সারাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবীতে সোচ্চার, একটা দলের তখন তাদের বাঁচানোর প্রয়াস। আজ সারাদেশে হরতালের ডাক সেটারই একটা নির্লজ্জ উদাহরন।
বলাই বাহুল্য সাধারন জনগন সেই হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। সারাদেশে দোকানপাট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাবসায়ীরা, যানবাহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন সমিতি। সবই ভালো উদ্যোগ। আমার শুধু খটকা লাগছে একটা ব্যাপার নিয়ে, শিক্ষামন্ত্রি নির্দেশ দিয়েছেন সারাদেশে যেন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয় এবং ক্লাস করানো হয়।
মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমার প্রশ্ন, জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবলীলা সম্পর্কে কি আপনি অজ্ঞ? একটা ইউনিভার্সিটির ছাত্রকে বলা যায় এই অবস্থায় ক্লাসে যাওয়ার কথা কিন্তু স্কুল এর ছোট শিশুদের আপনি কিভাবে বাধ্য করেন স্কুলে যেতে? সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নাহয় নামাবেন কিন্তু কোনও অঘটন ঘটলে তার দায় দায়িত্ব নেবে কে? আর নিরাপত্তা কর্মীদের মাধ্যমে যদি হয়রানী হয় তাহলে কি করবেন? শুনছি আজকাল নাকি দাড়ি টুপি পরলেই জামায়াত শিবির ধারনা করা হয়। এমন একজনকে যদি জামায়াত শিবির সন্দেহে পুলিশ ধরে তাহলে সেই বা কিভাবে তাৎক্ষনিক প্রমান করবে যে সে একজন সাধারন মানুষ? সাধারন মানুষ ছদ্মবেশেই তো ওরা হামলা চালায়। কোনও ব্যবস্থা আছে কি আলাদা করার?
আমার এই প্রশ্নের উত্তরগুলো দরকার। দয়া করে কেউ আমাকে ছাগু, রাজাকার ট্যাগ দিবেন না। আমি প্রশ্ন গুলো করেছি একটা সাধারন মানুষের ভিউ থেকে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা আসলে এতটুকু জানায় রাখি, শাহবাগ আন্দোলনে শুরু থেকে প্রত্যক্ষভাবে ছিলাম এখনও আছি।
জয় প্রজন্ম
জয় বাংলাদেশ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮