েটরের অবতারে বিশ্বাস যেমন ন্যাচারাল নয় তেমনি আবার কমনসেন্সের মধ্যেও পড়ে না। এমনকি ধর্মগ্রন্থ দিয়েও কিন্তু একজন মানুষকে লজিক্যালি ক্রিয়েটরের অবতার প্রমাণ করা অসম্ভব। এটি আসলে ধর্মগ্রন্থ বহির্ভূত একটি বিশ্বাস। ধর্মগ্রন্থে লিখা আছে তাই বিশ্বাস করা হয়। এর চেয়ে বেশী কোন যুক্তি-প্রমাণ নাই। ক্রিয়েটরের অবতারে বিশ্বাসীরা কিন্তু ‘সার্কুলার আর্গুমেন্ট’ থেকে কখনোই বেরুতে পারবে না। যেমন : আপনি কীভাবে জানলেন যে আমাদেরই মত একজন মানুষ এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর? ওয়েল, ধর্মগ্রন্থে লিখা আছে তাই। ধর্মগ্রন্থ যে সত্য সেটা কীভাবে জানলেন? ওয়েল, ধর্মগ্রন্থে লিখা আছে (?) তাই!

- কিছু মানুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে ক্রিয়েটর থেকে মেসেজ পাওয়ার পর নিজেদেরকে ক্রিয়েটরের মেসেঞ্জার হিসেবে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি সত্য নাকি মিথ্যা সেটা পরের কথা (But their claim makes sense)। কিন্তু ক্রিয়েটরের অবতারদের ব্যাপারটা কী? তাঁরা কি হঠাৎ করে একদিন বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁরা এই মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর? তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে যাবে! কারণ একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ক্রিয়েটর নিজেই জানতেন না যে তিনি ক্রিয়েটর! আসল ঘটনাটা কী?

- কোরানের সাথে প্রফেট মুহাম্মদের যেমন সম্পর্ক - গীতার সাথে শ্রীকৃষ্ণের যেমন সম্পর্ক --- তেমনি বেদের সাথে কার সম্পর্ক? চার খন্ড বেদের লেখক একজন নাকি একাধিক? তাঁদের নাম কী? তাঁরা ক্রিয়েটরের অবতার নাকি মেসেঞ্জার নাকি শুধুই মুনি-ঋষি ছিলেন?

- বেদে ‘সামসারা’ (পুনঃ পুনঃ জন্ম-মৃত্যু - যাকে বলে জন্মান্তরবাদ) ও ‘ক্রিয়েটরের অবতার’ এর স্বপক্ষে কোন স্লোক আছে কি-না? যদি না থাকে তাহলে এগুলোকে কে বা কারা এবং কোন্‌ অথরিটির মাধ্যমে হিন্দুইজমের সাথে যোগ করেছে এবং কেন? বেদের ফিলসফির মধ্যে সমস্যা কোথায়?

- জন্মান্তরবাদের কোন প্রমাণ আছে কি-না? জন্মান্তরবাদ সত্য হলে তো প্রত্যেকেরই জানার কথা। অন্যথায় একজন মানুষ কীভাবে বুঝবে যে তার পুনঃ পুনঃ জন্ম-মৃত্যু হচ্ছে? কীভাবে বুঝবে যে সে আগের জীবনে শূদ্র ছিল, এই জীবনে ব্রাম্মণ হয়ে জন্মেছে? অথবা আগের জীবনে কুকুর ছিল, এই জীবনে শূদ্র হয়ে জন্মেছে? ব্রাম্মণ কখনো শূদ্র বা নিম্ন শ্রেণীর প্রাণী হয়ে জন্মায় কি-না? নিম্ন শ্রেণীর প্রাণীরা তো ভাল-মন্দ কিছু বোঝে না। এমনকি প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তাদেরকে হত্যাও করা হয়। ফলে তাদের মৃত্যুর পর তারা মানুষ নাকি অন্য কিছু হয়ে জন্মাবে - সেটা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? একজন মানুষ নির্ভানাতে আদৌ পৌঁছল কি-না তারই বা প্রমাণ কী?

- অন্য কোন ধর্ম থেকে কেহ হিন্দুইজমে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সে ব্রাম্মণ নাকি শূদ্র নাকি অন্য কোন জাতের অন্তর্ভূক্ত হবে - সেটা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? নন-হিন্দুদের জন্য জন্মান্তরবাদ প্রযোজ্য কি-না? যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে সেটা কীভাবে সম্ভব?

- এই পৃথিবীতে দিন দিন অপরাধ বেড়েই চলছে। তাহলে তো জন্মান্তরবাদ অনুযায়ী মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমার কথা, বিশেষ করে মুসলিমদের সংখ্যা! এবং সেই সাথে শূদ্র ও নিম্ন শ্রেণীর প্রাণীদের সংখ্যা বাড়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, সার্বিকভাবে মানুষ যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি আবার মুসলিমদের সংখ্যা আরো বেশী হারে বাড়ছে! পাসাপাসি শূদ্র ও নিম্ন শ্রেণীর প্রাণীদের সংখ্যা আবার দিন দিন কমে আসছে। তাহলে ‘জন্মান্তরবাদ’ কি একটি ফলস ডক‌ট্রিন? এমন যদি হয় যে, একমাত্র ব্রাম্মণ ছাড়া সকল মানুষ ও জীব-জন্তু একদিন বিলীন হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে হিন্দুইজমের এই ফিলসফির কি কোন মূল্য থাকবে?

- হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী একমাত্র ব্রাম্মণ ছাড়া সকল মানুষ ও জীব-জন্তু কোন না কোনভাবে ইভিল আঁত্মা (ইভিল মানুষের পাপ বা অভিশাপের বোঝা) বহন করছে। কারণ তাদের ফিলসফি অনুযায়ী একমাত্র ব্রাম্মণের ঘর ছাড়া জন্মগ্রহণ করা মানেই পূর্ববর্তী জীবনের পাপ বা অভিষাপের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্মগ্রহণ করা। এই ফিলসফি কতটুকু যৌক্তিক ও মানবিক? শিশু বাচ্চা, মৎস, পশু-পাখি ও কীট-পতঙ্গরা কেন অন্যের পাপ বা অভিশাপের বোঝা মাথায় নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে যাবে! ডাজ ইট মেক এনি সেন্স?

- হিন্দুইজমের ফিলসফি অনুযায়ী হিটলারের সর্বোচ্চ শাস্তি কী হতে পারে? শূদ্র বা নিম্ন শ্রেণীর কোন প্রাণী হয়ে জন্মানো? তাহলে শূদ্র ও পশু-পাখিদের কি চরমভাবে ইনসাল্ট করা হলো না! ডাজ ইট মেক এনি সেন্স?

সর্বোপরি, হিন্দু স্কলাররা নিজেরাই যদি হিন্দুইজমে বিশ্বাসের স্বপক্ষে যৌক্তিক কেস দাঁড় করাতে না পারেন সেক্ষেত্রে নন-হিন্দুদের হিন্দুইজমে বিশ্বাস করতে বলাটা কিন্তু অযৌক্তিক। অতএব বল কিন্তু তাদের কোর্টেই থাকছে।

বৌদ্ধ, জেইন ও শিখদের সাথে ডিবেট : হিন্দুইজমের ফিলসফির সাথে বুদ্ধিজম, জেইনিজম ও শিখিজমের ফিলসফির কিছু কিছু দিক দিয়ে মিল আছে : যেমন জন্মান্তরবাদ। তবে তারা নিজেরাই যেহেতু তাদের ধর্মগ্রন্থকে ক্রিয়েটরের বাণী হিসেবে বিশ্বাস করে না সেহেতু বুদ্ধিজম, জেইনিজম ও শিখিজমে বিশ্বাসের কোনই যৌক্তিকতা নেই এবং এই ধর্মগুলো নিয়ে ডিবেটেরও কিছু নাই। কনফিউশিয়্যানিজম, তাওজম ও শিন্টোর ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। এগুলো সবই একেক জন মানুষের ফিলসফি - সেভাবেই বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু মানুষ হয়ে মানুষের ফিলসফিতে বিশ্বাসের কী আছে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে, মানুষ তো মানুষকে সালভেশন অফার করতে পারে না! একমাত্র ক্রিয়েটরই মানুষকে সালভেশন অফার করতে পারেন (৮৫:১১, ৪:১২২, ১৪:২৩, ১৯:৬০-৬১, ৩২:১৯, ২:২৫, ২:১১২, ১৬:৯৭, ৪:১২৪)। আর মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য-ই হচ্ছে ভবিষ্যৎ তথা আলটিমেট সালভেশন। তবে কাঠ-পাথরের মত যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে অনিচ্ছুক তাদের কথা আলাদা। তারা তো এই ডোমেইনেরই বাহিরে। ফলে এ বিষয়ে কোনরকম মন্তব্য করার যৌক্তিক অধিকারও তাদের নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২১
৩২টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড. ইউনুসের বক্তব্যের ব্যাবচ্ছেদ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২০

আজ সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শুনলাম। প্রায় ৩৫ মিনিটের এই বক্তৃতা অনেকের কাছে হয়তো ঘ্যানঘ্যানানি আর প্যানপ্যানানির মতো মনে হতে পারে, কিন্তু আমি একজন রাজনৈতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৪৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



আজ ২৫ রোজা।
এই তো সেদিন রোজা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ২৪ টা রোজা শেষ হয়ে গেলো। সময় কত দ্রুত চলে যায়! আগামী বছর কি রমজান... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯



অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

ওসির নির্দেশ মতো ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব লাশ পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার সহ তিনজন কনস্টেবল যথাস্থানে তৈরি ছিলেন। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ওনাদের।খানিক বাদেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

It is difficult to hide ল্যাঞ্জা

লিখেছেন অধীতি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

এক গর্দভ ইউটিউবার ৭১কে ২৪এর থেকে বড় বলতে গিয়ে আমাদের শিখায় যে ৭১ বড় কারণ সেটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়ে ছিল। আর আপামর জনসাধারণ সেটায় অংশগ্রহণ করেনি। এই হলো যুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×