ব্যাপারটি নিয়ে আর চেঁচামেচি করব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি ব্লগে আবার বিষয়টির আলোচনা দেখে না লিখে পারছি না। বারী সাহেবের অস্ট্রেলিয়া দর্শন যে তিন কানার হাতিদর্শনের মত তাতে আমদের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের আর কোন দ্বিমত নেই। জেবতিক আরিফ আমার পূর্ববর্তী লেখাটি বারী সাহেবকে ফ্যাক্স করে দিয়েছেন শুনেছি। উনি ওটা পেয়েছেন বলে মনে হয় না। আর পেয়ে থাকলে বুঝতে হবে উনি প্রচন্ড জেদী ও একরোখা মানুষ, যিনি অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেন না। কারণ গত সপ্তাহে উনি আবার ঐ বিষয়গুলোর উপর অপরিবর্তিত লেখা লিখেছেন। ব্যাখ্যা হিসাবে "অনেকের অনুরোধে আরও বর্ণনামূলক রিপোর্ট" নামক একটি যুতসই হেডিঙও দিয়েছেন। অনেকদিনে ভেবেছি ভদ্রলোককে ফোন করে হালকার উপর ঝাপসা একটা সবক দিব। কিন্তু পরের দিন জনকন্ঠে উনার কলামে "অস্ট্রেলিয়ায় প্রাণনাশের হুমকি" জাতীয় হেডিং কল্পনা করে আর ফোন দেয়া হয় নি। কি দরকার খাল কেটে কুমির আনার?
আজকের জনকন্ঠে মুদ্রিত একটি সংবাদ নিয়ে
[wjsK=http://www.somewhereinblog.net/blog/Adda/28712821]
এই লিঙ্কে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
উনি আজকে (http://www.dailyjanakantha.com/4p) আবারও কিছু অবান্তর কথা বলেছেন যথারীতি। অস্ট্রেলিয়ায় "বুয়া কালচার" নেই দেখে এত অবাক হবার কি হলো তা তো বুঝলাম না। দুনিয়ার উন্নত কোন দেশে "বুয়া কালচার" আছে বলে আমার জানা নেই। তাছাড়া এদেশে হাউজ মেইড বিপুল পয়সা দিলে পাওয়া যায়। কিন্তু এত বেশি টাকা খরচ হ্য় যে অতি বড়লোকেরাও তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কারের জন্য হাউজ মেইড রাখে না। তবে আরেকটা বিষয় হলো যত বড়লোকই হোক না কেন অস্ট্রলিয়ায় সবাই নিজের ঘরদোর সাফাইয়ের কাজ নিজে করতে পছন্দ করে। উইকএন্ডের একটা দিন এরা ক্লিনিঙ ও ওয়াশিঙের জন্য বরাদ্দ রাখে।
আর অডজব-ইভেনজবের সংজ্ঞা বাংলাদেশিদেরই তৈরি। এখানে শুধু নয় বিশ্বের সব উন্নত দেশেই মানুষ যা করে জীবিকা নির্বাহ করে তার জন্য সে গর্ব অনুভব করে। উনার মত দেশ-বিদেশে ঘোরা মানুষ এত সহজে টাশকি খেলেন কেন এ ব্যাপারে তা একটু কৌতুকের উদ্রেক করে বৈকি।
ট্যাক্সি ড্রাইভারের জীবন যাপনের বর্ননা দিয়ে উনি সম্ভবত বাংলাদেশ থেকে ট্যাক্সি ড্রাইভারদের এখানে মাইগ্রেট করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। এখানে ট্যাক্সি অনেকেই চালান। কিন্তু তাদের অধিকসংখ্যকের মনোকষ্টটা আমি বুঝি। হাজার হাজার ডলার খরচ করে, অমানুষিক কষ্ট করে ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করা ছেলেরা যখন ট্যাক্সি চালনাকে পেশা হিসাবে নেয়, তখন তাদের দীর্ঘশ্বাসটা আমি শুনতে পাই। তাদের মানসিক টর্চারটাকে আমি উপলব্ধি করতে পারি। বারী সাহেবের মত "রাতকানা"রা (যারা চক চক করলেই সোনা হয় না - প্রবাদটা জানেন না) মনে হয় এই কষ্টে থাকা মানুষগুলোর দীর্ঘশ্বাসটা শুনতে পান না।
পরিশেষে যারা এখানে আসতে ইচ্ছুক, তারা দয়া করে উনার কথা শুনে লাফাবেন না। অস্ট্রেলীয় ইমিগ্রেশনের ওয়াবসাইট ঘেঁটে ও প্রবাসী যারা এখানে আছেন তাদের সাথে কথা বলে নিজেদের সিদ্ধান্তটা সঠিকভাবে নিবেন।
বারী সাহেবের অস্ট্রেলিয়া দর্শন ও দু'টি কথা: 2
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর


আলোচিত ব্লগ
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মিশন কিংস পার্টির
মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক দল গঠন করার। নব্বই দশক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সরাসরি পেরে উঠতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সরাসরি না করলেও তার অধীনস্থরা এটা করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
=খন্ড কাব্য ১-৪=
১।মনের অসুখ, মন আকাশ বৃষ্টির ভারে নুয়ে পড়েছে
চোখে বৃষ্টি নামার আগেই তুমি, বলো ভালোবাসি
অথবা চোখে তাকিয়ে বলো এ কাজল চোখে মানায় না বৃষ্টি
বলো, তুমি হাসো মন খুলে
ব্যস! চাই না কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন
“বিবেকহীনদের জন্য কিছু প্রশ্ন”
ফেসবুকে দেখি কিছু মানুষ “আপা আপা” বলে চাটুকারিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মনে হয় তাদের আত্মা পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে, তবু তারা অন্ধভক্তি ছাড়বে না! প্রশ্ন হলো—আপনারা কি সত্যিই অন্ধ, নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সারজিস আলম : শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া একজন স্বপ্নবাজ তরুণ
জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের অগণিত তরুণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান। বিগত সরকারের আমলের ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ: সেনাবাহিনী ও এনসিপির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষাপট