পিতা, তোমার কষ্টটুকু ভুলে যাই নি
স্বর্গ থেকে পরিত্যক্ত তুমি,
গৃহহীন, গিরি নির্বাসিত, নাভির কুটিরে সেলাই করা খিদের যন্ত্রণা, মন্বন্তর
উপরন্তু লজ্জার সঞ্চয় গোপন জননে
তাপনিরোধী কীটের কোকুন ঝুলছিল তুঁত গাছে
পাশ দিয়ে হেটে গিয়েছে বুনো ভালুক, বেবুন
তাছাড়া কাঠবেড়ালী; পশমের জ্যাকেটে তার লোমশ শরীর;
হিমেল শিশিরের কষ্টে ঠক ঠক ভিজেছিল শুধু মানুষ, তুমি ও মা
জলপাই পাতায় ঢেকে নিজেকে
আদমসুরতের খোলা তলোয়ারের মতো অনাবৃত তনু নিয়ে বিষম আপদে
কাঁকড়ার ঢালাই বাহু সুস্বাদু মাছ ধরে, আর পাথরটুকু পারত না তোমার আঙুল,
আর্মাড খোলসে ঢাকা অতিকায় কাছিম, আলোক মাছ, জোনাক মাছি
লুসিফারিন দীপ্ত চোখ নেই, নিকষ আঁধার
পলকা শরীরে ডিমের দ্বিতীয় পর্দার মত ফিন ফিনে ত্বকের নবজাতক পাশে নিয়ে, আইভির বিষে
তুমি ভেসেছ ঢলে ভেলায়
রূপসী গুহায় চোখ বন্ধ করে অশিল্পের আঁচড়ে ভাষাহীন
স্বর্গ-চ্যুত পিতার সন্তান আমরা ভুলে যাই নি সেই যন্ত্রণার যুগ
দাবানলে, বৃষ্টি খরায় কোন প্রার্থনা শোনে না কেউ
ভুল সঙ্কুল পথ, স্বার্থের দ্বন্দ্বে যুদ্ধ, রক্তের শিরায় পথ চলায়
এভাবেই ভুল পথে মানুষ উঠে এসেছে সূর্যোদয়ে
চোরাবালির ডুবন্ত হাতে, কপালে খুন মেখে
সেই নির্বাসিত তোমার সন্তান
চেয়ে দেখ আজ পিতা,নিসর্গ ও পৃথিবীকে ঘাড়ে নিয়েছে কত অবলীলায়
--
ড্রাফট ০.৫