সাহিত্যের অলিন্দে গোয়েন্দা গল্প ঠিক একটা সন্মানের স্থান পায় কিনা তা নিয়ে পণ্ডিতরা অনেক আলোচনা করেছেন । গোয়েন্দা গল্প নিয়ে আমাদের সময়ও শিক্ষক-অভিভাবক মহলে এক ধরনের ট্যাবু বা উন্নাসিকতা কাজ করত । তা স্কুলের সেই প্রথম বেঞ্চের শহুরে বন্ধুরা আমাকে সেই গোয়েন্দা গল্পের নেশা ধরিয়ে দেয় । এই বইগুলি বেশ লুকিয়ে পড়তে হত, কারণ মনে হয় স্কুলে সেটা ছিল শাস্তিযোগ্য ব্যাপার । গোপন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় হয় আমার এক সহপাঠী দীপঙ্করের হাত ধরে। আব্বা একবার দিল্লি থেকে ইন্দ্রজাল কমিকস-এর নতুন বই এনে দেন, যার নায়ক ছিল “বাহাদুর” । পরের দিনই যথারীতি ‘নতুন’ কমিকস বইটা স্কুলে ফলাও করে সবাইকে দেখাই । আর সেই কমিকস আমার সঙ্গে বদলা -বদলি করে পড়তে গিয়ে আমাকে দীপঙ্কর একটি চটি বই আমাকে পড়তে দেয় । আগে আমরা এমনিই একে অন্যের কাছ থেকে নিয়ে গল্পের বই পড়তাম । তবে রীতিমত হিসেব রেখে ‘বারটার’ সিস্টেমে বই পড়ার ব্যাপারটা আমাদের মধ্যে বোধহয় দীপঙ্কর’ই প্রথম চালু করে । পরে আমরা আগে থেকে প্ল্যান করেও বই কিনতাম যাতে দুজনেরই দুটো করে বই পড়া হয় ।
সেই খুবসম্ভব দু’টাকা দামের চটি বই দিয়েই আমার দীপক চ্যাটার্জী নামক গোয়েন্দা চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় । বটতলার বই হলেও সমরেন্দ্রনাথ পান্ডে ওরফে শ্রী স্বপনকুমার সৃষ্ট এই “দীপক চ্যাটার্জী” আর তার সহকারী রতনলাল এর অনেক গোয়েন্দা সিরিজ তখন বেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় । সাহিত্যের বিচারে অকুলীন ও পাল্প ফিকশন হিসেবে খ্যাত হলেও, আমাদের বই পড়ার অভ্যেস করিয়ে দিয়েছিল এই গোয়েন্দা দীপক সিরিজ । আমি ক্রমে হয়ে উঠি ডিটেকটিভ গল্পের পোকা। গল্পের মধ্যে সাসপেন্স-থ্রিল আমাকে গল্পের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতো আর যেহেতু পরের দিনই ফেরত দিতে হবে, তাই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ডিটেকটিভ গল্পের জগতে ডুব দেই । বই গুলি একসময় গোগ্রাসে গিলতাম। একসময় লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক বই পড়েছি আর সেগুলো আমার পড়াশুনার সময় খেয়ে ফেলছিল । আব্বা পড়ার টেবিলে বসিয়ে পাশের ঘর থেকে নজর রাখতেন । মেট্রিকের কিছুদিন আগে সেরকমই কোন গল্পের বই, পাঠ্য বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে পড়ছিলাম আর ধরা পড়ে যাই । সিনেমার নেশা যে উত্তম-মধ্যম দাওয়াই দিয়ে ছাড়ানো হয়েছিল, সেই একই ঔষধির প্রয়োগে কিছুদিনের জন্য হলেও সেই গোয়েন্দা গল্পের নেশাকে বাগে আনা গিয়েছিল ।
প্রচন্ড কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে যখন এই বই গুলো পড়তে শুরু করেছি, তখন কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ তার হয়তো সঠিক বিচার করার কোন ক্ষমতা ছিল না । মাধ্যমিকের আগে আমার দৌড় ছিল ‘নন্টে-ফন্টে, বাঁটুল বা হাঁদা-ভোঁদা পর্যন্ত - সদ্য প্রয়াত লেখক নারায়ণ দেবনাথের অমর সৃষ্টি । উল্লেখ্য গোয়েন্দা দীপকের সিরিজের বইগুলির প্রচ্ছদ করতেন এই বিখ্যাত কমিকস চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ। আর ছিল আনন্দমেলা মেগাজিনের পাতায় টিনটিন আর হার্জ । মোটের উপর প্রতিদিন এই গোয়েন্দা গল্প না পড়লে ঘুম হতো না। রাত্রে যাতে ধরা না পড়ি, তার জন্য আমার বন্ধু শান্তনুর মদতে টর্চের বাল্ব আর ব্যাটারি সহযোগে তৈরি হয় বিশেষ ব্যবস্থা, যাতে সবার নজর এড়িয়ে শীতকালে লেপের নীচেও অনেক রাত পর্যন্ত বই পড়া যায় !
এক লেখক অরুণ কুমার বিশ্বাস জানাচ্ছেন - ‘গোয়েন্দা গল্প পড়লে আমাদের শিশু-কিশোর ও উঠতি প্রজন্ম আবেগ এবং বুদ্ধিমত্তার মাঝে একরকম সুসমন্বয় গড়ে তুলতে সমর্থ হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স’।‘ আবার অন্যরা বলেন ‘এসব ছাইপাশ পড়ে আমাদের তরুণ সমাজ উচ্ছন্নে যাচ্ছে।‘ ধীরে ধীরে আমার কাছে গোয়েন্দা দীপক ম্লান হয়ে যায় আর পরিচয় হয় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, নীহাররঞ্জন গুপ্ত বা সত্যজিৎ রায়ের মত লেখকদের সঙ্গে । কৈশোরের সেই দিনগুলির সঙ্গী হয়ে উঠে – ফেলুদা, টেনিদা, কাকাবাবু, ব্যোমকেশ বক্সী, গোগোল, নীলাদ্রি সরকার/ইন্সপেক্টর ব্রহ্ম, আর কিরীটী রায় / বিরুপাক্ষ রায় এর মত চরিত্ররা।
সেই সময়ই পরিচয় হয় বাংলা অনুবাদের মাধ্যমে শার্লক হোমস এর সঙ্গে । স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল ১৮৮৭ সালে প্রথম এই চরিত্রের সৃষ্টি করেন আর সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র হয়ে উঠে এই শার্লক হোমস । হোমসকে নিয়ে চারটি বড় আকারের উপন্যাস এবং ৫৬টি ছোটগল্প নিয়ে চার খন্ডে শার্লক হোমস অমনিবাস ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় বই । বেশির ভাগই গল্পই তার বন্ধু ডক্টর জন এইচ ওয়াটসনের ‘মুখ’ থেকে বর্ণিত । বাকি চারটি গল্পের দুটি হোমস নিজে বলেছেন এবং দুটি বলেছেন স্যার কোনান ডয়েলই। সেই সঙ্গে অবশ্যই ছিল কিরিটি অমনিবাস। সেরকম একজন ওয়াটসন আমি জোটাতে না পারলেও নিজেকে বড় হয়ে একজন ডিটেক্টিভ হিসাবে কল্পনা করতাম । সেই হোমসিয়ানা অনেকদিন পর্যন্ত্য থাকে ।
এই হোমসিয়ানা নিয়ে বেশ মজার কিছু ঘটনা ঘটে । তখন অনেকটাই নিজেকে শার্লক হোমস ভাবতে শুরু করেছি । স্কুলে বা গ্রামের পাড়ায় কারু কিছু খোয়ালে বা চুরি গেলে বা এরকম কোন ছোটখাট অঘটন ঘটলেই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হতাম আর তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতাম । আমার মুখে ইচড়ে পাকা ধরনের প্রশ্ন শুনে এর বেশির ভাগ চেষ্টাই বড়দের ধমক খেয়ে শেষ হত । তখন আবার শুকতারা আর অনন্দমেলার পাতায় পড়ছি ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় রচিত পাঁচজন কিশোর-কিশোরী নিয়ে গঠিত “পাণ্ডব গোয়েন্দা”। তাই বন্ধুদের নিয়ে সেরকম একটা গোয়েন্দাবাহিনী তৈরি করার চেষ্টাও করি – কিন্তু সেই রকম পাঁচজন আর যোগাড় হয় নি ।
একবার খেলার মাঠে হটাৎ খবর পাই আমাদের বেরেঙ্গা গ্রামের পাশেই কে বা কারা যেন একজন লোককে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে । একটা বড় কেস হাতে আসছে ভেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির । গিয়ে দেখি একজন লোক বড় রাস্তার পাশেই এক বাড়ির বাইরে পড়ে কাতরাচ্ছে, তার একটা পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বোধহয় দায়ের কোপে আলাদা হয়ে পাশেই পড়ে আছে । সেই বাড়ির মহিলারা বদনা থেকে জল দেয়ার চেষ্টা করছেন । সেই মরণাপন্ন মানুষটার চোখের আর্তি আর ভীতি, সেই সঙ্গে বাড়ির ভেতর থেকে মহিলাদের জল দেয়ার চেষ্টা – এসবই আমার চোখের সামনে । গোয়েন্দা গল্পে হাজারবার এরকম খুন-খারাবির কথা পড়লেও সামনা-সামনি এই ভয়ংকর দৃশ্য আমাকে তাড়া করে । পরে সেখানে পুলিশ আসে এবং খুব সম্ভব সেই লোক মারাও যান । এসব জায়গায় সবসময় চারদিকে গোল হওয়া ভিড়ের মধ্যে আমি আগে থাকতাম – নাজানি আমার মতামতের দরকার হয় । কিন্তু সেদিন বাড়িতে ফিরেই আমার কাপুনি দিয়ে আসে জ্বর । মনে আছে আমার আম্মা জমজমের পানি দিয়ে, আর গ্রামের মুরুব্বী হাফিজ মুস্তাকিম আলী সাহেবের দেয়া তাবিজ দিয়ে আমাকে সারিয়ে তুলেছিলেন । অনেকদিন পর্যন্ত সেই মৃত্যুপথযাত্রী লোকটার চোখ আমাকে তাড়া করত আর ঘুমের ঘোরে নাকি আঁতকে উঠতাম । (তবে কে বা কারা, বা কেন সেই ঘটনাটা করেছিল সেটা বোধহয় আমাদের গ্রামের অনেকেই জানত – গ্রামের মারামারি আর শত্রুতার খুনে শার্লক হোমসের প্রায়ই দরকার হয় না)
খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার পরও কিন্তু শার্লক হোমস আমার পিছু ছাড়েনি । আরেকবার শুনি আমাদের পাশের গ্রামে মধুরবন্দে চিরুয়ার মাঠে নাকি ছেলেরা ফুটবল খেলতে গিয়ে দেখে মাটির নিচ থেকে একটা হাত বেরিয়ে আছে । খবর পেয়েই আমি হাজির । অনেক লোক সেই বেরিয়ে আসা হাতখানা আর জায়গাটা ঘিরে ভীড় করে আছে । তাদের ঠেলে আমি সামনেই গিয়ে দাড়ালাম । বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ, মাজিষ্ট্রেট আর আর এক লাশ তোলা কর্মী এসে উপস্থিত হলেন । সে ছিল এক কিশোরীর মরদেহ, খুব সম্ভব খুন করে তাড়াতাড়ি লাশ লোকানোর চেষ্টায় কোনমতে মাঠের এককোনে কোনমতে মাটি চাপা দিয়ে খুনীরা পালায় । মনে আছে সেই পুলিশকর্মী যিনি মাটি খুড়ে মৃতদেহ তুলছিলেন তখন তিনি সেই কিশোরীর সঙ্গে অনর্গল কিছু বলছিলেন । প্রায় বিড়বিড় করে ‘উঠে আয় মা, তোর কোন ভয় নেই, আমি আছি’ ইত্যাদি কথা । খুব সম্ভব সেই কর্মী বেশ কিছুটা সুরাপান করে এসেছিলেন, উনার কথাবার্তা ছিল অনেকটা ঘোরের মধ্যে । একসময় পাশে থাকা মাজিষ্ট্রেট বা দারোগা তাকে বেশ ধমক দিয়ে সেই বিড়বিড় করাটা থামিয়ে দেন । কিন্তু আমার মনে আছে লাশ তোলার মতো কঠিন কাজ করা এক মানুষের মনে নিহত কিশোরীর প্রতি সেই সমবেদনা ।
অনেক গোয়েন্দা গল্পে পড়েছিলাম চোখ নাকি হত্যাকারীর সুত্র ধরিয়ে দেয়, মৃতের চোখে নাকি অনেক কথা থাকে, সেটা কি হয়? সেই সন্ধ্যার চিরুয়ার বিলের খেলার মাঠ থেকে তুলে আনা সেই সল্পবসনা কিশোরীর লাশের চোখ আমি দেখেছি, তার চোখে অদ্ভুত এক বেদনা ছিল যা আমাকে বিহ্বল করে দেয় । ঘোর লাগানো সেই চাহনি কিছু বলতে চায়, আমায় যেন বলতে চায় তার চোখের অব্যক্ত ভাষা । আমি জানতে চাই কে বা কারা কেড়ে নিল তার প্রাণ, লাশের চোখেই পড়তে চাই আমি মানুষের মনের সেই অন্ধকার কুঠুরির কথা, যা এরকম মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় । এ আসলে এমন এক প্রশ্ন, যা যুগ যুগ ধরে ভাবিয়েছে সবাইকে । মহাকাব্য থেকে নিয়ে সব গোয়েন্দা গল্পই আমাদের সভ্যতার এক অন্ধকার দিকের কথা বলে । আসলে প্রশ্নটা সহজ নয়, উত্তরও এখনও অজানাই। তবে সেই কৈশোরের দিনগুলিতে গোয়েন্দা হতে যাওয়ার ইচ্ছার স্মৃতি আজ ঘাটাঘাটি করতে করতে যা আবার মানসচক্ষে দেখতে পেলাম তা সত্যি বিভিষিকাময় । অনেকদিন পর আইন পড়তে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের ইনকুয়েষ্ট বা পঞ্চনামা নিয়ে প্রজেক্ট করতে গিয়ে সেই রাতের অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে লিখি । অধ্যাপক আমার খুঁটিনাটি বিবরণ পড়ে বেশ অবাক হয়েছিলেন বৈকি !
সেই গোয়েন্দা গল্প পড়া শেখানো দীপঙ্করকে স্কুল ছেড়ে দেয়ার পর অনেকদিন আর পাইনি । খুব ওর বাবার বদলির চাকুরীর জন্য সে শহর ছেড়ে চলে যায় । প্রায় কুড়ি বছর পর আপার আসামে এক রাজনৈতিক সভায় ভাষণ দিয়ে, কোন কারণে মঞ্চের পিছনে গিয়ে দাড়িয়েছি, আর দেখি এক চেনা, চেনা চেহারা । সেই দীপঙ্কর, এত বছর পর ! নানা কুশলাদি জিজ্ঞেস করা হল, কিন্তু সে যে কি করে বা সেই নির্বাচনী সভায় কিভাবে এলো তা আর বলে না, কেমন যেন আমতা আমতা করে । পরে জানতে পারি সে এক গোয়েন্দা, আমাদের রাজনৈতিক গতিবিধি সরকারের কাছে রিপোর্ট করাই তার কাজ ! কি নিয়তি – আমার সেই স্কুলের গোয়েন্দা গল্প পড়া বন্ধুই আমাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করছিল । সেই সময় সরকারের অনেক গোয়েন্দাদের সঙ্গে পরিচয় হয়, তারা হয়ত চাকুরীর তাড়নায় কাজ করছিল, কিন্তু আমার কাছে ছিল তারা আমার সেই নাহওয়া স্বপ্ন পূরণের হিরো ।
গোয়েন্দা শার্লক হোমসের প্রতি আমার আসক্তি অনেকদিন থাকে । হোমসের ঠিকানা ছিল ২২১ বি, বেকার স্ট্রিট। লন্ডনের এই ঠিকানায় অবস্থিত বাড়িটিতে কিংবদন্তিসম ওই গোয়েন্দার স্মৃতি বিজড়িত সংগ্রহশালা চালু হয়েছে আজকাল । তা ঠিকানাটা আমার খুব ভাল লাগে – তাই আমার আলিগড়ের হোস্টেলের রুমের দরজায় লিখে দেই ২২১-বি, যদিও আমার রুম নম্বর ছিল ৩৭-বি, অর্থাৎ স্যার রস মাসুদ হলের “বি” ব্লকের ৩৭ নম্বর । আমাদের পোষ্টমান এনিয়ে পরে একদিন বিভ্রান্ত হয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করলে আমার বেশ বেগ পেতে হয় ! আবার স্কুলের সময় থেকেই আমার ‘শার্লক হোমস’ নামেই সই করার এক খেয়াল জাগে । একবার আলিগড়ে লাইব্রেরীর বইয়ের পাতায় সেরকম একটা সই পাওয়া গেলে তার তদন্ত হয় । ভাগ্যের বিধান সেই তদন্তের ভার দেয়া হয় আমাদের অধ্যাপক ড: তিমির বরণ চক্রবর্তীকে । আলিগড়ে থাকার সময় এই বাংলা বিভগের এই স্যার আমাকে বেশ স্নেহ করতেন এবং আমার শার্লক প্রীতি সন্মন্ধে বেশ অয়াকিবহাল ছিলেন । কাজেই সেরকম শাস্তি না দিলেও আমার ঘাড় থেকে শার্লক হোমসকে প্রায় অনেকটাই শেষ পর্যন্ত নামিয়ে দিয়েছিলেন ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৮