কবি নজরুলের ভাষায় বলি, গাহি সাম্যের গান............... আমরা সাম্যের গান গাইতে এসেছি। আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের অধিকার সমান। বেঁচে থাকার অধিকার, গলা ছেড়ে গাই গাইবার অধিকার, আপন বিশ্বাসকে লালন করবার অধিকার, মনের মানুষকে ভালবাসার অধিকার, পেটপুরে দুবেলা দুমুঠো খেতে পাবার অধিকার, মেঘলা বাতাসে মন ভাসিয়ে কবিতা লেখার অধিকার সমান।
কিন্তু যুগে যুগে এক শ্রেণীর মানুষ আরেক শ্রেনীর মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছে। সাদারা আইন করে কালোদের দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছে, আর্যরা অনার্যদের, আরবীয়রা অনারবীয়দের, স্ট্রেইটরা গে’দের। পৃথিবীর ধর্মগুলো সবসময় সাম্যের বানী বয়ে এনেছে মানুষের দুয়ারে। কিন্তু যখন সৃষ্টিওকর্তার রাজ্য পৃথিবীতে বহাল তবিয়তে রাখতে আবার মানুষকেই অস্ত্র ধারণ করতে হয়েছে, নির্বিচারে হত্যা করতে হয়েছে ভিন্নমত ধারণকারীদের তখন কোথায় থাকে সাম্যের বাণী! অথচ এই হত্যাকান্ডকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। আলকোরআনের আয়াতে, বাইবেলের ছত্রে, মনু সংহিতার চরনে আপনি এর বাস্তব উদাহরণ খুঁজে পাবেন ।অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে কখনো এসেছে মে দিবস, কখনো এসেছে বায়ান্নোর একুশে ফেব্রুয়ারী আবার কখনোবা স্টোনওয়াল দাঙ্গার মত দিবসগুলো
সমধিকার শব্দটা যেন একটা মুখরোচক শব্দে পরিণত হয়েছে। কথায় কথায় সমধিকারের বুলি আওড়াই কিন্তু সমধিকারের ব্যাপারে কতটুকু কাজ করি সেই বিষয়টাই আমাদের নিকট স্পষ্ট নয়।
সকল বাঁধার প্রাচীর ভেঙে মুক্তিকামী মানুষ মুক্ত আকাশের নিচে সুন্দর এক পৃথিবী গড়ার প্রচেষ্টায় আজো লড়ে যাচ্ছে। কোথাও তারা সফল কোথাও তারা বিফল। আমরা সমধিকারে বিশ্বাস করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২১