সকালে টীম মুভ করার কথা সকাল ৬টায়। আজ থেকেই আমাদের কাজ শুরু হবে। বিরাট বাক্লাই ফলস মাপামাপির কাজ। সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি একটা টীম মুভ করে চলে গেছে। আরাম প্রিয় আমাদের কয়েকজনকে ডেকে আর কষ্ট দেয়নি। (তারা বেশ সজ্জন পাবলিক। আমি টীম লিডার হইলে সবাইরে লাত্থি মাইরা উঠাইতাম)। এই জ্ঞান হতেই নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে দৌড় দিলাম। রাতে যেই পথে জুম ঘরে নেমে ছিলাম সকালের আলো তে সেই পথ দেখে কিছুটা হলেও ভিমড়ি খাওয়ার জোগার। চোখের সামনে একটা খাড়া পথ, প্রায় ৭০০ফুট খাড়া পথ।পাশেই খাদ। রাতে তো কিছু না দেখেই তরতর করে নেমে গেছি। এখন দিনের আলোয় উঠতে গিয়ে জ্বিব বের হয়ে গেল। ঝিড়ি ধরে হাটা শুরু করলাম। ঝর্নার মুখে পৌছে দেখি ইতোমধ্যেই ফরোয়ার্ড টীম উপর থেকে নীচের দিকে দরি ফেলে দিয়েছে। ঢাকা থেকেই আমরা ৪০০ফুটের দরি ১০ফুট পর পর মার্ক করে নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক হিসাবে বাকলাই ফলস এর উচ্চতা পাওয়া গেল প্রায় ৩৭০ফুট(+/- ২০)। ঝর্নার চূড়ায় জিপিএস দিয়ে নেয়া হল লোকেশনের জিও কো-অর্ডিনেশন আর অল্টিটিউড। এখন নেয়া শুরু করলাম ঝিড়ির পানি প্রবাহের রিডিং। বাকলাই ফলসের উপর থেকে নীচটা দেখা যায় না। ঠিক সামনের জুম পাহাড় গুলোকে স্বর্গীয় মনে হয়।
ঝিড়িতে বসেই আমরা চা-কফি খেয়ে চাঙা হয়ে গেলাম। এখন আমরা যাব ঝর্নার আপ-স্ট্রীমে, এর উৎস খুঁজে বের করতে। আবার হাটা শুরু করলা। কিছুক্ষনের মধ্যেই ঢুকে গেলাম এক অন্য রাজ্যে। সেটার কাহিনী আরেকদিন বলব।
বাকলাই ফলসের উপরের কিছু ছবিঃ






উপরের সব কয়টি ছবি
bangla trek
থেকে নেয়া।