বন্ধুদের কিছু সংবাদ
কুকুরের তৎপরতায় শুকনো নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের উত্তর দেবীপুর গ্রামে।
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় কৃষক জাফর মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী রেহানা বিবির বাড়িতে থাকে টনি। পাড়ার সকলের প্রিয় কুকুর ছানা। শুক্রবার রাতে বাড়ি না ফেরায় কুকুরটিকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন রেহানা ও তাঁর দুই ছেলে মিনারুল-রাকিবুল। তাঁরা দেখতে পান, রাস্তার ধারে শুকনো নয়ানজুলির মধ্যে এক সদ্যোজাতকে আগলে বসে আছে টনি। চিৎকার করছে পাড়ার আরও একটি কুকুর। খবর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। গ্রামের মানুষ উদ্ধার করেন দিন কয়েকের শিশুটিকে। তাকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফেরেন রেহানা। তিনি জানালেন, স্বামী আর দুই ছেলেকে নিয়ে অভাবের সংসার। তবুও তাঁর দুই সন্তানের সঙ্গেই তিনি মানুষ করবেন কুড়িয়ে পাওয়া এই নবজাতককে।
জাকিরের প্রতিবেশী রাকিব হোসেন, আনোয়ার হোসেন মোল্লারা জানান, ইতিমধ্যেই গ্রামের মানুষ শিশুটির নামকরণ করেছেন আসলাম। অর্থাৎ ‘শান্তি'’। অনেক নিঃসন্তান দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করলেও রেহানা বিবি ও গ্রামের বয়ঃজ্যেষ্ঠরা শিশুটিকে অন্য কারও হাতে তুলে দিতে নারাজ। ইতিমধ্যেই শিশুটির জন্য দুধ, শীতবস্ত্রের ব্যবস্থাও করেছেন তাঁরা। গ্রামের বাসিন্দা হাজি মওলানা আমজাদ হোসেন বলেন, “আমাদের এই এলাকায় প্রচুর শিয়াল। তা সত্ত্বেও শিশুটিকে যখন জীবিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তখন আমরা প্রয়োজনে চাঁদা তুলে ওর ওষুধ-পথ্যের খরচ বহন করব। কিন্তু উপরওয়ালার পাঠানো এই শান্তির এই দূতকে কোনও ভাবেই পরের হাতে তুলে দেব না। আসলাম আমাদের গ্রামেই থাকবে।”
শিশুটিকে নিয়ে গ্রামের মানুষের কৌতুহল তো আছেই, তার থেকেও বেশি আদর পেতে শুরু করেছে টনি। কুকুর আর মানুষের বাচ্চা দেখতে গ্রামে ভিড় উপচে পড়ছে জাফরের বাড়িতে। টনিও খেলা করছে নবজাতকের সঙ্গে, পাহারাও দিচ্ছে তাকে।
জাফর গোটা বিষয়টি জানিয়েছে পঞ্চায়েতকে। কোথা থেকে শিশুটি এল, তার হদিস করতে পারেননি কেউ। কিন্তু খোঁজ পাওয়া গেলেও শিশুটিকে এখন ছাড়তে নারাজ রেহানারা। বললেন, “বড্ডো মায়া পড়ে গিয়েছে।”
-নির্মল বসু • বসিরহাট[সোমবার ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১]
........................................................
ভবঘুরের সঙ্গে ‘মেয়ে’র প্রেম, ‘বাবা’র শাস্তি কমাল হাইকোর্ট
বাধাবিপত্তি পেরিয়ে যুগলমিলন হল বটে! কিন্তু তার কোপ এসে পড়ল অভিভাবকের উপরে!
ঠিক যেন হিন্দি সিনেমা। বড়লোকের মেয়ে আর গরিবের ছেলের মধ্যে ভাব-ভালবাসা। সাধারণত এ সব ক্ষেত্রে মেয়ের বাবা ছেলের উপরে এক হাত নিতে খেপে ওঠেন! এখানে বিষয়টা ঘটেছে অন্য রকম। মেয়েকে ঠিক মতো শাসন করতে না পারার অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন মেয়ের অভিভাবকই।
কেঁদেকেটে আদালতে গিয়েছেন সুনীল কুমার। আদালত সব শুনেটুনে বলেছে, মিঞা-বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি! অন্যের প্রেমের জেরে সুনীল কুমারকে যেন অযথা বেশি শাস্তি দেওয়া না হয়! আদালত জিজ্ঞেসও করেছে, মেয়ের ছানাপোনারা এখন ভাল আছে তো?
মেয়ের নাম, মাস্তা। উচ্চ বংশীয় ল্যাব্রাডর। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে যে সিআইএসএফ বাহিনী, তার ডগ স্কোয়াডের খাস সদস্য সে। মাস্তার দেখভালের দায়িত্ব কনস্টেবল সুনীল কুমারের। কিন্তু অভিভাবকের রক্তচক্ষু কবেই বা প্রেমের পথ আটকাতে পেরেছে? সুনীলও মাস্তাকে বেঁধে রাখতে পারেননি। রাস্তার তাগড়া জোয়ান এক নেড়ির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে গেল মাস্তা। অচিরেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ল সে।
আদালতে সুনীল জানিয়েছেন, রাস্তার কুকুরের সঙ্গে মিলমিশ যে ঠিক নয়, সেটা তিনি বিলক্ষণ জানতেন। মাস্তা গর্ভবতী হওয়ার পরপরই তিনি তাকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের কুকুর বলে গর্ভপাতের ঝুঁকি নেননি চিকিৎসক। যথাসময়ে দশ-দশটি সন্তানের জন্ম দিল মাস্তা। খুদে ‘ল্যাব্রানেড়ি’রা ভাল দামে বিক্রিও হয়ে গেল! কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে এল সুনীলের জীবনে।
কী ভাবে রাস্তার কুকুরের সঙ্গে মিশতে পারল মাস্তা?
সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ সুনীলের গাফিলতিকেই এর জন্য দায়ী করলেন। শাস্তি হিসেবে সুনীলের বেতন কমিয়ে দিলেন ডিআইজি। তাঁর পদোন্নতি এবং বার্ষিক বেতনবৃদ্ধিও বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হল। সিআইএসএফ-কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন সুনীল কুমার। অভিযোগ, লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সুনীলের আইনজীবী কে বি এস মহাপাত্র সওয়াল করেন, দীর্ঘ চাকরি জীবনে সুনীল কুমারের নামে অন্য কোনও কাজে গাফিলতির অভিযোগ নেই। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে তাঁকে এত কঠোর শাস্তি দেওয়া যায় না। আর বিচ্ছিন্ন ঘটনাটিও বা কী? আইনজীবীর ভাষ্যে, “মাস্তার প্রেম অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এই কারণেই সময় মতো বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।” প্রেমের ফলে কি মাস্তার কোনও ক্ষতি হয়েছে? আদালতে সুনীল জানান, মাস্তার শরীরের কোনও ক্ষতি হয়নি। মাস্তার বাচ্চাগুলিকে ভাল দামে বিক্রি করেছে সিআইএসএফ।
তা হলে?
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাসও সুনীলের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। রাস্তার কুকুরের সঙ্গে ডগ স্কোয়াডের মেয়ের প্রেমকে তেমন বড় কোনও অপরাধ বলে মনে করেননি তিনি। বিচারপতি বলেন, “সুনীল কুমারের কাজকে ঠিক গাফিলতি বলা যাবে না। বাচ্চাগুলো যেখানে রয়েছে, আশা করি ভালই আছে। সুনীল কুমারের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা লঘু করে দেওয়া হোক।”
ঠিক যেন হিন্দি সিনেমা। শত কাঁটা পেরিয়ে প্রেমের জয় হবেই!
-অরুণোদয় ভট্টাচার্য • কলকাতা[বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ ২০১১]
...................................................................
হারানো টিয়াপাখি খুঁজে দিলে ইনাম পুরো দু’হাজার
শুধু পুলিশে ডায়েরি হয়নি এই যা। হারানো টিয়ার খোঁজে কী না করেছেন খড়দহের কৃষ্ণা দাশগুপ্ত। ওঝা, গুনিন, জলপড়া, তেলপড়া, কেবল টিভিতে বিজ্ঞাপন, ইনাম ঘোষণা...। নাহ্ সে পাখি ফেরেনি।
রাস্তার দেওয়ালে পোস্টার সেঁটেছেন। দু’হাজার টাকা পুরস্কার। তা দেখে কেউ কেউ দু’একটা টিয়া ধরেও এনেছেন। কিন্তু তারা কেউ ‘রানি’ নয়। রানি হলে ‘মা মা’ ডাকত। কিন্তু কেউ ডাকেনি। সে হতচ্ছাড়ারা শুধু ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থেকেছে। কৃষ্ণাদেবী অতঃপর নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন। রানির ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে।
টিয়াটার নাম রানি। দিন বারো আগে সে আলমারির মাথায় বসে ছিল। তার পর খাটে নেমে এল। তার পর খাট থেকে মেঝেতে। তার পর সে হাঁটতে হাঁটতে মহানিষ্ক্রমণের দিকে চলে গেল। রানির ‘শকতি নাহি উড়িবার।’ কৃষ্ণাদেবী তাই ভাবলেন, কার্নিশ গলে পড়ে গেছে। নীচে নেমে কত খুঁজলেন। নাম ধরে ডাকলেন। কিন্তু কোথায় রানি?
কৃষ্ণাদেবীর চার বছরের সঙ্গী রানি। একেবারে ছোট থাকতে এনেছিলেন। ড্রপারে করে দুধ খাওয়াতেন। একটু বড় হলে ‘সলিড ফুড।’ সকালে চা-বিস্কুট, দুপুরে স্নান, তার পর মাছ-ভাত সহযোগে আহার, বিকেলে ফের চা-বিস্কুট, রাতে দুধের সর। তার পর কৃষ্ণাদেবীর সঙ্গেই লেপের নীচে ঘুম। তোফা রুটিন।
তবু সে পালাল। ‘তোতাকাহিনী’র পাখির মতোই তার যে ‘কেবল আক্কেল নাই তা নয়, কৃতজ্ঞতাও নাই।’
তবে শুধু রানি নয়, কৃষ্ণাদেবীর পুষ্যি অগুন্তি। অ্যাকোরিয়ামে রঙ-বেরঙের মাছ, খাঁচাভর্তি পাখি, দু’টি কুকুর।
কৃষ্ণাদেবীর কথায়, “রানি চলে যাওয়ার পর একটা কুকুর তো মরেই গেল। আর একটা খায়দায় না, শুধু ঝিমোয়। কাঁদেও।” কুকুরের জন্য অত মায়া নেই, টিয়াটা কেন পালাল? কৃষ্ণাদেবীর চোখে সন্তান হারানোর ব্যথা। বললেন, “কুটনো কুটতে বসলে আমার পাশে বসত। কাঁচা সব্জি খেয়ে নিত। আমি যে ওকে ছাড়া থাকিনি কখনও।”
কৃষ্ণাদেবী বি টি রোডের উপর তিনতলা আবাসনে থাকেন। কেয়ারটেকার অলোক রায় বললেন, “ফাঁকা ফাঁকা লাগে। ওর ডাক নীচে বসে শুনতাম। ও-ই ছিল পাহারাদার।” পছন্দের লোক বাড়িতে এলে সে মিষ্টি শিস দিত। অপছন্দের লোক এলে চেঁচামেচি। কৃষ্ণাদেবী জানান, একবার এক জ্যোতিষীকে চেঁচিয়ে বাড়িছাড়া করেছিল রানি।
মোটেই শান্ত ছিল না রানি। খাটের পায়া ঠুকরে খাবলা করে দিয়েছে। কৃষ্ণাদেবী বলেন, “আমার গয়নাও ঠুকরে খেয়েছে। কুকুর দুটোকে তো রানিই দাবড়ে রাখত। ওরা রানিকে ভয় পেত। ঘরটাও গমগম করত। রানি চলে যাওয়ায় সংসারটা শ্মশান হয়ে গেল। যে কোনওদিন এক পা হাঁটেনি, সে কী করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল।”
পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন কৃষ্ণাদেবীর বোন শুক্লা সরকার। তিনি বললেন, “দিন কয়েক আগে দিদি বকাবকি করেছিল রানিকে। সেই অভিমানেই চলে গেল না তো!’’
কৃষ্ণাদেবী কিছুই বুঝতে পারেন না। তাঁর চোখ আকাশের দিকে।
-বিতান ভট্টাচার্য • কলকাতা
………….
গ্রাম ছেড়েই বাঁচুক মোতি, চায় বিরাহিমপুর
ওর নাম মোতি।
গায়ের রং ধবধবে সাদা। ঠিকানা বিরাহিমপুর গ্রামে একটি ক্লাবের সামনে খানিকটা ফাঁকা জায়গা। যে কোনও দিন হয়তো বদলে যাবে তাও।
মাস দেড়েক আগের কথা।
গ্রামের তালবোনা পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সাদা রঙের একটি ঘোড়াকে। পর পর তিন দিন ঘোড়াটিকে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খটকা লাগে স্থানীয় যুবক নবকুমার দাসের মনে । তিনি কাছে গিয়ে দেখেন ঘোড়াটি কাঁপছে। চোখ দিয়ে জল পড়ছে। হাঁটার শক্তিও হারিয়েছে। তিনিই ঘোড়াটিকে গ্রামের ভিতর নিয়ে চলে আসেন। বুঝতে পারেন দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলেছে ঘোড়াটি। মুক্তোর মত গায়ের রং, তাই আদর করে বাসিন্দারা নাম রাখলেন মোতি।
মোতিকে সুস্থ করে তুলতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন নবকুমার। এগিয়ে আসেন গ্রামের অনেকেই। কেতুগ্রাম-২ প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের সঙ্গেও বেশ কয়েক বার তাঁরা যোগাযোগও করেন। সেখানকার পরামর্শে মাস খানেক ধরে ওষুধ খাওয়ানোর পরে এখন সে মোটামুটি সুস্থ। হাঁটতে পারে। একটি চোখে অল্প দেখতেও পাচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি।
মোতি কী খায়?
জবাবে নবকুমার বলেন, “দিনে তিন বার খাওয়ানো হয় ওকে। ভাত-ডাল, ঘাস, গুড়, আর কুড়ো (দানের তুষ)।” গ্রামের অন্যদের সঙ্গে মোতির জন্য খাবারের জোগান দেন তিনিও। রোজ এই খাবারের জোগান দিতে নাভিশ্বাস উঠছে গ্রামবাসীর। তাই মোতির বাসস্থান বদলে দিতে চান তাঁরা। নতুন বাসস্থান চেয়ে স্থানীয় বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে বাসস্থান না পেলে মোতিকে নিয়ে ধর্নায় বসবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কেতুগ্রাম-২-এর বিডিও হেমন্ত ঘোষ বলেন, "বিএলডিও-কে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
নবকুমার বলেন, “খাবার পিছু প্রতি দিন খরচ ৫০-১০০ টাকা। টাকা ও সময় দু’টোতেই আর কুলিয়ে উঠতে পারছি না আমরা।”
মোতি সুস্থ হওয়ার পর থেকেই এলাকার শিশুরা তার পিঠে চেপে প্রতি দিন বিকালে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। স্কুল ছাত্র সব্যসাচী দাস, গৌরহরি দাস বলে, “মোতির পিঠে চেপে প্রতি দিন রাস্তায় ঘুরে বেড়াই। কিন্তু তাতে মোতির কষ্ট হয় বুঝতে পারি।” গ্রামের বাসিন্দা পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোতিকে আদর করতে করতে বলেন, “মুক্তোর রং সাদা। আমাদের ঘোড়াও সাদা। সে জন্য মোতি নাম রেখেছি। ওর প্রতি আমাদের একটা মায়া পড়ে গিয়েছে।”
এত ভালোবাসেন, তবুও অন্য জনের হাতে দিয়ে দিতে চাইছেন কেন? মোতি যদি খেটে খেতে পারত, চাইতেন ওকে তাড়িয়ে দিতে?
“ভালোবাসলেই হয় না, ও যাতে দুধে ভাতে থাকে তার কথাও চিন্তা করতে হয়। সরকারি পশুশালায় ও অনেক ভাল থাকবে”— জবাব দিল বিরাহিমপুর।
-সৌমেন দত্ত • কেতুগ্রাম [বুধবার ৯ মার্চ ২০১১]
……………………………….
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন