সম্প্রতি ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে সিরিয়ায় এক গবেষনা প্রতিষ্ঠানে। আমাদের এসলামিক ভাইরা নিশ্চয় জানেন,সিরিয়া একটি মুসলিম দেশ। এবং ইসরাইল হলো আমেরিকার লেজ। আমরিকা চাইলে এই ইহুদি রাষ্ট্রটি নড়ে,আমরিকা না চাইলে চুপ করে বসে থাকে। এখন কি এই আক্রমনে আপনারা আমেরিকার উপর খুশি?
লিবিয়া এবং মিশরে আমেরিকা গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে একটি পুতুল সরকার কায়েম করেছে।আফগানিস্তান এবং ইরাক আক্রমন করেছে লুটে নিচ্ছে তেল সম্পদ। কলোনি তৈরী করেছে এই দুটি দেশকে। এই নিয়ে আমাদের দেশেও মিছিল হয়েছে। আমরা ইরাকের উপর এই অযৌক্তিক আগ্রাসনের বিপক্ষে ছিলাম এখনো আছি। আর একটা কথা তো প্রায়ই শোনা যায় যে আমেরিকা চায়না কোন ভাবেই মুসলমানরা ভাল কিছু করুক। মুসলমানদের দাবিয়ে রাখতে আমেরিকা সবসময় সক্রিয় থাকে। আমেরিকা এই বিশ্বের মুসলামানদের ধ্বংস করে দিতে চায়। এই জন্য কিছুদিন আগে মুহাম্মদকে ব্যাঙ্গ কর সিনেমা করেছে। এবং এর প্রতিবাদে প্রতিটা জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে এবং এই সিনেমা কেন্দ্র করে সহিংসতায় ৬০০জনের বেশি লোক মারা গেছে।
ইরান এখন সম্ভাব্য আক্রমনের অপেক্ষায় আছে। ইসরাইল দিয়ে কয়েকবার হুমকি দিয়ে দেয়া হয়েছে। হয়তো এটাও আক্রমনের শিকার হবে।
আওয়ামীলীগ সরকার এসলামের শত্রু। তারা ধর্মণিরপেক্ষতা চালু করেছে। যা বেশরিয়তি। একের পর এক এসলামের অবমাননা করেই যাচ্ছে। আর এই জন্য বিএনপি এতই ক্ষুদ্ধ যে জামাতের সাথে জোট বেঁধেছে। এসলাম রক্ষার জন্য একাত্তুরে ঘাতক,দালালদের সাথে নিয়ে জোট করেছেন বিএনপি।সংবিধানে যোগ করেছেন বিসমিল্লা। ধর্মণিরপেক্ষ সংবিধান মুসলমান করে ছেড়েছে। ইসলামের কাণ্ডারি খালেদা । আর ইসলাম ধ্বংস কারী হাজ্জ্বী হাসিনা।
এখন কথা হচ্ছে, আমেরিকার হাতে পায়ে ধরলেন খালেদা জিয়া।আমরিকা কি ভাবে সাহায্য করতে পারে? নিশ্চয় দেশের সাহায্য বন্ধ করে দিবে? আমদানী রপ্তানিতে বাধা গ্রস্ত করবে। এই দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কার ক্ষতি হবে? আওয়ামীলীগের নাকি দেশের সাধারণ মানুষের? আর একটি পারে আমেরিকার সেনা দিয়ে এই দেশ দখল করা।
আপনি আসলে কোনটা চাইছেন?
এতদিন যে এসলাম রক্ষার জন্য জিকির করেছেন। আবার আমেরিকার হাতে পায়ে ধরে সাহায্য চাইছেন। মানেটা কি? এসলাম রক্ষা বলে যে চিল্লাচিল্লি করলে এসব যে ফালতু তা প্রামাণ হলো।আপনি এর পরেও কি বলবেন যে আপনি এসলামের ধারক বাহক? নাকি আপনি মনে করে বারাক ওবামাই এসলামের রক্ষক। আপনার কি তবে আল্লার উপর ঈমান কমে গেছে?
ধর্মের মুখোশ বিএনপি এবার খুলে গেল। কিছুদিন আগে জামাত শিবির আমেরিকার এম্বাসির গাড়িতে আক্রমন করে। এবং তার ক্ষতিপূরণ দিতে চায়।(দিয়েছে কিনা জানি না) । প্রতি হরতালেই আপনার দেশের এত গাড়ি পোড়াও,এত মানুষ হত্যা করেন অথচ আমেরিকার একটা গাড়িতে কিছু ক্ষতি হলেই ক্ষতিপূরণ দিতে চান। ব্যপার কি? আমরিকা কি এসলামের কাণ্ডারি হয়ে উঠছে? হজ্বের জন্য এখন সৌদির পরিবর্তে কি আমরিকা গেলেই হবে?
এই যুদ্ধবাজ দেশের কাছে আমাদের জনগণকে তুলে দিতে চাইছেন। দেশটাকে যে আপনারা ভালবাসেন না তা কি আমরা বুঝতে পারছিনা। মুখে যাদের এসলামের শত্রু বলেন তাদের হাতেই তুলেদেন আপনাদের এসলাম। যে দেশকে নিয়ে রাজনীতি করে এই জনপ্রিয় হলেন সেই দেশটাকে ইজারা দিতে চান আমেরিকার কাছে। চীন,ইন্ডিয়া ঘুরে করেন দর কশা কশি।
এসলামের সাথে আমেরিকার একটা মাখামাখি ভাব ইতিহাসের শুরুতেই আছে। একাত্তরেও এসলামী রাষ্ট্রের পক্ষে আমেরিকা ছিল। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বেলায় এই লম্পটদের পক্ষে কথা বলছে। এবং ইসলাম রক্ষায় আমেরিকাকে খালেদার চিঠি। কোথায় জানি একটা মিল পাচ্ছি। কিন্তু এটা ১৯৭১ নয়, এটা ১৯৭৫ নয়,এটা ২০১৩ সাল। এই কথাটা বিএনপি না বোঝলে ও আমেরিকার মতো ধূর্ততা ঠিকই বুঝবে।