somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের খোঁজে [পর্ব তিন]

০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ইফেক্টের সাথে কালপুরুষ আর সপ্তর্ষীর খেলা দেখতে দেখতে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমায় পড়েছিলাম। সারাদিনের ধকলে পরিশ্রান্ত ছিলাম বলেই হয়ত পায়ের ব্যাথা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় নাই। ঠিক ফযরের সময় ঘুম ভেঙে গেল। পায়ের তীব্র ব্যাথা অসহ্য মনে হচ্ছিল।মনে হচ্ছিল আমার পা দুটো হাটু থেকে কেউ কেটে নিয়ে গেছে। সবার জন্য ওষুধ বানানোর শিক্ষা লাভ করা স্বত্তেও আমি নিজে ওষুধ খাওয়া ঠিক পছন্দ করি না। খুব প্রয়োজন না পড়লে খাইনা। এখনই একটা পেইন কিলার না খেলে আর বাঁচব না মনে হচ্ছিলো। অসহ্য ব্যাথায় বাধ্য হয়েই পেইন কিলার গিলে আবার ঘুমায় গেলাম।

সকালে টীম মুভ করার কথা সকাল ৬টায়। আজ থেকেই আমাদের কাজ শুরু হবে। বিরাট বাক্লাই ফলস মাপামাপির কাজ। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি একটা টীম মুভ করে চলে গেছে। আরাম প্রিয় আমাদের কয়েকজনকে ডেকে আর কষ্ট দেয়নি। (তারা বেশ সজ্জন পাবলিক। আমি টীম লিডার হইলে সবাইরে লাত্থি মাইরা উঠাইতাম)। এই জ্ঞান হতেই নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে দৌড় দিলাম। রাতে যেই পথে জুম ঘরে নেমে ছিলাম সকালের আলো তে সেই পথ দেখে কিছুটা হলেও ভিমড়ি খাওয়ার জোগার। চোখের সামনে একটা খাড়া পথ, প্রায় ৭০০ফুট খাড়া পথ।পাশেই খাদ। রাতে তো কিছু না দেখেই তরতর করে নেমে গেছি। এখন দিনের আলোয় উঠতে গিয়ে জ্বিব বের হয়ে গেল। ঝিড়ি ধরে হাটা শুরু করলাম। ঝর্নার মুখে পৌছে দেখি ইতোমধ্যেই ফরোয়ার্ড টীম উপর থেকে নীচের দিকে দরি ফেলে দিয়েছে। ঢাকা থেকেই আমরা ৪০০ফুটের দরি ১০ফুট পর পর মার্ক করে নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক হিসাবে বাকলাই ফলস এর উচ্চতা পাওয়া গেল প্রায় ৩৭০ফুট(+/- ২০)। ঝর্নার চূড়ায় জিপিএস দিয়ে নেয়া হল লোকেশনের জিও কো-অর্ডিনেশন আর অল্টিটিউড। এখন নেয়া শুরু করলাম ঝিড়ির পানি প্রবাহের রিডিং। বাকলাই ফলসের উপর থেকে নীচটা দেখা যায় না। ঠিক সামনের জুম পাহাড় গুলোকে স্বর্গীয় মনে হয়।

ঝিড়িতে বসেই আমরা চা-কফি খেয়ে চাঙা হয়ে গেলাম। এখন আমরা যাব ঝর্নার আপ-স্ট্রীমে, এর উৎস খুঁজে বের করতে। আবার হাটা শুরু করলা। কিছুক্ষনের মধ্যেই ঢুকে গেলাম এক অন্য রাজ্যে। সেটার কাহিনী আরেকদিন বলব।

বাকলাই ফলসের উপরের কিছু ছবিঃ







উপরের সব কয়টি ছবি
bangla trek
থেকে নেয়া।
৩৭টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

“বিবেকহীনদের জন্য কিছু প্রশ্ন”

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফেসবুকে দেখি কিছু মানুষ “আপা আপা” বলে চাটুকারিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মনে হয় তাদের আত্মা পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে, তবু তারা অন্ধভক্তি ছাড়বে না! প্রশ্ন হলো—আপনারা কি সত্যিই অন্ধ, নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সারজিস আলম : শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া একজন স্বপ্নবাজ তরুণ

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫০


জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের অগণিত তরুণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান। বিগত সরকারের আমলের ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ: সেনাবাহিনী ও এনসিপির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষাপট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৬


শাহাবুদ্দিন শুভ :: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুসের বক্তব্যের ব্যাবচ্ছেদ

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:২০

আজ সন্ধ্যায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ শুনলাম। প্রায় ৩৫ মিনিটের এই বক্তৃতা অনেকের কাছে হয়তো ঘ্যানঘ্যানানি আর প্যানপ্যানানির মতো মনে হতে পারে, কিন্তু আমি একজন রাজনৈতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×